Breaking Bharat : (Poet Bidyut Bhowmick) সম্পাদকীয়–আমেরিকার বোস্টন থেকে বিশিষ্ট লেখক ও প্রাবন্ধিক ডঃ আদিত্য বসুর কলম কথা : কবিতার আত্মবীজ জন্মের পর মস্তিষ্ক গর্ভে চালান করে দিয়ে ছিলেন অদেখা ঈশ্বর !” এ কথা হাসতে হাসতে বলে উঠলেন প্রিয় কবি বিদ্যুৎ ভৌমিক ৷ আসলে কবিতা”- কে এতটাই উনি সময় দেন যা প্রত্নতাত্ত্বিক দিয়ে খোঁজ খবর নিলে অনুধারন করা যাবে তিনি জাত কবি ! কখনো কবিতাকে তিনি নীল শাড়ি পড়িয়ে শহর কলকাতার রাস্তা দিয়ে বৃষ্টিতে ছাতা হাতে হাঁটতে শোখান ! আবার কখনো কবির দর্শনে ত্রিসীমানায় একই আলিঙ্গনে সন্নিহিত অথবা মৃত্যুর একান্ত কাছাকাছি ; রাত্রির অগ্নিশুদ্ধ বেয়াব্রুময়ী !
৯০”- এর সময়ের প্রথম ও শেষের দিকের নিতান্ত মধ্যভাগে কবি বিদ্যুৎ ভৌমিক (Poet Bidyut Bhowmick) এর কবিতাগুলো অনেকটাই পাকা হাতের ড্রাইভারের মতো সৃজন শক্তি দিয়ে স্টিয়ারিং ধরার মতো এতটাই মেধাবী এবং বুদ্ধিদীপ্ত বলা যায় ৷ তাঁর কলমে ১৯৯৬”- এর সময় থেকে নবনীতা”- নামক শব্দটা বেশিরভাগ কবিতায় আয়নায় প্রতিবিম্ব হয়ে স্পষ্ট হয়ে উঠতো ! পাঠক সমাজ নিভৃতে ও প্রকাশ্যে সেই নবনীতা”- র জন্য পাগল হয়ে যেত ! এখনো কবি বিদ্যুৎ কবিতা বলতে মঞ্চে উঠলে শ্রোতারা তাঁর কাছে নবনীতা নিয়ে কবিতা শুনতে চায় ! এই হল কবি বিদ্যুৎ ভৌমিক এর কবিতার ম্যাজিক রিয়্যালিটি !ডঃ আদিত্য বসু ১৩ / ০৪/২০২০ বোস্টন ,আমেরিকা
আরো পড়ুন- Narendra Modi : ডিপোজিট বিমা নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর
ধ্রুপদী কবিতা: চরিত্র পাঁচালি : বিদ্যুৎ ভৌমিক
নিতান্ত এভাবেই একান্নভাগ নিজের চরিত্র অন্তর্জলী যাত্রা পেরিয়ে সমৃতি সময়ের নিভৃত কঙ্কাল ; রক্তের পথ হেঁটে হেঁটে দর্পণে একক এবং !পরবর্তীতে উনপঞ্চশ চরিত্র ; পরিচিত মনে ব্যথার ফাল্গুন কবিতার স্তবকে স্তবকে ভীষণ স্বর্গীয় ! কথা শিক্ষার ক্লাসরুমে থেকে আমার আত্মা স্মৃতি নির্মাণে বহু দূরের রোদ্দুরের পথ ধরে চলে এলে ; নীরবে নিঃশব্দকে ছুঁই ! ভেতরের আমিটার কাছে ছদ্মবেশী নিতান্ত নিয়মের মত ! যদিও অন্তর কথায় স্নান ঘরে নগ্ন আমি ; নির্ঘুম পৌরুষে ছুঁয়ে নেই আদেখা হৎপিন্ড ,! এই চোখ মিথ্যে দেখেছে , মন তবু স্পষ্ট বেসেছে ভালো এভাবেই ৷
এই রাস্তায় বৃষ্টি এসে ভিজিয়েছে মন ; কান্নার গভীরে ঢাকা নীরব শীহরণ ! এই হাত ধরে চলেছে সময় ; হৃদয় চোখ বোঝেনি সবটা ৷ সন্তর্পণে শব্দহীন ছায়াপ্রেত গুলো দেবতার কাছে চেয়েছে যৌন ইশারা ! আমিকি ভুলেছি সব ; নিছক স্মৃতি স্বপ্নদের,সমস্ত দোষ গুলো রাতভোর বৃষ্টিতে ভিজে ভিজে নিজের কান্নার দাগ সহজে মুছেছে ! এই এক গভীরের প্রাণ ; অবেলায় একান্তে করে আমার রক্ত পান !! সবটাই দর্পণে দেখি,ভাঙা ঘুম ,ছেড়া স্বপ্নে !!
লেখনী কাল : ২৫/০২/১৯৯৬,স্থান : কবির বাসগৃহ-ছায়ানীড়,শ্রীরামপুর , হুগলী , ভারত ,পশ্চিমবঙ্গ