Breaking Bharat: মোবাইল নিয়ে বাথরুমে বসে থাকেন? বাথরুমে মোবাইল নিয়ে যাওয়া কি অভ্যাস? নাকি এখানেও লুকিয়ে আছে বিপদের ঘন্টা ধ্বনি? (Use of mobile phones in the bathroom)
আজকের যুগে দাড়িয়ে মোবাইল ছাড়া মানুষ বেঁচে থাকতে পারেন না। এপাশ থেকে ওপাশে ঘুরতে গেলে সবার আগে মোবাইলের প্রয়োজন হয়। আর একটা সময়ে আমরা এই মোবাইলের জ্বরে এতটাই জড়িয়ে পড়ি যে রাতের পর রাত না ঘুমিয়েও মোবাইল ঘাঁটি।
এই সবটা করতে করতে কিন্তু ক্রমাগত নেশা টা বাড়তেই থাকে, যাকে আটকানোর উপায় আর খুঁজে পাওয়া যায় না। বেডরুম থেকে বাথরুম সর্বক্ষণের সঙ্গী শুধুই মোবাইল ফোন । আসলে কিন্তু এই অবস্থা চরম বিপদের সংকেত বহন করছে যে আপনি বুঝতে পারছেন না (In the bathroom with mobile phone)।
মোবাইল নিয়ে বাথরুমে বসে থাকেন?
মোবাইল নিয়ে আমরা কাজকর্ম করতে অনেক বেশি অভ্যস্ত হয়েছি করোনা কালে। যত সময় গেছে তত ওয়ার্ড, এক্সেলে কাজ করতে করতে pdf নিয়ে ঘাটাঘাঁটি করতে করতে, চ্যাটিং বা সিনেমা দেখা সবটাই যেন জামা কাপড় বদলানোর মতো চেনা রুটিন হয়েছে। এই সবকিছুই আমরা মোবাইলে করছি।
আরো পড়ুন – তিল-আঁচিল নিয়ে সমস্যায়! তাহলে ‘তিল বা আঁচিল দূর করার উপায়’ বলছি আমরা
নেশা কেমন পর্যায়ে চলে গেছে এক মুহূর্তের জন্য মোবাইল হাতছাড়া করতে পারছি না। আগেকার দিনে মনে করা হতো বাথরুমের জিনিসপত্রের সঙ্গে বাড়ির অন্যান্য ঘরের কোন স্পর্শ থাকবে না। আর আজকাল ভাবুন বাথরুম থেকে সোজা বেডরুমে মোবাইলের অভাব যাতায়াত।
আরো পড়ুন – Electricity bill: ইলেকট্রিক বিলের জ্বালায় রাতে ঘুম হচ্ছে না? কী করে বিদ্যুৎ খরচ কমাবেন?
এটা কিন্তু মারাত্মক ক্ষতিকর এবং বিপদের কথা স্মরণ করায়। বাথরুম মানে রোগ জীবাণুর আঁতুড়ঘর এ কথা স্বীকার করবেন নিশ্চয়ই। বেশিরভাগ সময় যদি আপনি ‘মোবাইল নিয়ে বাথরুমে বসে থাকেন‘ তার মানে কিন্তু রোগ জীবাণুর আক্রমণের প্রধান টার্গেট হচ্ছেন আপনি (talking on phone in the bathroom)।
আরো পড়ুন – Toothbrush: ব্যবহার করা টুথব্রাশ ফেলে দিচ্ছেন? পুরনো টুথব্রাশ ব্যবহার করুন নানা কাজে
‘বাথরুমে মোবাইল ব্যবহার’ করলে কি কি সমস্যা হতে পারে?
- ধরুন সাধারণ সময় আপনার বাথরুমে লাগে কুড়ি মিনিট কিন্তু মোবাইলের নেশায় কিছু দেখতে দেখতে বা কোনো কিছু শুনতে শুনতে সেটা হয়ে যাচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ মিনিট। বুঝতেই পারছেন এই যে অতিরিক্ত সময়টা সেই সময় আপনি বাথরুমে আছেন মানে আপনার কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা হতে পারে।
- টয়লেট সিটের দীর্ঘক্ষণ বসে থাকতে থাকতে স্পর্শের মতো সাংঘাতিক রোগ আপনার চিরসঙ্গী হতে পারে। সঠিক সময় চিকিৎসা না হলে সেটা কিন্তু বড়সড়ো সমস্যা এনে দিতে পারে আপনার জীবনে। এখানেই শেষ নয়, বাথরুমে যেহেতু আর্দ্র পরিবেশ থাকে তাই সেখানে ব্যাকটেরিয়া বেশি মাত্রায় বাসা বাঁধে।
- সেই সমস্ত জীবাণু ফোনের মধ্যে বংশবিস্তারের চেষ্টা করে থাকে। ফোন বারবার নাড়াঘাটা করতে করতে হাতের মধ্যে সেই ব্যাকটেরিয়া থেকে যায়। এর ফলে অন্ত্রের সমস্যা, মূত্রনালীর সংক্রমণ, পেটের গন্ডগোল ইত্যাদি লেগেই থাকে যার সঠিক কোন কারণ খুঁজে পাওয়া যায় না।
- এবার একটু অন্য ধরনের বিষয় বলা যাক। সেটা হলো ক্রিয়েটিভিটি বা শিল্প সত্তা। মানে গায়ক থেকে শুরু করে নায়ক, লেখক থেকে শুরু করে সাহিত্যিক- এ কথা যুগে যুগে তারা নিজেরাই স্বীকার করেছেন যে সৃষ্টির অন্যতম জায়গা হয়েছে বাথরুম।
- বিষয়টা একটু হাস্যকর মনে হলেও এটাই সত্যি কারন বাথরুমে একাধিক গান সুর লেখার জন্ম হয়েছে এবং ভবিষ্যতেও হবে। মনোবিদরা বলেন মানুষ যখন বাথরুমে যান তখন সব কাজ ভুলে সেখানে গিয়ে কিছুটা সময়ের জন্য স্বস্তি পেতে চান। মাথা বিশ্রাম পায় অন্যরকমের চিন্তাভাবনা করতে পারে।
- সেখানেও যদি ক্রমাগত মোবাইল চোখের সামনে ভাসতে থাকে তাহলে সেটা কোনও দিক দিয়েই আপনার মস্তিষ্কের এবং মনের স্বাস্থ্যের জন্য লাভজনক নয়।
সবশেষে বলা দরকার যন্ত্র কে আপনি চালনা করেন যন্ত্র আপনাকে এগিয়ে নিয়ে যায় না। এই বিষয়টার বিষয়ে একটু সতর্ক থাকা দরকার। প্রয়োজনের সময় কাজের সময় মোবাইল অবশ্যই ব্যবহার করুন কিন্তু অকারণে বিষয়টিকে আসক্তির পর্যায়ে নিয়ে গিয়ে নিজের বিপদ নিজে কখনোই ডেকে আনবেন না।