Breaking Bharat: মিঠুন চক্রবর্তীর ছেলে জুনিয়র আর্টিস্ট হওয়ারও যোগ্য নয়? বাবা হিসেবে কী ভাবছেন মিঠুন? বাবা মিঠুন চক্রবর্তীর চোখে এখনো জল আসে ছেলের প্রথম ছবির ব্যর্থতার কথা কোথাও আলোচনা হলে। কিন্তু বাবার যতটা কৃতিত্ব আছে ছেলে কি আদৌ বিনোদন জগতে এতটুকু প্রভাব ফেলতে পেরেছে ?
গোটা দেশের কাছে যিনি ডিস্কো ড্যান্সার হিসেবে পরিচিত, যিনি সত্তর বছর পেরিয়ে গিয়েও প্রজাপতির মতো সুপারহিট সিনেমা করতে পারেন, যিনি বোম্বে কাঁপিয়ে ভারত নাচিয়ে বাংলাতে ফাটাকেষ্ট হয়ে উঠতে পারেন, সেই মানুষের ছেলের নাকি সামান্য জুনিয়র আর্টিস্ট হওয়ার যোগ্যতাও নেই (Mithun Chakraborty’s son Mimo Chakraborty has failed)।
বাবা মিঠুন চক্রবর্তীর চোখে এখনো জল আসে:
হ্যাঁ আমরা মিঠুন চক্রবর্তী এবং তার ছেলে মিমো চক্রবর্তীকে নিয়ে কথা বলছি। একটু অবাক লাগছে শুনতে কিন্তু এটাই সত্যি কথা। অন্তত সিনেমা ইন্ডাস্ট্রি প্রথম ছবির ব্যর্থতার পর মিমো চক্রবর্তীকে (Mahaakshay Chakraborty) নিয়ে এমনই মত প্রকাশ করেছিল। বাবা মিঠুন চক্রবর্তীর চোখে এখনো জল আসে ছেলের প্রথম ছবির ব্যর্থতার কথা কোথাও আলোচনা হলে।
এতগুলো বছর পর কেন এই নিয়ে কথা হচ্ছে এই প্রশ্ন আপনার মনে জাগতেই পারে। আসলে যারা নিয়মিত সোশ্যাল মিডিয়া ফলো করেন তারা হয়তো জানবেন যে সম্প্রতি একটি টিভি শো তে এই প্রসঙ্গ উত্থাপন হওয়ায় মিমো চক্রবর্তী তার জীবনের ব্যক্তিগত নানামুহুর্তের কথা ক্যামেরার সামনে তুলে ধরেছেন।
তাতে ফের নস্টালজিক হয়েছে বাঙালি তার পাশাপাশি বুঝেছে যে বাবা কতটা ছেলের প্রতি সহানুভূতিশীল। এখানে সেলিব্রেটি ,সুপারস্টার, সাধারণ মানুষ কারোর মধ্যে কোনও পার্থক্য নেই।
বাবার নখের যোগ্য নয় ছেলে?
মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty) সম্পর্কে, তার অভিনয়ে ডায়লগ ডেলিভারি এবং নাচ সম্পর্কে প্রশ্ন তোলার জায়গা, আগেও ছিল না এখনো নেই। কিন্তু বাবার যতটা কৃতিত্ব আছে ছেলে কি আদৌ বিনোদন জগতে এতটুকু প্রভাব ফেলতে পেরেছে? খুব সাধারন একজন মিঠুন ফ্যানও বলে দেবেন বাবার নখের যোগ্য নয় ছেলে।
এমন কথা শুনতে শুনতেই ব্যর্থ তাকে মুখ বুজে সহ্য করতে হয়েছে মিঠুনপুত্র মিমো চক্রবর্তীকেও। মিমো আজও ভুলতে পারেননি তার প্রথম ছবি ‘জিমি’র মুক্তির পর একটি রিভিউতে লেখা হয়েছিল, তিনি নাকি জুনিয়র আর্টিস্ট হওয়ার যোগ্য নন। এখানেই শেষ নয়, যেহেতু তারকা পুত্র তাই স্বভাবতই তাকে নিয়ে আলোচনা সমালোচনা একটু বেশিই হয়ে যায়।
আরো পড়ুন – kuldhara: কেন রাতারাতি গ্রাম ছাড়লেন হাজার হাজার মানুষ? কুলধারা গ্রামকে ঘিরে গড়ে উঠছে রহস্যে!
মিমোর একের পর এক ছবি বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়ার পর একটি কমেডি শো-তে তাঁর মা যোগিতা বালিকে নিয়ে ঠাট্টা করা হয়েছিল, বলে দুঃখ প্রকাশ করেছিলেন স্বয়ং মিমো। তিনি মিঠুন চক্রবর্তী ও যোগিতা বালির বড় ছেলে। দিশানি চক্রবর্তী তার বোন এবং ছোট ভাই, নমাশি সম্প্রতি ‘ব্যাড বয়’ ছবিতে বলিউডে ডেবিউ করেছেন।
আরো পড়ুন – Mia Khalifa: দুষ্টু ছবির নায়িকা মিয়া খালিফার সঙ্গে সলমান খানের নাম জড়ালো! মানে টা কি?
নিমাইটি সাক্ষাৎকারে বলেছেন প্রথম ছবির পর তিনি যথেষ্ট ভেঙ্গে পড়েছিলেন এতটাই কষ্ট পেয়েছিলেন যে কারোর সামনে মুখ দেখাতে লজ্জা পেতেন। বিক্রম ভাটের ‘হন্টেড থ্রিডি’, ‘লুট’, ‘রকি’, ‘শত্রু’, ‘ম্যায় মুলায়ম সিং যাদব’ ইত্যাদি ছবিতে কাজ করেছেন মিমও কিন্তু বক্স অফিসে সেই সব ছবি খুব একটা সাফল্য পাইনি।
আরো পড়ুন – প্রতিদিন ৭০ লক্ষ টাকা খরচ করা এই গৃহবধূকে চেনেন? কী করেন ওই গৃহবধূ?
ছেলে বুঝেছিলেন তার বাবা তারকা কিন্তু তার মাকে নিয়ে কথা বলায় সেটা মেনে নিতে পারেননি মিমো। মিঠুন চক্রবর্তী তার ছেলের পাশে আগেও ছিলেন এখনো আছেন এবং বাবার সমর্থন ভালবাসা পেয়ে মায়ের আশীর্বাদ পেয়ে আগামীতে সাফল্যকে নিজের মুখেই বন্দি করবেন এমন আশা প্রকাশ করেছেন মিমো।
সম্প্রতি ‘জোগিরা সারা রা রা’ ছবিতে দেখা গিয়েছে অভিনেতাকে যদিও সেখানেও বিশেষ কিছু করে উঠতে পারেননি। তবে এখনই হাল ছাড়তে নারাজ মিমো। লড়াইটা তিনি চালিয়ে যাবেন।