Breaking Bharat: আদিবাসী জনগোষ্ঠী! ‘আফ্রিকার আদিবাসীদের রীতি‘ রেওয়াজ সম্পর্কে জানেন? মানবজাতির আঁতুড়ঘর বলতে কোন জায়গাকে বোঝায় (African traditional rituals)?
মানুষ পৃথিবীর সব থেকে উন্নত জীব। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে মানুষ নিজেকে উন্নত করেছে। কিন্তু অতীতের ইতিহাস ঘাঁটলে আমাদের সকলকে সেই অতীতের গুহা মানবের জীবনে ফিরতে হয়।
আর আদিম মানুষ বলল তো অবশ্যই কথা মনে পড়ে আফ্রিকার কথা, বর্তমান সময়েরও। আফ্রিকার আদিবাসীদের রীতি রেওয়াজ সম্পর্কে জানেন? আজকে প্রতিবেদনে সেই নিয়ে কিছু কথা (African culture examples)।
শিশু কন্যার ঠোঁট ফুটো করে দেয়া হয়:
আদিবাসী জনগোষ্ঠী মানেই তাদের এমন কিছু কাজকর্ম যার সম্পর্কে বর্তমান সমাজ খুব একটা অবগত নয়। এই জনগোষ্ঠীর একাধিক রীতি রেওয়াজ আছে যা সাধারণ মানুষের ধ্যান ধারণা বা ভাবনাচিন্তার বাইরে।
আপনাকে যদি বলি শিশু কন্যার ঠোঁট ফুটো করে দেয়া হয় সেটা আবার কাঠের টুকরো ঢুকিয়ে আপনি কি বিশ্বাস করবেন? এখানেই শেষ নয় আরো একাধিক নিয়ম আছে যা জানলে চমকে উঠবেন আপনিও। আসলে পৃথিবীতে এরকম কিছু প্রজাতি আছে যারা নিজেদেরকে সভ্য করতেই চান না (African traditions and customs)।
কারণ তথাকথিত সভ্য সমাজকে এই সমস্ত মানুষেরা গুরুত্বই দেন না তাদের কাছে সেটা নৃশংস আর সমাজের অযোগ্য। এর জন্য আপনাদেরকে যেতে হবে আফ্রিকার ইথিওপিয়ায় অবস্থিত ওমো ভ্যালিতে। ঠিকানা জানতে চাইলে বলতে হয় তুর্কানা দ্বীপের পূর্বদিকে রয়েছে এই ওমো অঞ্চল।
পর্যটকরা বলেন বিশ্বের অন্যতম দর্শনীয় পর্যটন স্থান এই উপত্যকা। এই স্থানকে অনেকেই বলেন মানবজাতির আদি স্থান। এখানে আরবোরে, সুরি, কারো, হ্যামার, মুরসি, কনসো নামের নানা উপজাতির মানুষ এখানে থাকেন।
আফ্রিকার আদিম উপজাতি এক কথায় আদিবাসী:
আপনি ভাবলে অবাক হবেন কারও গায়ে পশুর ছালের পোশাক, কারোর আবার মাথায় পালক, কেউ কেউ আবার চুলে জবজব করে লাল মাটি মেখেছে, কোথাও নানা রঙের পুঁতির, ধাতুর বা পশুর হাড়ের গয়না পরেছেন কেউ কেউ, আবার কারও কারও সারা গায়ে-মুখে খড়িমাটি দিয়ে নকশা আঁকা।
এরাই আদিম উপজাতি এক কথায় ‘আদিবাসী’ বলতেই পারেন তবে সেটা আফ্রিকার। এদের শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতের ডাক সেটা অন্য কেউ নয় নিজেদের দ্বারাই করা অর্থাৎ ‘নিজেরাই নিজেদেরকে আঘাত করে‘। এটা নাকি রীতি।
আরো পড়ুন – জানেন! ‘নিজের কাজ নিয়ে অখুশি’ হওয়া মানুষের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে? কিন্তু কেন এমন ঘটনা?
মানে বলতে পারি না অনেকটা ট্যাটু বানাবার মতো বিষয়। এনারা নিজেদের শরীরে নিজেরা বা অন্য কাউকে দিয়ে কাচের টুকরো বা ছুরির সাহায্যে খুঁচিয়ে এইসব করে। এতে আঘাত কিন্তু মারাত্মক হয়ে যায় কখনো কখনো।
তারপর আবার কাটা জায়গায় গাছের রস, কাঠকয়লার গুঁড়ো দিয়ে ইচ্ছে করে ইনফেকশন তৈরি করেন এনারা। স্বাভাবিক ভাবেই শিক্ষার আলো নেই, তাই ঘা শুকিয়ে যাওয়ার পরেও কাটা অংশ বরাবর চামড়া ফুলে উঁচু হয়ে থাকে। নানা প্যাটার্নে এটাই এদের রীতি। এই উপজাতির মূলত কাজ হচ্ছে ‘পশুপালন‘।
আরো পড়ুন – নাচ, গান, আঁকা, কবিতা এই সব নিয়েই আমাদের সাংস্কৃতিক! এবার নেশাই হবে পেশা! কিভাবে?
মেয়েরা নিজেদের ঠোট কেটে মুখ বিকৃত করার রীতি :
এরা আবার বিয়েতে বিশ্বাসী সেখানে আবার কন্যা পন নেওয়া হয়। আরও অবাক করা বিষয় হলো , এখানে মেয়েরা সুন্দরী হওয়ায় তাদের উপর যাতে আক্রমণ না হয় সে কারণে নিজেদের ঠোট কেটে মুখ বিকৃত করে রাখার নীতি এবং রীতি আছে। ভাবতে পারেন এখনো এটা পৃথিবীর একটা প্রান্তে ঘটে চলেছে (African customs and traditions beliefs)।
আরো পড়ুন – দাদার কীর্তি! মাধুরী দীক্ষিতের সঙ্গে অভিনয় করেছিলেন তাপস পাল?
ইথিওপিয়ার আরেকটি জনপ্রিয় উপজাতি ‘হামার‘। প্রায় ৪০ হাজার উপজাতি ওমো নদীর তীরে বসবাস করে। জানেন এই জাতির বিশেষত্ব ষাঁড়ের পিঠে দৌড়নো। একজন যুবক পোশাক ছাড়াই এই পশুকে ৪ বার কাবু করলে বিয়ে করার অধিকার পাওয়া যায় বলে মনে করা হয়।
আরো পড়ুন – কুমারীদের কীভাবে ‘কুমারী পুজোয়’ নির্বাচন করা হয় ? কুমারীদের এই বিষয়টা জানা দরকার!
মানে বিয়ের অধিকার পাওয়ার জন্য একজন বর ‘ষাঁড়ের পিঠে উলঙ্গ হয়ে লাফ দেয়‘। মোটা হওয়ার জন্য গরুর দুধের সঙ্গে বিশেষ ধরনের পদার্থ মিশিয়ে সেই দুধ খান এখানকার পুরুষেরা।
একাধিক নিয়ম আছে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের বিভিন্ন মানুষের মধ্যে। কিন্তু আদিবাসীদের নিয়ম গুলো যেন বড্ড আলাদা। কোন যুক্তি হয়তো মিলবে না।