Breaking Bharat: পরীক্ষার ক্ষেত্রে মেয়েরা কেন সব সময় এগিয়ে যায়? আপনার বান্ধবী কি পরীক্ষায় আপনাকে টেক্কা দিয়ে গেল? মেয়েরা আবারও বেশি নম্বর পেয়ে গেল তো? পরীক্ষা পর্যবেক্ষণ সিদ্ধান্ত, এই তিনটির উপর ভিত্তি করে যে কোন বিষয় সম্পর্কে ভাবে সঙ্ঘবদ্ধ জ্ঞান লাভ করা সম্ভব হয়।
অর্থাৎ কোন কিছুর মূল্যায়নের একটা ভূমিকা আছে। কিন্তু খেয়াল করে দেখেছেন পরীক্ষা ক্ষেত্রে মেয়েরা কেন সব সময় এগিয়ে যায়?
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখবেন পরীক্ষায় ছেলেদের থেকে মেয়েরা বেশি ভালো ফল করছে। কেন এমন হয় কখনো ভেবে দেখেছেন? চলুন এই রহস্যের অবশ্যই সমাধান করা যাক।
একজন এগিয়ে যায় অন্যজন পিছিয়ে যায় এমনটা কেন?
মেয়ে হোক বা ছেলে মেধা সকলের সমান থাকে। যদি ঈশ্বরের দান বলে বিশ্বাস করেন তাহলে সেটা কারোর ক্ষেত্রে কম বেশি হয় না। তা সত্ত্বেও একজন এগিয়ে যাই অন্যজন পিছিয়ে যায় এমনটা কেন হয়? বিভিন্ন ক্ষেত্রে আলোচনা পর্যালোচনা করে এর কয়েকটা কারণ বিশ্লেষণ করা গেছে।
আগেই বলে দিচ্ছি এই প্রতিবেদনে যে যে তথ্য আপনাদের সামনে আমরা তুলে ধরব আর সবটাই সমীক্ষার ভিত্তিতে করা হয়েছে। আসল ব্যাপারটা হল মেয়েরা একটু ধীর স্থির হয়। এটা তাদের স্বভাবের কারণেই হয়। ছেলেরা ছটফটে চঞ্চল। আবারো বলি সব কিছুর যেমন ব্যতিক্রম থাকে এক্ষেত্রেও আছে।
কিন্তু আমরা ব্যতিক্রম নিয়ে কথা বলছি না যাইহোক ফিরে আসি মূল প্রসঙ্গে। মেয়েরা ভীষণভাবে ঘর কন্যা সামলাতে ভালোবাসে। এমনিতে একটু গুছিয়ে কাজ করা স্বভাবের হয় তারা। অন্যদিকে ছেলেরা বন্ধু-বান্ধব হই চই, হুল্লোর, বাইরে বেরোনো এগুলোতে বেশি মত্ত থাকে। যার ফলে কনসেনট্রেট করে পড়াশোনাটা তারা করেন না।
আরো পড়ুন – মোবাইল ক্যামেরার বাড়বাড়ন্ত হওয়ায় এই কোম্পানি গুলো আজ পুরোপুরি দেউলিয়া!
মেয়েদের মুখস্তবিদ্যা এমনিতেই বেশি অনেকটা সময় ধরে তারা এক মনে পড়তে পারে। ছেলেদের পক্ষে সেটা সম্ভব হয় না। এটা খুব স্বাভাবিকভাবে চলে আসে একটা চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য বলতে পারেন যেটা পুরুষ জাতি এবং মহিলা জাতির ক্ষেত্রে আলাদা আলাদা।
ধিরস্থির হয়ে কাজ করার প্রবণতা যেটা মেয়েদের মধ্যে দেখা যায় সেটা পরীক্ষা হলে দারুন কাজ দেয়। আর ছেলেরা এক্কেবারেই এর বিপরীত হয়। একটা মেয়ের জীবনে পড়াশোনা করে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার মধ্যে অনেক চড়াই উতরাই থাকে। এটা কোথাও গিয়ে তাকে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ করে তোলে।
আরো পড়ুন – রোগ ভোগ নিয়ে চিন্তায়? সতর্ক থাকুন টাইফয়েড নিয়ে!
ছেলেদের ক্ষেত্রে এমনটা হয় কিন্তু মেয়েদের যেহেতু চিরকালই লড়াইটা এগিয়ে করতে হয়েছে, তাই স্বাধীনতার এত বছর পেরিয়ে গিয়েও শিক্ষাক্ষেত্রে বৈষম্যটা এতটুকু ঘোচেনি। ফলে যেটা দাড়ায় আজও শিক্ষার আলো অনেক মেয়েকে স্পর্শ করতে পারেনা।
উপরন্ত বলে দেয়া হয় পরীক্ষায় পাস না হলে এবার সোজা বিয়ে যেটা অনেকেই চায়না। কোথাও গিয়ে প্রতিবাদ প্রতিরোধ গড়ে তোলার তাগিদ তৈরি হয়। এই সব কিছুর প্রতিফলন ঘটে পরীক্ষার খাতায়।
আরো পড়ুন – শীতকালীন সবজি মানেই শাক, কত রকমের শাক পাওয়া যায় বাজারে জানেন কি?
তবে আমরা ছেলে বা মেয়ে কারুর মেধাকে বড় বা ছোট করছি না। সবাই সাফল্য পায় তার নিজের গুনে এবং অধ্যাবসায়ে। নারী-পুরুষ বৈষম্যে আমরা বিশ্বাস করি না তাই দুজনেই সমান প্রতিদ্বন্দ্বী। সুস্থ ভাবে পরীক্ষা হোক শিক্ষার আলোয় নেই এবং ছেলে দুজনেই আলোকিত হোক তবেই সমাজ এগোবে।