Breaking Bharat: আপনি কি জঙ্ক ফুড খেতে পছন্দ করেন? বাড়ির খাবারের থেকে স্ট্রিট ফুড কেন এত জনপ্রিয় বলুন তো?
‘স্ট্রিট ফুড‘ শব্দটার মধ্যেই একটা বাইরের পরিবেশের ছোঁয়া লেগে আছে। যত দিন যাচ্ছে তত বেশি করে এই স্ট্রিট ফুডের জনপ্রিয়তা বাড়ছে। এটা কোন মিরাকেল বা ম্যাজিক নয় এর পেছনে যথেষ্ট যুক্তিসম্মত একটা কারণ রয়েছে। চলুন সেদিকে এবার দৃষ্টিপাত করা যাক।
স্ট্রিট ফুড কেন এত জনপ্রিয়?
ভারতবর্ষ উন্নত দেশ এখনো হয়ে উঠতে পারিনি। বলতে খারাপ লাগলেও এটাই সত্যি কথা, যে আমরা এখনো উন্নয়নশীল দেশের পর্যায়ে নিজেদের রেখেছি। আপনাকে বুঝতে হবে দেশের অর্থনৈতিক পরিকাঠামোর কথা। একটা সাধারন পরিবারের এভারেজ আই এবং ব্যয়ের মধ্যে সামঞ্জস্য বজায় রাখতে বড় বড় রেস্টুরেন্টে গিয়ে খাওয়া-দাওয়ার পেছনে খরচ করা অনেকটা বিলাসিতার মতো।
সেক্ষেত্রে পকেটের খেয়াল রাখতে গেলে পুষ্টির দিকে আর নজর দেয়া সম্ভব হয় না। এখানেই বাজিমাত করে যায় স্ট্রিট ফুড। দ্বিতীয়ত আজকালকার ব্যস্ত যুগে হাতের কাছে কোন কিছু পাওয়াকে সকলেই সৌভাগ্য বলে মনে করে। এক হাত দূরে গজানো ব্যাঙের ছাতার মত স্ট্রিট ফুডের দোকান আমাদের কাছে সহজলভ্য।
কিছুই না ধরুন মারাত্মক কাজের চাপ, তাই খাবো খাবো করে টিফিনটা আর খাওয়া হচ্ছে না। সঙ্গে কিছু আনেননি, এই অবস্থায় ঘড়ি ধরে সময় নিয়ে বড় রেস্টুরেন্টে গিয়ে খাওয়া দাওয়া করাটা অনেকের পক্ষেই সম্ভব হয় না। সেক্ষেত্রে হাতের কাছে স্ট্রিট ফুডের দোকান থাকতে চিন্তা করার তো কোনো কারণই নেই।
আমরা কারো প্রচার করছি না বা বিজ্ঞাপন দিচ্ছি না কিন্তু ভেবে দেখুন বড় রেস্টুরেন্টে গিয়ে এক প্লেট চাওমিন অর্ডার করলে সেটা যতক্ষণই আপনার টেবিলে আসবে আর রাস্তার দোকানে চাউমিন অর্ডার করলে তার আসার সময়ের মধ্যে একটা তফাতো আছে।
আগেই বলেছি পুষ্টি বা হাইজিন এই বিষয়গুলোর সঙ্গে কম্প্রোমাইজ করতেই হয়। তাই সেই কমফোর্ট ব্যাপারটা হয়তো স্ট্রিট ফুডে নেই কিন্তু রয়েছে সময়ের মধ্যে অন্তত পেট ভরে যাওয়ার মত ব্যবস্থা। এটা কিন্তু ভীষণ রকমের কার্যকরী স্ট্রিট ফুডের জনপ্রিয়তা বিচারে।
স্ট্রিট ফুড খাওয়া কতটা নিরাপদ:
তাহলে মূলত যে প্রধান তিনটি পয়েন্ট এসে দাঁড়ালো তার মধ্যে একটা হল টেস্টি, সহজলভ্য এবং সস্তা। এর মধ্যে প্রথমটার বিষয়ে একটু কথা বলে নেওয়া যাক। দেখুন ব্যবসা করতে গেলে কিছুটা চালাকি বুদ্ধি তো কাজে প্রয়োগ করতেই হয়। আর এটা ভুলে চলবে না যে প্রথমে দর্শনধারী তারপর গুণ বিচারি বলে বাংলায় একটা প্রবাদ আছে।
আরো পড়ুন – পড়াশোনা শেষ করতে কতদিন সময় লাগে আপনার? বিদেশের সঙ্গে এদেশের তফাৎ কি এখানেও?
তাই প্রথম থেকেই ব্যাপারটাকে আকর্ষণীয় করার জন্য এমন কিছু ‘মসলা‘ ব্যবহার করা হয় এই ধরনের রান্নায় যেটা হয়তো শরীরের জন্য ক্ষতিকর কিন্তু স্বাদের জন্য অতুলনীয়। এটার একটা আলাদা আকর্ষণ কিন্তু রয়েছে। দেখবেন রাস্তার এপাশে ও পাশে ব্যাঙের ছাতার মতো গজে ওঠা বিরিয়ানির দোকানে যে হারে ভিড় বাড়ে, সেটা হয়তো বড় কোনো মাল্টি কুইজিং রেস্টুরেন্টে গিয়েও দেখা মেলে না।
আরো পড়ুন – ৫৬ বছরে কেন সন্তান ধারণ করতে হল প্রৌঢ়াকে? আমেরিকার বুকে বিরল ঘটনা! জানুন বিস্তারিত
আর তাছাড়া একেকদিন একেক রকমের খাবার খাবার মজা একমাত্র স্ট্রিট ফুড এর মধ্যেই রয়েছে। কী ভাবে কত রকমের এক্সপেরিমেন্ট করে ক্রেতার টানার জন্য খাবার তৈরি করে সার্ভ করা যায় প্রতিমুহূর্তে সেটা নিয়ে একটা এক্সপেরিমেন্ট এবং কম্পিটিশন চলতে থাকে এই খাবার বিক্রেতাদের মধ্যে। এটা কিন্তু আখেরি ক্ষুধার্ত মানুষের খুব কাজে আসে।
আরো পড়ুন – আপনি কি যখন তখন ভয় পান? গায়ের লোম খাড়া হয়ে যায় কি?
তবে সবশেষে জানিয়ে রাখি আমরা কিন্তু কোনভাবেই এই খাবারগুলিকে পুষ্টিকর বা স্বাস্থ্যকর এটা বলছি না। সবকিছুর ক্ষেত্রে একটু যাচাই বা পরখ করে নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়াই বাঞ্ছনীয় সেটা খাবার খাওয়া হোক বা অন্য কিছু।