Breaking Bharat: শীতকালীন সবজি মানেই শাক, কত রকমের শাক পাওয়া যায় বাজারে জানেন কি?শীতকাল মানেই টাটকা সবজি খাওয়ার একটা চল দেখা যায় বাঙ্গালীদের মধ্যে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মানুষ মনে করেন যত বেশি সবুজ শাকসবজি খাওয়া যাবে শরীরের জন্য ততটাই মঙ্গল।
বাজারে এই সময় প্রকৃতিকে যেন সবুজের রঙে সাজিয়ে দেয়। যখন আপনি মাছ-মাংস কিনার দিকে ঢুকবেন তার থেকে বেশি মন টানবে সবজির দিকে। কি কি ধরনের সবজি বিশেষ করে আমরা পেতে পারি এই শীতে দেখা যাক।
কত রকমের শাক পাওয়া যায় বাজারে?
সকালে ঘুম থেকে ওঠা থেকে দৌড়ে দৌড়ে জীবন শুরু হয়ে যায় সাধারণ মানুষের। কোনোমতে সেদ্ধ ভাত বা একটু ভাজা তরকারি কিংবা মাছের ঝোল। বয়স যদি কম হয় তাহলে অবশ্যই মন ছুটবে পিৎজা পাস্তার দিকে। কিন্তু আপনি কি জানেন শাক সবজির মহিমা অপার। এই শীতের বাজারে বরং পালং শাক দিয়েই শুরু করা যাক।
যদি আপনাকে বলতে শুরু করি তাহলে হয়তো কথায় শেষ করা যাবে না পালং শাকের কি কি গুন আছে তা জানিয়ে। দেখুন পালং শাকে রয়েছে, ভিটামিন, মিনারেল, ফাইটো নিউট্রিয়েন্টস থেকে শুরু করে পিগমেন্টস। তাই নিঃসন্দেহে এক কথায় কোনদিন না ভেবেই আপনি পালংশাককে ‘সুপার ফুড’ আখ্যা দিতে পারেন।
আরো পড়ুন – বিয়ের জন্য ‘পারফেক্ট’ বয়স কত? কী বলছে গবেষণা? উত্তর জানলে চমকে উঠবেন!
উপকারিতার প্রসঙ্গে বলতে হলে আপনাকে জানিয়ে রাখি ত্বকের সুরক্ষায় এই পালং শাকের মধ্যে থাকা বিভিন্ন ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট্স ও পিগমেন্টের উপস্থিতি ত্বককে ক্ষতিকর ইউভি রশ্মির হাত থেকে রক্ষা করে। ত্বকের ক্যানসারের প্রতিরোধ করতে ‘পালং শাক‘ দারুন কাজ করে বলে চিকিৎসকরা মনে করেন।
গর্ভাশয় ক্যান্সারের আশঙ্কা প্রায় ৪০ শতাংশ কমে যায়। ছেলেদের ক্ষেত্রে পালং শাক খেলে প্রস্টেট ক্যান্সার হয় না। পালংশাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন আছে এই কথা আগেই বলেছি। এই শাক চোখের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। সব শাকের মধ্যে কার্যত এই পালং শাককে আপনি রাজা বলতে পারেন।
আরো পড়ুন – বাবার সাফল্য দেখতে প্রায় দু-যুগ অপেক্ষা কেন করতে হলো সানি দেওলের ছেলে রাজবীরকে?
পালংশাকের মধ্যে থাকা আলফা লিপোয়িক অ্যাসিড নামের অ্যান্টি অক্সিডেন্ট রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা কমাতে কমিয়ে দেয় এবং শরীরে ইনসুলিন সেনসিটিভিটি বাড়ায়। গবেষণায় দেখা গেছে পালংশাকে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন বি১, বি২, বি৩, এবং বি৬ থাকায় এটি চুল পড়া রোধ করে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে সাহায্যকারী। পালং শাকে প্রচুর পরিমাণে অক্সালেট থাকে, যার থেকে কিডনিতে স্টোন হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়।
এবার বলি লাল শাকের কথা। হজম শক্তি বাড়াতে এবং দৃষ্টি শক্তি প্রখর করতে এই শাকের জুড়ি মেলা ভার। পাশাপাশি হাড়ের সঠিক বিন্যাসে এই শাক প্রয়োজনীয়। রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বাড়ায় তাই অ্যানিমিয়া হওয়ার সম্ভাবনা কমে। কলমি শাকের কথা তো সবাই জানে।
আরো পড়ুন – ক্রিকেট বিশ্বকাপের ট্রফিটি কি সোনা দিয়ে তৈরি? এই ট্রফি টির আনুমানিক মূল্য কত?
ক্ষত স্থানের ব্যথা সারাতে এই শাক দারুন কার্যকরী। কারোর ফোড়া হলে কলমি পাতা আর অল্প আদা বেটে নিয়ে সেই ফোড়ার চারপাশে লাগালে ফোড়া নরম হয়ে গিয়ে পুঁজ বেরিয়ে আসে ফলে তা দ্রুত শুকিয়ে যায়। কোষ্ঠকাঠিন্য আমাশয় এই দুই রোগের ক্ষেত্রেই এই শাক খুব উপকারী। পুঁইশাকে প্রচুর ভিটামিন থাকার পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম এবং আয়রণ আছে বলে জানা যায়।
বাঙালির রসনা তৃপ্তিতে এই শাক দারুণ কার্যকর। নিয়মিত পুঁইশাক খেলে পাইলস, ফিশ্চুলা জাতীয় রোগ থেকে সহজে মুক্তি পাওয়া যায় মুক্তি পাওয়া যায়। হেমোরয়েড হওয়ার সম্ভাবনাও কমে। সর্ষে শাক ভিটামিন ও মিনারেলের একটি দারুন উৎস। হার্টের সমস্যা কমাতে এই শাক সাহায্য করে। আর সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ হল এর অ্যান্টি অক্সিডেন্ট গুণ। তাহলে এবার মেনুতে কী রাখবেন ভেবে নিন এখনই!