Breaking Bharat: স্বজন হারানোর দুঃখ সহজে ভোলা যায় কি? তবু জীবন মরণের সীমানা ছাড়িয়ে সে যেন রয়েছে দূরে দাঁড়িয়ে। এই কষ্ট ভোলার নয় কিন্তু তবু বাঁচতে হয় কারণ সঙ্গে আছে সময়।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতার লাইন ধরে প্রতিবেদন টা শুরু করা যাক,
“মরিতে চাহি না আমি সুন্দর ভুবনে,
মানবের মাঝে আমি বাঁচিবারি চাহি”
পৃথিবীতে হাজার একটা দুঃখ কষ্ট রাগ মন খারাপ থাকা সত্ত্বেও বেঁচে থাকার আনন্দ উপভোগ করতে চান প্রতিটি মানুষ। যত দিন যাচ্ছে ততো এই পৃথিবীটা স্বার্থান্বেষী মানুষে ভরে উঠছে। সেখানে দাঁড়িয়ে মাঝেমধ্যে বলা হয় মরে গেলেই বোধহয় ভালো হতো। কিন্তু মরতে কি মন চায়? যে মানুষটা চলে যায় সে আর কোনদিন মেসির পায়ের বিশ্বকাপের ম্যাজিক দেখতে পায় না, কোনদিন আর শাহরুখ খানের কন্ঠে ডায়লগ শুনতে পায় না?
স্বজন হারানোর কষ্টের অনুভুতি:
অরিজিতের গান শুনতে শুনতে আরামে রাতের ঘুমকে নিমন্ত্রণ জানাবার সুযোগ তার ভাগ্যে জোটে না, হঠাৎ করে খিদে পেলে রাস্তার পাশে বিক্রি হওয়া বিরিয়ানি গন্ধ তার নাকে যায় না। কারণ সে আর নেই, চলে গেছে অনেক দূরে। তবু জীবন মরণের সীমানা ছাড়িয়ে সে যেন রয়েছে দূরে দাঁড়িয়ে। এই কষ্ট ভোলার নয় কিন্তু তবু বাঁচতে হয় কারণ সঙ্গে আছে সময়।
মানুষের সব থেকে বড় শত্রু আর সব থেকে বড় বন্ধু কিন্তু একজনই যার নাম সময়। একমাত্র সেই পারি যে কোন আঘাতকে আরো গভীর করতে বা চিরকালের মতো মুছিয়ে দিতে। আপনি কোনভাবেই এর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বা লড়াই করে পারবেন না। নিজের আপন জন যখন দূর আকাশে তারা হয়ে যায় তখন নিস্পলক রাতে শুধুই অশ্রু ভেজে দুই নয়ন। জানি সেটা কাউকে বোঝানোর নয়। আসলে কি বলুন তো?
স্বজন হারানোর দুঃখ:
আমরা সবাই তো এই পৃথিবীর অতিথি মাত্র আর একটা সময় পরে নিজের ঘরে ফিরতেই হয় অতিথি হয়ে আর কতদিন থাকা যায়। তবু যতটা সময় এ পৃথিবীতে আছেন সেই সময়টা ভালো কাজ করে আর ভালো মানসিকতায় জীবনটাকে বাঁচতে হয়। মৃত্যু জীবনের সবথেকে বড় সত্য আর সব থেকে বড় সুন্দর বটে কারণ এ হলো মানুষের মুক্তির পথ।মানুষ আনন্দ যাত্রা করেন মৃত্যুরএই পথ দিয়ে। তাই তার সেই নিজের বাড়ি ফেরাকে চোখের জলে কষ্ট পেয়ে দুর্বল করে দেয়া কি কাঙ্খিত?
আরো পড়ুন – আপনার স্ত্রী কি আপনার থেকে বয়সে বড়? একাধিক সমস্যার আশঙ্কা রয়েছে বুঝি?
যুগে যুগে পৃথিবীর বুকে যত অবতার ভূমিষ্ঠ হয়েছেন প্রত্যেকেই কিন্তু দেহ ত্যাগ করে পরমাত্মায় বিলীন হয়েছেন। এটাই সবথেকে সুন্দর স্বাভাবিক শুধু প্রশ্ন ওঠে কেন আরেকটু সময় এই স্বাভাবিক ঘটনাকে আটকে রাখা গেল না। আর এই জায়গাতেই আপনার বিশ্বাস ধৈর্য আর ঈশ্বরের প্রতি আস্থার পরীক্ষা আপনাকে বুঝতে হবে তিনি সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ছোটবেলায় যখন শিশু কিছু বুঝতে পারেনা তাই বাবা মা যা বলে চোখ বুঝে মেনে নিতে হয়।
আরো পড়ুন – আপনার স্ত্রী কি আপনার থেকে বয়সে বড়? একাধিক সমস্যার আশঙ্কা রয়েছে বুঝি?
বড় বেলাতেই আমাদেরও আমাদের পরম ঈশ্বরকে সেই মর্যাদায় মনে রাখতে হবে। বিশ্বাস করতে হবে তিনি আমাদের জীবনের জন্য যখন যা সিদ্ধান্ত নিবেন সেটাই সঠিক। ভালো কাজ করলে ঈশ্বর ভালো ফল দেবেন এটা শাশ্বত সত্য এর কোন অন্যথা হবে না। কিন্তু যদি আপনার প্রিয় মানুষ কি ঈশ্বর আপনার জীবন থেকে সরিয়ে দেন তাহলে তার মধ্যেও ঈশ্বরের এমন কোন উদ্দেশ্য আছে যা আখেরে আপনার ভালোর জন্যই সেটা ভেবে দেখা বোধহয় দরকার।
আরো পড়ুন – মেয়েদের বয়স জিজ্ঞাসা করেন কি? একবারও ভেবে দেখেছেন এটা করলে মেয়েরা কেন রেগে যায়?
সময়টা কঠিন বটে একটা শূন্যতা তৈরি হয় সেটাও ঠিক আবার সময়ের সঙ্গে সঙ্গে অভ্যাস সেই শূন্যতাকে ভরিয়ে দেয়। শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব বলতেন একহাতে কর্ম করতে হবে অন্য হাতে ঈশ্বরকে ধরতে হবে যার কর্ম শেষ হয়েছে সে দুহাতে ঈশ্বরকে ধরতে পেরেছে। তাই সে সংসার জীবন থেকে বিদায় নিয়েছে। কিন্তু আপনার কর্ম এখনও শেষ হয়নি তাই ঈশ্বরের নির্দেশ মত সেই কর্ম করে যান ফলের আশা না হয় নাইবা করলেন।