Breaking Bharat: আমির খান কেন বলিউডের পুরস্কার মঞ্চে থাকেন না? তিনি যে নিজেকে প্রতিমুহূর্তে ভাঙতে পারেন তার প্রমাণ আগেই মিলেছে। কিন্তু আমির খানের এত প্রতিভা থাকা সত্বেও স্বীকৃতি নিতে মানে পুরস্কার গ্রহণে তার এত অনীহা কেন? সবটাই কি SRK এর রাজনীতি?
সিনেমা জগৎটা বেশ চমৎকার । এর প্রতি অঙ্গে নতুন নতুন স্বপ্নের হাতছানি লুকিয়ে থাকে। আর সাধারণ মানুষ যে সব অলীক কল্পনাকে বাস্তবে সত্যি করতে চায় সেগুলো সিনেমার অভিনেতারা সহজেই করে ফেলেন। তাই তারা স্পেশাল। সহজেই তারকা হয়ে ওঠে আমাদের চোখে। আর ফ্যানেরা তাদের নিয়ে মাতামাতি শুরু করে দেয়। সেটা কিন্তু সুপারস্টারের কাছে বেশ অনুপ্রেরণাদায়ক।
মানে একদিকে বক্স অফিসের সাফল্য অন্যদিকে পুরস্কার এই দুই মিলেমিশে যেন একটা বৃত্ত সম্পূর্ণ করে। সাধারণত বলিউডের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানগুলো দেখার জন্য মানুষের মধ্যে একটা আগ্রহ লক্ষ্য করা যায়। এইসব অনুষ্ঠানের তারকারা সাধারণ মানুষের মনোরঞ্জনের জন্য এবং অনেক কিছু করেন যেটা বেশ আকর্ষণীয়।
আমির খানের পুরস্কার গ্রহণে তার এত অনীহা কেন?
কিন্তু এই সমস্ত পুরস্কারের মধ্যে আপনি একজন বলিউড সুপারস্টারকে কখনোই দেখতে পাবেন না। আমরা বলছি আমির খানের কথা। ৯০এর সময়কাল থেকে এখন পর্যন্ত বলিউডের কোন পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে আমির খান কে দেখা না যাওয়ার নেপথ্যে নাকি একটা বড় রাজনীতি আছে,জানেন?
সুপারস্টার আমির খান (Superstar Aamir Khan) একটু অন্য রকম সিনেমা করতে ভালোবাসেন। তিনি যে নিজেকে প্রতিমুহূর্তে ভাঙতে পারেন তার প্রমাণ আগেই মিলেছে। কিন্তু এত প্রতিভা থাকা সত্বেও স্বীকৃতি নিতে মানে পুরস্কার গ্রহণে তার এত অনীহা কেন?
আপনি যদি একটু ফ্ল্যাশব্যাকে ফিরে যান তাহলে দেখবেন নব্বইয়ের দশকে একাধিক বার সেরা অভিনেতার মনোনয়নের তালিকায় জায়গা করে নেন আমির খান। কিন্তু এই সময় সব পুরস্কার চলে গেছে শাহরুখ খানের কাছে। বলিউডের একটা অংশ মনে করতো শাহরুখ খান (Shah Rukh Khan) এ সমস্ত পুরস্কার কিনতেন। তাই তাকেই এইসব পুরস্কার বিশেষ করে ফিল্ম ফেয়ার দেওয়া হত।
আরো পড়ুন – Nokia কত বড় সারপ্রাইস দিল জানেন? এক চার্জে তিনদিন চলবে Nokia T21 ট্যাবলেট?
এবার যা রটে তার কিছুটা তো অবশ্যই বটে । আপনি হয়তো জানেন না যে অভিনয় জগতে আত্মপ্রকাশ করার পর আমির খান কে অনেক অনুষ্ঠানে দেখা যেত। মানে ৯ ৯০এর দশকে তাকে যখন মনোনীত করা হয় তখন তিনি বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যেতেন।
এমনকি ১৯৯২ সালে ‘জো জিতা ওহি সিকন্দর’ ছবিতে অভিনয়ের জন্য সেরা অভিনেতাদের প্রাথমিক তালিকায় নাম ছিল আমিরের। যদি তিনি সেই পুরস্কার পাননি পেয়েছিলেন অনিল কাপুর। এরপর আবার ১৯৯৩ সালে ‘হম হ্যায় রাহি প্যার কে’ ছবির জন্য আমিরকে মনোনয়ন করা হয়েছিল।
আরো পড়ুন – kuldhara: কেন রাতারাতি গ্রাম ছাড়লেন হাজার হাজার মানুষ? কুলধারা গ্রামকে ঘিরে গড়ে উঠছে রহস্যে!
সেই বছরও তিনি পুরস্কার পাননি। ১৯৯৩ সালে বাজিগর সিনেমার জন্য শাহরুখ খান পুরস্কার পান। সেই শুরু, বলা যেতে পারে তারপর থেকে একচেটিয়া বলিউডের পুরস্কার মানে সেখানে কিং খান। রঙ্গিলা এবং দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে মুখোমুখি টক্কর দেওয়ার মতো পুরস্কার মনোনীত হয়েছিল।
আরো পড়ুন – Mia Khalifa: দুষ্টু ছবির নায়িকা মিয়া খালিফার সঙ্গে সলমান খানের নাম জড়ালো! মানে টা কি?
কিন্তু সেখানেও শাহরুখ খানের কারিশমা কাজ করে। তাহলে কি শাহরুখ খানের সঙ্গে পুরস্কার আয়োজক সংস্থার কোন যোগ সাজস্ ছিল এ প্রশ্ন মনে মনে উঠতে শুরু করে আমির খানের। এরপর থেকে কার্যত পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে যাওয়া বন্ধ করে দেন আমির। সেই ট্রেডিশন আজও চলছে। প্রকাশ্যে অবস্থা এই নিয়ে কোনদিনই মুখ খোলেননি আমির খান।