First child of a married couple: বিবাহিত দম্পতিরা প্রথম সন্তান নিয়ে এত ভাবেন কেন? কিন্তু কোন কোন কারনের জন্য আজকাল বিয়ের চার পাঁচ বছর কেটে গেলেও সন্তানকে পৃথিবীতে আনার ভরসা দেখাতে পারছেন না দম্পতিরা?
বিয়ে ছোট্ট একটা শব্দ কিন্তু অনেক বড় দায়িত্ব। দম্পতি হওয়া মুখের কথা নয় আর দাম্পত্য সামলানো ইদানিং কালে বড় বেশি করে দায় হয়ে দাঁড়ায়। আর এই সবকিছুর চিন্তা থেকেই দুটো মানুষকে জীবনে তৃতীয় অতিথি অর্থাৎ নতুন প্রজন্মের আসতে বেশ খানিকটা দেরি হয়ে যায়।
বিবাহিত দম্পতিদের প্রথম সন্তান:
আজকালকার যুগে দেখা যাচ্ছে বিয়ের পর সন্তান আসবে কখন এই সিদ্ধান্ত নিতে একটু বেশি সময় নিচ্ছেন এই প্রজন্মের নবদম্পতি। আগে এই ব্যাপারটা ছিল না। হঠাৎ মোটামুটি বিয়ের এক বছরের মধ্যেই বাড়িতে ফুটফুটে বাচ্চাকে দেখা যেত। কিন্তু এখন সব বদলে গেছে ।
এই সময়টা অনেক বেশি করে ভাবনা চিন্তা করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার হয়ে উঠেছে। কিন্তু কোন কোন কারনের জন্য আজকাল বিয়ের চার পাঁচ বছর কেটে গেলেও সন্তানকে পৃথিবীতে আনার ভরসা দেখাতে পারছেন না দম্পতিরা?
এখনকার নব দম্পতিরা বাচ্চার ব্যাপারে কি ভাবছেন?
স্বামী এবং স্ত্রীর যৌন মিলনে শুক্রাণু ডিম্বানুকে নিষিদ্ধ করলে ভ্রুনের জন্ম হয়। এই মিলন বিয়ের পর অত্যন্ত পবিত্র এবং কাঙ্খিত বলেই মনে করা হয়। প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে এভাবেই নতুন মানুষ পৃথিবীতে এসেছে সভ্যতাকে এগিয়ে নিয়ে গেছে।
কিন্তু ইদানিংকালে ছবিটা বদলেছে তার কারণ জন্মহার এবং বিয়ের পর থেকে নতুন মানুষকে পৃথিবীতে আনার মাঝে যে সময়টা সেটা নিয়ে অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু হয়েছে। খুব ছোট্ট একটা উদাহরণ দিলে বলা যায় আজকাল যে কোন বিয়েতে আপনি নব দম্পতিকে জিজ্ঞাসা করুন তারা বাচ্চার ব্যাপারে কী ভাবছেন, তারা বলবেন এখনই নয় কয়েকটা বছর যাক। এই ভাবনার কারণে সন্তান উৎপাদনের প্রক্রিয়াও ক্রমাগত দেরি হচ্ছে।
সন্তানের দায়িত্ব নিতে স্বচ্ছন্দ বোধ করেন না?
মনস্তাত্ত্বিক গবেষকরা এবং বায়ো সাইন্সের গবেষকরা এই নিয়ে সমীক্ষা করে মোটামুটি তিনটি প্রধান বিষয়টি সামনে আনতে পেরেছেন। তারা বলছেন প্রথমত এখন মানসিকতা বদলেছে। বিয়ের পরে মেয়েরা এখন আর বাড়িতে থাকেন না কারণ তারা সকলেই চাকরি বা ব্যবসা করেন যার কারণে বাইরে বেরিয়ে কাজ করতে হয়।
সেক্ষেত্রে বিয়ের পরই চট করে তারা সন্তানের দায়িত্ব নিতে স্বচ্ছন্দ বোধ করেন না। কারন নতুন একটা বাড়িতে নতুন পরিবারের সঙ্গে অ্যাডজাস্ট করতে কিছুটা সময় নিজেকে দিতেই হয়। আর যেভাবে দায়িত্ব বাড়লে কাজের প্রেসারও বাড়ে, কারণ বেশি স্যালারি উপার্জনের প্রয়োজন হয় ।
আরো পড়ুন – kuldhara: কেন রাতারাতি গ্রাম ছাড়লেন হাজার হাজার মানুষ? কুলধারা গ্রামকে ঘিরে গড়ে উঠছে রহস্যে!
তাই সেই চাপ সামলে জীবনে নতুন একজন মানুষের জন্য এক্সট্রা সময় বের করাটা বেশ কঠিন। তাছাড়া আজকাল বিয়ে করার বয়স টারও একটু হের ফের হয়েছে মানে আগে যেমন মনে করা হতো যে ১৮ বছর পেরিয়ে গেলেই মেয়েটি বিবাহ করার উপযুক্ত। এখন পড়াশোনা, চাকরি, এসব করতে করতে মেয়েরাই একটু দেরিতে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন।
আরো পড়ুন – বিশ্ব জুড়ে বাড়ছে খাদ্য অপচয়ের পরিমাণ? প্রতিদিন কতটা পরিমান খাবার অপচয় হয়?
দ্বিতীয়তঃ যৌনাঙ্গের কার্যক্ষমতা আগে থেকে অনেকটা হ্রাস পেয়েছে। বলাই বাহুল্য মাত্রাতিরিক্ত হস্তমৈথুন, নীল ছবির প্রতি আসক্ত হওয়া, ভেজাল খাওয়া, ধুমপান ও ড্রাগস, রাত্রে দেরি করে ঘুমোনো, শারীরিক অসচেতনতা সবকিছুর প্রভাব পড়েছে জীবনযাত্রায় আর তার ফলে যৌন ক্ষমতা হ্রাস হচ্ছে দিনে দিনে।
আরো পড়ুন – আমির খান কেন বলিউডের পুরস্কার মঞ্চে থাকেন না? পুরস্কার গ্রহণে তার এত অনীহা কেন?
তৃতীয় কারণটাও এই দ্বিতীয় কারণে সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। আজকাল এক্সপেরিমেন্ট সেক্সটয় ভার্জিনিটি হারানো এই সব কিছু করতে গিয়ে সেক্সুয়াল বিহেভিয়ার চেঞ্জ হয়ে যাচ্ছে। কনডম বার্থ্পিল এই সব কিছু যৌন চক্রকে বিঘ্নিত করছে। বলি বিয়ের পর যখন সন্তান নেওয়ার কথা ভাবছেন দম্পতিরা, তখন বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই শারীরিক সমস্যা দেখা দিচ্ছে যার জন্য ডাক্তারের দ্বারস্থ হতে হচ্ছে।
আরো পড়ুন – মিঠুন চক্রবর্তীর ছেলে জুনিয়র আর্টিস্ট হওয়ারও যোগ্য নয়? বাবা হিসেবে কী ভাবছেন মিঠুন?
সুতরাং বুঝতেই পারছেন পুরোটাই চিন্তাভাবনা আর জীবন যাপনের ব্যাপার। তবে আমরা এটা বিশ্বাস করি যে কখন সন্তানকে পৃথিবীর আলো দেখাবেন এটা একান্তভাবেই দম্পতিদের ব্যক্তিগত ব্যাপার আর এখানে কারোর হস্তক্ষেপ করার কোনও প্রশ্নই ওঠে না। আপনি কী ভাবছেন জানাতে ভুলবেন না!