Breaking Bharat: পিন্ডদান করেন? মানুষের চলে যাওয়া কখনো কাঙ্খিত নয়, তবু কেউ ছেড়ে চলে গেলে পারলৌকিক নিয়ম মানতে হয়? জীবন বড় ক্ষণস্থায়ী , কে কতক্ষণ আছেন এটা বলা মুশকিল। মানুষের জন্ম নিতে ১০ মাস লাগে মরতে এক সেকেন্ড। তাই যতটা সময় পারেন আনন্দকে চেটেপুটে নিয়ে প্রাণ ভরে বাঁচুন। হাজার চেষ্টা করার পরও মৃত্যুকে এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব নয় (Gaya Pind daan)।
স্বাভাবিকভাবেই মৃত্যুর পর কিছু নিয়ম থেকেই যায় যা সামাজিকতার কারণে এবং ধর্মের কারণে পালন করতেই হয়। তেমনি একটা নিয়ম মানুষ মরে গেলে তার শ্রাদ্ধের অনুষ্ঠান করা। এরপর এক বছরের জন্য আত্মা প্রেতলোকে থাকে বলে শাস্ত্র মনে করে। এরপর এক বছর হয়ে গেলে বাৎসরিক করতে হয়। তবে অনেকেই হয়ত গিয়ে ‘পিন্ডদান‘ করেন। এরপর আর মৃত ব্যক্তির আত্মার শান্তির জন্য কোনও কাজ করার প্রয়োজন হয় না।
কেউ ছেড়ে চলে গেলে পারলৌকিক নিয়ম মানতে হয়?
অনেকেই বুঝতে পারেন না ঠিক কোন সময়টায় পিন্ড দান করা যেতে পারে? এক্ষেত্রে আপনাকে মনে রাখতে হবে পিন্ড দান করার জন্য ‘সাধারণ মৃত্যু এবং দুর্ঘটনায় মৃত্যু‘র মধ্যে আলাদা আলাদা বিশেষ পদ্ধতি মানা হয় । মৃত্যুর এক বছর পর বাৎসরিক হয়ে যাওয়ার পর থেকে আপনি যেকোনো সময় পিন্ড দান করতে পারেন।
কিন্তু সেটা যদি সম্ভব না হয় তাহলে আপনি অন্য সময়ও করতে পারেন কিন্তু প্রতি বছর বাৎসরিক শ্রাদ্ধের পুজো আপনাকে করতে হবে। মানুষ যেহেতু এখনো অন্ধবিশ্বাস আর কুসংস্কারে আচ্ছন্ন হয়ে রয়েছেন তাই সহজেই প্রতারকরা এই ব্যাপারটাকে প্রাধান্য দিয়ে মানুষকে সর্বস্ব লুট করার চেষ্টা করেন।
আশ্রমের মাধ্যমে ‘পিন্ডদানের পূণ্য‘ কাজ:
সেই কারণে প্রতারকদের হাত থেকে যাতে রেহাই পাওয়া যায় সেই মতো নিজেকে সজাগ থাকতে হয়। অনেকেই এক্ষেত্রে বিভিন্ন আশ্রমের মাধ্যমে ‘পিন্ডদানের পূণ্য‘ কাজটি করে থাকেন। সেক্ষেত্রে ঝুঁকের সম্ভাবনা অনেকটাই কম। আর মনে রাখতে হবে শাস্ত্র মতে ঠিকমতো করে যদি নিয়ম পালন না করা যায় তাহলে সেটা কখনোই আত্মাকে শান্তি দিতে পারে না।
আপনি যাকে এত ভালবাসেন সেই মানুষটি যখন আপনার থেকে দূরে তখনও তো আপনি চাইবেন তিনি যেখানেই থাকুন ভালো থাকুন। তাই সঠিকভাবে কাজটি হচ্ছে কিনা সেটা খেয়াল রাখা দরকার । কারণ পিন্ড দানের পৌরাণিক মাহাত্মক রয়েছে বটে।
আরো পড়ুন – নিয়মিত আই ব্রো করান তো? মাথার চুল বড় হয় কিন্তু চোখের ভ্রু বড় হয় না কেন?
অনেকেই ভাবেন বিবাহিত বা অবিবাহিত এরকম কোনও বাধা রয়েছে কিনা ‘পিণ্ডদানে‘র ক্ষেত্রে। মনে রাখতে হবে এটা পিতৃপুরুষের উদ্দেশ্যে করা হয় তাই সে ক্ষেত্রে আপনি বিবাহিত না অবিবাহিত এগুলি কোনও ফ্যাক্টরই নয়।
আরো পড়ুন – হেসে খেলে জীবন! কিন্তু হাসি পায় কোথা থেকে সেটা জানা আছে কি?
গয়া অনেক প্রাচীন শহর। সেখানকার রাস্তাঘাট বাজার ঘাট সবটাই একাধিক নিদর্শন বহন করে আছে। সেরকম হলেই আপনি সকালের ট্রেনে গয়া পৌঁছে স্টেশনে নেমেই সোজা গিয়ে কোনও প্রতিষ্ঠিত আশ্রম যেমন উদাহরণ হিসেবে বলা যায় ভারত সেবাশ্রম সংঘ, সেখানে যোগাযোগ করে, সঠিক পদ্ধতিতে পুজো পিন্ডদান সব সেরে রাতে ট্রেনে আবার ফিরে আসতে পারেন।
আরো পড়ুন – কন্যা সন্তানের জন্ম দেয়া ভাগ্যের ব্যাপারে সেটা জানেন? আপনার বাড়িতে কি কন্যা সন্তান আছে?
আমরা অবশ্য কোনও বিজ্ঞাপনী প্রচার এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে করছিনা। পুরোটাই আপনার বুঝতে সুবিধা হয় এবং সমস্যা কম হয় সে কারণেই বলা। আরেকটা বিষয় মাথায় রাখবেন আপনার প্রিয় মানুষকে আপনার থেকে বেশি আদৌ কেউ ভালবাসতে পারবেন কি? তাহলে সেই ভালোবাসাকে শ্রদ্ধার সঙ্গে মিলিয়ে দিন।