Tattoos are very harmful: শরীরের ট্যাটু ডিজাইন মারাত্মক ক্ষতিকর, ক্যান্সার পর্যন্ত হতে পারে! জানেন? শরীরে ট্যাটু করাতে পছন্দ করেন? বেশিরভাগ মানুষ নিজের ইচ্ছে পূরণের জন্য শরীরে ট্যাটু করান। আসলে যতদিন যাচ্ছে এটা কেমন যেন একটা ফ্যাশন স্টেটমেন্ট এর মত হয়ে যাচ্ছে। সাধারণত গায়ের রং লাগলে সেই রং কিছুদিন পর চলে যায়।
কিন্তু বহুদিন ধরে এই নিয়ে গবেষণা করার চিন্তা ভাবনা হয়ে আসছিল যে ট্যাটু তেমন কী থাকে যা বছরের পর বছর থেকে যায় এক ভাবে। আর গবেষণায় যে সত্য উদঘাটিত হয়েছে তা শুনলে মাথা ঘুরে যাবে আপনার। এই বিষয়ে বিস্তারিত জানাবো আজকের প্রতিবেদনে।
শরীরের ট্যাটু মারাত্মক ক্ষতিকর জানেন?
আপনি নিশ্চয়ই জানেন আমাদের চারপাশে এরকম অনেক রং পাওয়া যায় যেগুলো প্রাকৃতিক ভাবে উৎপন্ন হয়। আবার রাসায়নিক প্রচুর রং মেলে যা শরীরের অর্থাৎ ত্বকের জন্য বেশ ক্ষতিকর। এই ট্যাটুর জন্য কৃত্রিমভাবে গবেষণাগারে রং তৈরি করা হয় নানা রাসায়নিক যৌগ যোগ করে।
আর সেখানে উঠে এসেছে এক বিশেষ রঙের নাম – এজো ডাই গবেষকরা বলছেন এমনিতে রঙটি খুব একটা সমস্যা দায়ক মোটেই নয়। কিন্তু অসাবধানতাবশত বা ভুলবশত অন্য কোনও কিছুর সংস্পর্শে চলে আসে তখন সেটা হয়ে ওঠে অত্যন্ত ক্ষতিকারক ৷ আসলে আপনাকে বুঝতে হবে রঙের ক্ষেত্রে বেশ কিছু প্রকারভেদ আছে।
ট্যাটুর জেরে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা?
অনেকেই বলতে পারেন ট্যাটু তে যে রং ব্যবহার করা হয় তা তো নিষিদ্ধ নয়। কিন্তু এ ক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে কোন রং কিসের জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে সেটা জানা জরুরী। বাড়ির দেওয়ালে বা গাড়িতে লাগানো রং নিশ্চয়ই মানব দেহের উপযুক্ত হবে না। ‘ট্যাটুর জেরে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা‘ বহুগুণ বেড়ে যায়।
এই কালি তিলের পরিবর্তন খুব সহজে আড়াল করে ফেলে। ফলত, সঠিকভাবে রোগ নির্ণয় করা অনেক সময় বেশ কঠিন হয়ে পড়ে। ট্যাটুর রং টিস্যুতে ছড়িয়ে পড়লে মেটাস্ট্যাটিক মেলানোমার বিস্তার অতি দ্রুত হয়। শারীরিক বেশ কিছু পরিবর্তন দেখা যায়। যার মধ্যে অন্যতম কম ঘাম হওয়া।
- গবেষণা বলছে শরীরে ট্যাটু থাকলে তা সাধারণ দেহের তুলনায় অন্তত পঞ্চাশ শতাংশ কম ঘামে। ফলে শরীরের অপ্রয়োজনীয় বর্জ্য পদার্থ বেরোতে পারে না। শুধু তাই নয়, যে পরিমাণ সোডিয়াম ঘামের সঙ্গে নির্গত হয় তা স্বাভাবিক সোডিয়ামের থেকে বেশি ঘনত্ব যুক্ত হয়।
- চিকিৎসকরা বলেন দেহ সাধারণত ঘামের সাথে বের হওয়া সোডিয়াম এবং ইলেক্ট্রোলাইটগুলো পুনরায় শোষণ করে । কিন্তু ট্যাটু করা ত্বকে এই শোষণ প্রক্রিয়া কোনমতেই সম্ভব হয় না। কারণ শোষণ প্রক্রিয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ছিদ্রগুলো বন্ধ থাকে।
আরো পড়ুন – Soybeans: সয়াবিন বড়ি এর উপকারিতা! তাহলে ‘সয়াবিন বড়ি খাওয়ার নিয়ম’ জেনে নিন!
- ট্যাটু করার সময় মাথায় রাখবেন যাতে সম্পূর্ণ নতুন নিডল ব্যবহার করা হয়। তা না হলে বিভিন্ন রোগের সংক্রমণ হওয়ার সম্ভাবনা থেকেই যায়।
- ট্যাটু করা ছয় মাসের মধ্যে আপনি রক্ত দিতে পারবেন না। একান্ত যদি ট্যাটু করাতেই হয় তাহলে ৬ মাসের পরে যাতে রক্তদান করতে পারেন, সেই কারণে এত যেখান থেকে করাচ্ছেন সেখানকার বিল তারিখ সমেত নিয়ে রাখুন।
আরো পড়ুন – টাইট জামা কাপড় একদম নয়! টাইট জিন্স পড়লে বন্ধ্যাত্ব আসতে পারে, জানেন?
- ট্যাটু করার ফলে শরীরে যে পরিবর্তন হয় অর্থাৎ রক্তে যে বিভিন্ন পদার্থ এসে মেশে তার ফল মারাত্মক হতে পারে। সেই আশঙ্কা থেকেই রক্তদান করা থেকে বিরত থাকা উচিত এই সময়টায়।
- ট্যাটু করার পর যদি সংক্রমণ হয় সেই সময়ে কোন ভাইরাসের আক্রমণ হলে সেটা পরীক্ষায় ধরা পড়বে না। এইচআইভি, হেপাটাইটিস বি, কিংবা হেপাটাইটিস সি এর মতো মারাত্মক ভাইরাস এই সুযোগে নিজেদের বংশবিস্তার করে। তাই যখন আপনি বুঝবেন তখন অনেকটা দেরি হয়ে যাবে। এই বিষয়ে একটু সতর্ক থাকা দরকার।
আরো পড়ুন – মেয়েরাও হস্তমৈথুন করতে চায়! মেয়েদের হস্তমৈথুনে চিকিৎসকরা কি বলছে?
সবশেষে বলি শখ পূরণ করা ভালো কথা কিন্তু কোনভাবেই সুস্থ শরীরকে ব্যস্ত করার প্রয়োজনীয়তা নেই। তাই সবকিছু করুন নিজের স্বাস্থ্যের খেয়াল রেখে।