Breaking Bharat: হেসে খেলে জীবন কাটাতে প্রত্যেকেই চায় তাই না? কিন্তু হাসি পায় কোথা থেকে সেটা জানা আছে কি? কিন্তু হাসবেন কী করে? হাসি পেলে তবে তো হাসবেন
“জীবনের যে কটা দিন হাতে আছে ,হেসে খেলে কাটিয়ে যাব তুমি আমি
জীবন কতটা কঠিন সেটা নাইবা জানি”
আগামীকাল বড়ই অনিশ্চিত, অতীত হাতে নেই তাই আজ বুক ভরে শ্বাস নিন, হেসে খেলে জীবন কাটানোর নামই হল প্রকৃত অর্থে বেঁচে থাকা। কিন্তু হাসবেন কী করে? হাসি পেলে তবে তো হাসবেন । আর ডাক্তাররা বলেন যত হাসবেন তত শরীর ভালো থাকবে । জানা যাক কী কারনে হাসি খুঁজে পাওয়া সম্ভব, মানে একটু হাসাহাসির চেষ্টা আজ এই প্রতিবেদনে (When did humans start smiling?)।
কিন্তু হাসি পায় কোথা থেকে?
কথাই বলি একজন মানুষের নাকি তিনটে কারণের জন্য হাসি পেতে পারে। প্রথম হলো কাউকে দেখে অর্থাৎ অনেক সময় কাউকে হাসতে দেখলে মস্তিষ্কে প্রতিক্রিয়া শুরু হয় আর হাসি মুখে চলে আসে। দ্বিতীয়ত কোনও বিষয় বুঝে নিয়ে তার মধ্যে হাস্যরস খুঁজে হাসতে শুরু করা।
আর তৃতীয় ব্যাপারটা হল কোন কিছু মনে করে অর্থাৎ হাসির ঘটনার কথা মনে করে পুনরায় হাসা। হাসি ব্যাপারটা যতটা সহজ মনে হচ্ছে সেটার সৃষ্টির পেছনে শরীর এবং মনের একাধিক জটিল ক্রিয়া প্রতিক্রিয়ার সম্পর্ক রয়েছে।
মস্তিষ্কের অর্থাৎ নিউরনের একটা ওতপ্রোত যোগাযোগ রয়েছে এই হাসির সঙ্গে।নিউরোফিজিওলজি বলছে, হাসি আসলে মস্তিষ্কের ভেন্ট্রোমিডিয়াল প্রিফ্রন্টাল কর্টেক্স-এর উদ্দীপ্ত হওয়ার সঙ্গে সম্পর্ক যুক্ত হয়ে আছে। এর পাশাপাশি মস্তিষ্কের হিপোক্যাম্পাস ও এমিগডালাও হাসির জন্য দায়ী।
আরো পড়ুন – কন্যা সন্তানের জন্ম দেয়া ভাগ্যের ব্যাপারে সেটা জানেন? আপনার বাড়িতে কি কন্যা সন্তান আছে?
চিকিৎসা করে বলেন হাসার ফলে শরীরে রক্ত সঞ্চালন বেড়ে যায় যাতে কোষ আরো বেশি করে সজীব হয়ে উঠতে পারে। পাশাপাশি অনেকক্ষণ ধরে হাসতে থাকলে পেটের মধ্যে পেশীর সঞ্চালন হয় যাতে হজম শক্তি বা হজম করার ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। সুতরাং বুঝতেই পারছেন হাসি, শরীরের জন্য ঠিক কতটা দরকারি।
আরো পড়ুন – সবাই ভালো থাকতে চায়, কিন্তু বিপরীতে কেন এত বেশি কষ্ট পায় বলতে পারেন?
অর্থাৎ কার্যসিদ্ধির আনন্দে মুখে যে অদ্ভুত এক আঘাত ফুটে ওঠে সেখান থেকেই হাসির সূত্রপাত। পরবর্তীকালে অবশ্য মস্তিষ্কে বিভিন্ন ঘটনার প্রভাব এর উপর নির্ভর করে হাসি সৃষ্টি হওয়া- সেই সত্য সবার সামনে উদঘাটিত হয়েছে। আনন্দের ঘটনায়, শিশুর সারল্যে কিংবা ছোট্ট ছোট্ট দুষ্টুমিতে আমরা মাঝেমধ্যে হেসে উঠতে পারি। তাই হাসুন মন খুলে আর প্রাণ ভরে বাঁচুন।
আরো পড়ুন – বাঙালি কি ব্যবসায় ভয় পায়? অন্যের কোম্পানিতে কর্মচারী হয়ে কতটা খুশি বাঙালি?
এবার আপনার মনে প্রশ্ন আসতেই পারে যে হাসির উৎপত্তি হলো কোথা থেকে? এজন্য আপনাকে আদিম যুগে যেতে হবে যখন পশু আর মানুষের মধ্যে শুধুই গায়ের জোরে লড়াই। যে জিতবে সেই টিকবে। সেই সময় যুদ্ধ জয় করার পর একটা অদ্ভুত তৃপ্ততা আসত মানুষের চোখে মুখে বলতে পারেন সেটাই ছিল হাসির সূচনা মাত্র।