kuldhara village history: কেন রাতারাতি গ্রাম ছাড়লেন হাজার হাজার মানুষ? কোন কালো অধ্যায় কে আজও লুকিয়ে রেখেছে কুলধারা? কিন্তু রাতারাতি এমন কী কাণ্ড ঘটলো যে একটা গ্রাম থেকে সব মানুষ পালিয়ে গেলেন? নাকি, গ্রামের সব মানুষকে বাড়িঘর ছেড়ে বাধ্য হয়ে চলে যেতে হল?
ইতিহাস ফিসফিস কথা বলে যায় যা হয়তো আমরা শুনতে পাই না। কিছু ঘটনা অমর হয়ে থাকে কখনো তার ভালো গুণের জন্য কখনো বা ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কারণে। এমন অনেক অধ্যায় রয়েছে যেগুলো অতীতের পাতায় চাপা পড়ে গেছে আর আমরা বর্তমানে সেটা দেখতে বা পড়তে ভয় পাই।
কুলধারা গ্রামকে ঘিরে গড়ে উঠছে রহস্যে!
সেই কোন আদিকাল থেকে মানুষ নিজের বসতি গড়তে শুরু করেছে। নিজেদের উন্নত সমাজ ব্যবস্থা তৈরির মাঝে নানা কুসংস্কার মনগড়া কাহিনী সমাজের পাতায় পাতায় জায়গা করে নিয়েছে। এমন কিছু রহস্য আছে যেগুলোর সমাধান আজও হয়নি (kuldhara village haunted story in bengali)।
ইতিহাস হয়ে বিস্মৃতির অতলে ঢাকা পড়ে গেছে। আজ তেমনি এক জায়গার সঙ্গে পরিচয় করার পালা এই প্রতিবেদনে। রাজস্থান জয়সলমীর শহর থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে কুলধারা (Kuldhara) নামে একটি গ্রামকে ঘিরে গড়ে ওঠা রহস্যের কথা বলব আমরা (haunted village in rajasthan)।
কেন রাতারাতি গ্রাম ছাড়লেন হাজার হাজার মানুষ?
অনেক মানুষ মিলে একটা পরিবার গড়ে তোলেন। তারপর সেই পরিবার থেকে একজন একজন করে সদস্য যখন হারিয়ে যেতে থাকেন তখন একটা বড় শূন্যস্থান তৈরি হয়। কিন্তু রাতারাতি এমন কী কাণ্ড ঘটলো যে একটা গ্রাম থেকে সব মানুষ পালিয়ে গেলেন? নাকি, গ্রামের সব মানুষকে বাড়িঘর ছেড়ে বাধ্য হয়ে চলে যেতে হল?
আরো পড়ুন – পোকামাকড় রেঁধে খান কারা? কীটপতঙ্গ বা পোকামাকড় খাদ্য হিসাবে ব্যবহার করা হয় জানেন?
আমরা কোন কুসংস্কারকে প্রশ্রয় দিই না কিন্তু এই গ্রামের মানুষ বিশ্বাস করেন যে তাদের এলাকার সঙ্গে জড়িয়ে আছে ভৌতিক নানা কার্যকলাপ। এই গ্রামটা নাকি অভিশপ্ত তাই পুরনো বাড়ি আজ ধ্বংসস্তূপ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। ২০০ বছর আগে গ্রামের বাসিন্দারা এক রাতের মধ্যে গ্রাম খালি করে চলে যান। কিন্তু কেন?
কুলধারা রাজস্থানের রহস্য:
এর জন্য একটা লোক কাহিনীর উপর ভরসা করতে হবে আপনাকে। এখানকার মানুষের বিশ্বাস এই গ্রামেই ছিল এক ব্রাহ্মণের মেয়ে দেওয়ান সেলিম সিংকে পছন্দ করত। সেলিম সিং-ও ওই তরুণীকে বিয়ের প্রস্তাব দিলেও পালিওয়াল ব্রাহ্মণরা সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে। এরপর অত্যাচার শুরু হয় আর সেই অত্যাচার থেকে বাঁচতেই কুলধারা গ্রামের বাসিন্দারা পালিয়ে যান (ghost village in india)। গ্রামটির স্থাপনকাল ১২৯১।
আরো পড়ুন – Mia Khalifa: দুষ্টু ছবির নায়িকা মিয়া খালিফার সঙ্গে সলমান খানের নাম জড়ালো! মানে টা কি?
পালিওয়াল ব্রাহ্মণরা এখানে বসতি স্থাপন করেন এবং বেশিরভাগ বাসিন্দাই কৃষি, পশুপালন ও ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এখন সবটাই পরিতক্ত আর তাই এটা পর্যটন স্থান। যদিও রাতে এখানে যেতে কেউ সাহস পান না। রাজস্থান মানে এমনিতেই গ্রীষ্মকালে প্রচণ্ড উত্তপ্ত থাকে এলাকা।
আরো পড়ুন – প্রতিদিন ৭০ লক্ষ টাকা খরচ করা এই গৃহবধূকে চেনেন? কী করেন ওই গৃহবধূ?
শীতকালে এখানে ঘুরতে যেতেই পারেন, প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এই গ্রামে ঢুকতে পারেন পর্যটকরা। সূর্যাস্তের পর এই গ্রামের দিকে কেউ যাওয়ার সাহস করেন না। যদি গাড়ি নিয়ে যেতে চান তবে এই গ্রামে ঢুকতে গেলে ৫০ টাকা এবং সাধারণ পর্যটকদের ২০ টাকা ফি দিতে হয়।
আরো পড়ুন – Indian millionaires: ভারতীয় কোটিপতিরা কি দেশ ছাড়ছেন? কী ব্যাপার বলুন তো?
বিদেশি হলে অবশ্য দুটো ক্ষেত্রেই টাকার পরিমাণটা আরেকটু বেড়ে যায়। এখনো পর্যন্ত গ্রামের মানুষের চলে যাবার প্রকৃত কারণ সকলের সামনে আসেনি।