Breaking Bharat: MRI, XRAY আর সিটি স্ক্যানের বিষয়ে ঠিক কোন ধারণা পোষণ করেন আপনি? তবে অনেকেই এই টেস্ট গুলোর মধ্যে বেসিক পার্থক্য কোথায় সেটা বুঝতে পারেন না, এবার আপনাকে বলি সিটি স্ক্যান পদ্ধতির সময় ঠিক কী ঘটনা ঘটে?
শরীর থাকলেই সমস্যা হবে। কিন্তু আপনি কত দ্রুত সেই শারীরিক সমস্যার থেকে মুক্ত হতে পারছেন সেটাই হল আসল কথা। ইদানিং কালে কোনও শারীরিক অস্বস্তি হলে ডাক্তাররা সবার আগে বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষার কথা বলেন। আর সাধারণ মানুষ তখন ডাক্তারি পরিভাষার নানা টার্মস এর সঙ্গে পরিচিত হন।
শিরোনামে যে টেস্ট এর কথা বলা হয়েছে সেগুলোর সঙ্গে কম বেশি আমরা সকলেই পরিচিত। তবে অনেকেই এই টেস্ট গুলোর মধ্যে বেসিক পার্থক্য কোথায় সেটা বুঝতে পারেন না। আজকের প্রতিবেদন তাদের জন্য।
MRI, XRAY আর সিটি স্ক্যান করেন আপনি?
এক্স-রে এবং সিটি স্ক্যানের মধ্যে খুব সুক্ষ মিল আছে বটে কিন্তু আসল পার্থক্য হল এই টেস্টের মাধ্যমে কী নির্ধারণ করা হচ্ছে সেটাই। যেমন উদাহরণ দিয়ে বলা যায় এক্স-রে সাধারণত হাড় ভাঙা এবং বা হাড় সরে যাওয়া ইত্যাদি সনাক্ত করতে ব্যবহৃত হয়। অধুনা চিকিৎসা বিজ্ঞানে নিউমোনিয়া, ক্যান্সারও শনাক্ত করা সম্ভব হয়।
কিন্তু যদি আপনি সিটি স্ক্যানের কথা বলেন তাহলে জানিয়ে দিল রাখি এটা উন্নত এক্স-রে পদ্ধতি। যা অভ্যন্তরীণ অঙ্গ নির্ধারণ করতে বা কোনো আঘাত শনাক্তকরণের কাজে লাগে। এর মাধ্যমে একদিকে যেমন কম্পিউটারের ছবি মেলে তেমন এক্স-রে প্লেটও পাওয়া যায় ।
আসলে বলতে পারেন এক্স-রে মেশিনগুলি যদি কখনও নরম টিস্যু, পেশীর ক্ষতি এবং শরীরের অন্যান্য অঙ্গগুলোর আঘাতের পরিমাণ নির্ণয় করতে না পারে সেই ক্ষেত্রে কম্পিউটেড টমোগ্রফি বা সিটি স্ক্যানের প্রয়োজন হয়। এক্স-রে এর ছবি 2D তে থাকে, যেখানে সিটি স্ক্যানে 3D ছবি পাওয়া যায় যাতে চিকিৎসকদের সুবিধা হয়।
আপনি কি জানেন যে রোগ সনাক্ত করতে বিভিন্ন ধরণের মেশিন ব্যবহৃত হলেও এই দুটির ব্যবহার তুলনামূলক ভাবে বেশি। এক্স-রে মেশিন আলোক বা রেডিও তরঙ্গ বিকিরণ করে। এই বিকিরণ হাড়ের মতো বস্তুর মধ্য দিয়ে যায়। এর ফলে এক্স-রে ফিল্মে সাদা হয়ে রিপোর্ট প্রদর্শিত হয়।
আরো পড়ুন – আশীর্বাদের রীতির সঙ্গে ধান আর দূর্বার কী সম্পর্ক বলুন তো?
এবার আপনাকে বলি সিটি স্ক্যান পদ্ধতির সময় ঠিক কী ঘটনা ঘটে? এই ক্ষেত্রে প্রথমেরোগীকে টেবিলে শুয়ে পড়তে বলা হয়। এটাই আসলে সিটি স্ক্যানারে স্লাইড হয়। এরপর স্ক্যান করা শুরু হলে এক্স-রে মেশিন প্রায় ৩৬০ ডিগ্রীতে ঘুরতে থাকে এবং সেই অংশের অনেকগুলি ‘স্লাইস’ তৈরি হয়।
এই সবটাই মনিটরে রেডিওলজিস্টরা দেখতে পান। তাহলে বুঝতে পারলেন তো বিষয়টা কতটা আলাদা আর ঠিক কোথায়। এবার আসি এমআরআই- এর প্রসঙ্গে।
আরো পড়ুন – পরীক্ষার ক্ষেত্রে মেয়েরা কেন সব সময় এগিয়ে যায়? মেয়েরা আবারও বেশি নম্বর পেয়ে গেল তো?
এমআরআই স্ক্যান আসলে ইলেকট্রন প্রোটনের একটা কম্বিনেশন ট্র্যাক বলতে পারেন। প্রত্যেকটা পরমাণু ছোট চুম্বকের মত কাজ করে। এবার দেখুন চুম্বক ক্ষেত্রকে যদি অন্য একটি শক্তিশালী চুম্বক ক্ষেত্র, মানে যাকে বলে রেডিওফ্রীকোয়েন্সি উদ্দীপনা দিয়ে আলোড়িত করা সম্ভব হয়, তাহলে সেটি প্রতিক্রিয়ায় একটা প্রতিচ্ছবি দেবে।
আরো পড়ুন – শাক খাওয়ার উপযুক্ত সময় আছে কি? রাত্রে শাক খাওয়ার ক্ষেত্রে কি নিষেধাজ্ঞা জারি করা আছে?
আবার আলোড়ন শেষ হয়ে গেলে অন্য প্রতিচ্ছবি পাওয়া যাবে । আসলে এক একটা টিস্যু এক এক রকমের প্রতিক্রিয়া দেয় আর সেখান থেকেই রোগ নির্ণয় করা সহজ হয়। সব টিস্যু একইভাবে আলোরণে উদ্দীপিত হয় না। মনে রাখতে হবে শরীরে কোন চুম্বকীয় পদার্থের তৈরী ইমপ্ল্যান্ট যেমন পেসমেকার বা এনিউরিজম ক্লিপ উপস্থিত থাকলে এমআরআই করা যায়না।