Breaking Bharat: টাইটানিককে বাঁচানো যেত কি? কাছের তিন জাহাজ কেন বাঁচালো না টাইটানিককে?
আজও বিশ্ব জুড়ে আলোচনায় উঠে আসে টাইটানিক (titanic)- এর জাহাজডুবি। সিনেমায় সবটা দেখার পর মানুষের আগ্রহ আরো বেড়েছে এই জাহাজ নিয়ে। হলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় ছবির তালিকায় নাম আর স্থান করে নিয়েছে এই ছবি। কারণ একটাই, সত্য ঘটনা অবলম্বনে ছবি।
আর এই জাহাজের ডুবে যাওয়ার ঘটনা নিয়ে চারিদিকে হইচই (sinking of the Titanic)। কিন্তু যত গবেষনা হচ্ছে সামনে আসছে দারুণ কিছু তথ্য । আপনি কি জানেন, যখন টাইটানিক ডুবছিল তখন কাছাকাছি তিনটে জাহাজ ছিল? কিন্তু কেন তারা বাঁচালো না জাহাজকে?
টাইটানিক যখন ডুবছিল তখন মাত্র সাত মাইল দূরে স্যাম্পসন নামের এক জাহাজ। ওই জাহাজ বেআইনি সীল মাছ ধরছিল। ওরা দেখতে পেয়েছিল টাইটানিকের বিপদ সংকেত (Titanic’s distress signal), কিন্তু নিজেরা ধরা পড়ে যাবে বলে তারা উল্টোদিকে চলে যায়।
তখনও বোঝেনি যে তাদের একটা চেষ্টায় হয়তো আরো অনেকগুলো প্রাণ বাঁচতে পারতো। কিন্তু স্বার্থপর।দুনিয়ার প্রতিচ্ছবি এখানেও ধরা পড়ল। ওই জাহাজের অভিযাত্রীরা চলে গেছেন মুখ ফিরিয়ে। এখানেই শেষ নয়, দ্বিতীয় জাহাজটির নাম “ক্যালিফোর্নিয়ান” (Californian)।
সেই সময় মাত্র চোদ্দ মাইল দুরে ছিল টাইটানিকের থেকে । ঐ জাহাজের চারপাশে জমাট বরফ ছিল। ক্যাপ্টেন দেখেছিলেন টাইটানিকের বাঁচতে চাওয়ার আকুতি (Titanic’s urge to live)। কিন্তু পরিস্থিতি অনুকুল ছিল না এবং ঘন অন্ধকার ছিল চারপাশ তাই তিনি সিদ্ধান্ত নেন ঘুমোতে যাবেন। সকালে দেখবেন কিছু করা যায় কিনা। বাকিরাও ভেবেছিলেন বিষয়টা গুরুতর নয়। তবে ব্যতিক্রম ছিল বটে।
আরো পড়ুন- বাড়ছে গ্লোবাল ওয়ার্মিং! গাছ আটকাবে পরিবেশ দূষণ? কিন্তু কোন গাছ আটকাবে পরিবেশ দূষণ?
কারপাথিয়ান্স (Carpathians) নামের এক জাহাজ খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়। প্রায় আটান্ন মাইল দূর থেকে ওরা রেডিওতে শুনতে পায় টাইটানিকের যাত্রীদের আর্ত চিৎকার (passengers of the Titanic)। তারপর পুর্ণশক্তিতে বরফ ভেঙ্গে এগিয়ে চলেন টাইটানিকের দিকে।
আরো পড়ুন- People: মানুষ সোজা পথে চলতে চায় না, আর বাকা পথে সবারই আগ্রহ বেশি! কারণ কি জানেন?
আরো পড়ুন- Phone: অতিরিক্ত মোবাইল দেখেন? ফোন দেখলে চোখে সমস্যা হচ্ছে ? সাবধান ! দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে যেতে পারে!
ঠিক এই জাহাজটির এই সিদ্ধান্তের জন্যেই টাইটানিকের সাতশো পাঁচজন যাত্রী প্রাণে বেঁচে যান। আসল ব্যাপারটা হল মানুষের পাশে থাকা। সেটা খুব দরকার আজকের দিনেও। না হলে টাইটানিকের মত ঘটনা ঘটার ১০০বছর পেরিয়ে গেলেও আফসোসের সীমা থাকবে না।