Breaking Bharat: আমার স্ত্রী প্রচন্ড রাগী! অকারনে ‘স্ত্রী নিজের স্বামীকে অপমান করেন’ বা রেগে যান? এটা কি ঠিক? অর্থাৎ আপনার স্ত্রী কি যখন তখন রণচন্ডী ? সহধর্মিনী রুদ্রমূর্তি ধারণ করলে সংসার সুখের হবে কি? আপনি কি জানেন এরকম কতজন হতভাগ্য পুরুষ আছেন যাদের স্ত্রী প্রচন্ড রাগী? আর ঠিক এই কারণের জন্যই সম্পর্ক টেকে না (My wife is very angry)।
সাতপাকের বন্ধন বিয়ে। দুটো মানুষ ঘর সাজান, সংসার করেন, জীবন গড়েন। কিন্তু বিবাহিত সুখে দম্পতি কজন আছেন সেই হিসেবে কি জানা আছে? আসলে প্রতিদিন এত বেশি বেশি বিবাহ বিচ্ছেদের কেস আদালতে দায়ের হচ্ছে।
দাম্পত্য জীবনে সুখের আসল চাবিকাঠি কোনটা?
দুটো মানুষ একে অন্যকে ভালোবেসে থাকতে গেলে একজন আরেকজনের দোষ গুণ দুটোকেই আপন করে নেয়। কিন্তু দিনের পর দিন যদি এক দিকে দোষের পাল্লা বাড়তে থাকে তাহলে কি আর কম্প্রোমাইজ করে সারা জীবনটা চলে?
অবশ্য আমরা আজকের এই প্রতিবেদনে ঠিক দোষ বা গুণ বিচার করতে বসিনি। একটি বিশেষ ধরনের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের কথা তুলে ধরতে এলাম যার কারণে দাম্পত্য সুখের হয় না, অজান্তেই ফাটল ধরে সম্পর্কে।
আপনার স্ত্রী যখন তখন আপনাকে অপমান করেন?
এই পৃথিবীতে একেক জন মানুষ একেক রকম। কেউ খাওয়া-দাওয়া করতে খুব ভালোবাসেন ,কেউ আবার ঘুরতে তীর্থ করতে। কারোর পছন্দ শপিং আর সাজগোজ। কেউ আবার আয়েশেই জীবন কাটাতে চান। হাসি খুশি খোলামেলা হওয়ার পাশাপাশি, ‘রাগী মানুষের জীবন‘ নিয়েও কিন্তু কম আলোচনা হয় না।
আপনি কি জানেন এরকম কতজন হতভাগ্য পুরুষ আছেন যাদের স্ত্রী প্রচন্ড রাগী? আর ঠিক এই কারণের জন্যই সম্পর্ক টেকে না। আপনি কি এমন মানুষকে চেনেন নাকি যার স্ত্রী যখন তখন কারণ ছাড়াই ‘স্বামীকে অপমান করেন’ বা রেগে যান? পুরুষ ইগোতে এটা মেনে নেয়া খুব কঠিন (Why is my wife so angry all the time?)।
স্ত্রীর রাগ বা অপমান অকারনে বরদাস্ত করবেন?
সব মানুষের ধৈর্য আর সহ্যের একটা সীমা থাকে। রাগ বা অপমান কেনইবা অকারনে বরদাস্ত করবেন কেউ? ‘ঝগড়াঝাঁটি অশান্তির জেরে জীবন একদম দুর্বিষহ‘ হয়ে যায়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন এই অবস্থা থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায়ও আছে (my short temper wife)।
পুরুষ মানেই তার একটা আত্ম সম্মান আছে। শুধু পুরুষ কেন নারীরও আছে এমনকি ছোট বাচ্চারও আছে। অন্তত এটাই স্বাভাবিক। এবার সেখানে যদি বারবার কেউ আঘাত করে, অকারণে অ্যাটিটিউড দেখায় সেটা মেনে নেওয়া যায় না।
‘স্ত্রীর রাগ বা অপমান’ থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায়:
এক্ষেত্রে সবার আগে যেটা দরকার সেটা হলো নিজেকে শান্ত রাখা। বিষয়টা খুব একটা সহজ নয় কারণ কঠিন উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে ঠান্ডা মাথায় বিচার করা সম্ভব হয় না। তবুও গুরুত্ব দিয়ে গোটা ব্যাপারটা বুঝে নিয়ে অন্যকে বোঝানোর চেষ্টা আপনাকে করতেই হবে।
আরো পড়ুন – Holding the toilet: আপনার কি ‘পটি চেপে রাখার অভ্যাস’ আছে? ‘পায়খানা চেপে রাখলে’ কি হতে পারে জানেন?
আপনার স্ত্রী যদি অকারণে রাগ করেন কথায় কথায় অপমান করেন, তাহলে তার বন্ধুবান্ধব বা তার প্রিয়জনের সঙ্গে সেই বিষয়টি নিয়ে খুব সাবধানে আলোচনা করুন। একটু বোঝার চেষ্টা করুন কেন তিনি এরকম করছেন অর্থাৎ প্রথম থেকেই কি এমন চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন ছিলেন, নাকি বিশেষ কোনো কারণে এমনটা করছেন?
আরো পড়ুন – Amitabh Bachchan: বলিউড শাহেনশা ‘অমিতাভ বচ্চনের মোট সম্পত্তির পরিমাণ’ কত জানেন?
বিষয়টি যদি আপনি ম্যানেজ করতে না পারেন সে ক্ষেত্রে ডাক্তার বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। যদি প্রয়োজন হয় তাহলে কাউন্সিলিং করাতে হবে। কিন্তু মনে রাখবেন একটা সুখী দাম্পত্য ধরে রাখার চেষ্টাটা কিন্তু দুজনকেই করতে হয়। একটু সময় নিন নিজের জন্য এবং আপনার স্ত্রীর জন্য।
আরো পড়ুন – Skin is wrinkled: ‘জলে চামড়া কুঁচকে যাওয়া’র সাথে পূর্বপুরুষের সম্পর্ক আছে জানেন?
তারপর গোটা বিষয়টা আলোচনা করে দেখুন সমাধানের উপায় মিলে কিনা। প্রয়োজনে এখানে ওখানে ঘুরতে যান, সময় কাটান, যাতে একে অন্যকে বুঝে দূরত্ব কমানো যায়। মনে রাখবেন সম্পর্ক ভাঙতে বেশি সময় লাগে না। কিন্তু গড়তে অনেকটা পরিশ্রম করতে হয়।
আরো পড়ুন – Death is forbidden: মরতে ভয় পান সবাই, কিন্তু মৃত্যুকে কি নিষিদ্ধ ঘোষণা করা সম্ভব?
ভালো, মন্দ দুই মিলে তো মানুষ। তাই শুধুমাত্র দোষটাকে ধরলে হয় না গুণের দিকটাও খুঁজে খুঁজে বের করতে হয়। একটু চেষ্টা করুন ভালো রাখার ইচ্ছে গুলো ভালো থাকাকে বাঁচিয়ে রাখবে।