Breaking Bharat: রাতে ঘুমের মধ্যে কাশি আসে? আসলে ‘রাতের কাশি ঘুমের দফারফা’ করে দেয়। কিন্তু এর কারণ কী? সতর্ক হোন, লক্ষণ ভাল নয় (uncontrollable coughing at night)।
জীবন বড় অনিশ্চিত। কখন কী ঘটে যায় কেউ জানে না। রোগ জানিয়ে আসে না। আর সেই রোগ যখন তখন বড় বিপদ ঘটিয়ে দেয়। এই বিষয়টা অনেকেই জানেন না। কিন্তু এর কারণ কী? ব্রঙ্কাইটিস বা শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ হচ্ছে না তো?
হজমের সমস্যা হলেও কিন্তু একই ঘটনা ঘটতে পারে। এই বিষয়ে সতর্ক হওয়া দরকার। আজকের এই প্রতিবেদন সম্পূর্ণ পড়ুন আর জেনে নিন অনেক অজানা তথ্য যা ভবিষ্যতে আপনার ব্যবহারিক জীবনে কাজে লাগবে।
রাতে ঘুমের মধ্যে কাশি! কিন্তু এর কারণ কী?
রাতের ঘুম মানুষের জীবনে সব থেকে প্রয়োজনীয়। কিন্তু সেখানে যদি ব্যাঘাত ঘটে তাহলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে আপনাকে। অনেকেই রাত্রি বেলা মাঝে মাঝেই কেশে ওঠেন। সেক্ষেত্রে বিষয়টিকে হালকা ভাবে নেবেন না। অবশ্যই এর জন্য চিকিৎসা করাতে হবে আপনাকে।
ঘরোয়া টোটকা ব্যবহার করে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। তবে এর জন্য জানা দরকার ঠিক কী কারনে সমস্যা হচ্ছে। ‘হাঁপানি বা শ্বাসযন্ত্রের অসুস্থতা‘ থাকলে রাতের বেলায় এরকম কাশি হতে পারে। হজমের গন্ডগোল থাকলেও এই ঘটনা ঘটা ব্যতিক্রম নয়। অনেক ক্ষেত্রে এলার্জি থেকেও এমন হয়।
কাশির লক্ষণ দেখে চিকিৎসা:
সে ক্ষেত্রে চাদর বিছানা মানে যেখানে আপনি ঘুমোতে যান সেগুলো প্রতিদিন বদলানো দরকার। মাথায় রাখবেন রোগ হলেই মুঠো মুঠো ওষুধ খেতে হবে এমনটা নয়। যেকোনো ওষুধেরই পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থাকে। যাত্রা অজান্তেই পরবর্তীকালে বড় রোগ তৈরি করে দেয়। তবে ডাক্তারি পরামর্শ নিয়ে চলা আবশ্যক (stop uncontrollable coughing at night)।
আরো পড়ুন – আদিবাসী জনগোষ্ঠী! ‘আফ্রিকার আদিবাসীদের রীতি রেওয়াজ’ সম্পর্কে জানেন?
কিছু ঘরোয়া টোটকার কথা আমরা বলতে পারি। যেমন ধরুন প্রতিদিন ঘুমোতে যাবার আগে হালকা জল গরম করে তাতে নুন দিয়ে গার্গেল করুন। এটা গলা থেকে অবাঞ্ছিত কণা ও রোগ-জীবাণু বের করে দিতে ও সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
আরো পড়ুন – নিজের স্কিন সুস্থ রাখতে জানেন? আপনার ‘স্কিন ড্রাই নাকি ডিহাইড্রেটেড’ সেটা জানেন তো?
এছাড়া ঘুমানোর আগে লেবু ও মধু দিয়ে উষ্ণ গরম জল খেলে গলা ব্যথা কম হয়। ফলে গলার আরাম মেলে। কিন্তু শিশুদের ক্ষেত্রে এই পদ্ধতি প্রয়োগ করা যাবে না। চায়ের সঙ্গে এক কুচো আদা খেলেও খেতে পারেন। আদার রস হাঁপানি ও শুষ্ক কাশি দূর করতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নেয়।
আরো পড়ুন – কুমারীদের কীভাবে ‘কুমারী পুজোয়’ নির্বাচন করা হয় ? কুমারীদের এই বিষয়টা জানা দরকার!
আবার ধরুন মৌরি, ইউক্যালিপটাস, পেপারমিন্ট লেবুর গাছ থেকে তৈরি তেল কাশি কমাতে সাহায্য করে বলে বিভিন্ন সমীক্ষায় দেখা গেছে। প্রয়োজনে ভেপার নিয়েও সমস্যা সমাধানের উপায় খুঁজতে পারেন (stop coughing at night naturally)।
আরো পড়ুন – Neelakurinji: নীলকুরিঞ্জি! যে ফুল ১২ বছরে একবার ফোটে, এমন ফুল সম্পর্কে জানেন কি?
মাথায় রাখতে হবে, রাতের পর রাত যদি কাশির জন্য ঘুম ভেঙ্গে যায় বা না ঘুমোতে পারেন সেটা কখনোই হালকা ভাবে নেওয়া উচিত নয়। যেকোনো তথ্য বা ওষুধ নিজের দেহে বা প্রিয়জনের ওপর প্রয়োগ করার আগে সেই সম্পর্কে যথাযথ জেনে নিন এবং ডাক্তারি পরামর্শ অবশ্যই নেওয়া বাঞ্ছনীয়। সুস্থ থাকুন এবং ভালো থাকুন।