Breaking Bharat: পরকীয়ার সঙ্গে জড়িয়ে গেছে যৌন সম্পর্ক? এটা কতটা ঠিক কতটা ভুল? মোটকথা স্বামী স্ত্রী একে অন্যকে নিয়ে খুশি নয়, তাই তো তৃতীয় মানুষের আগমন। আর পরকীয়া মানেই সেখানে যৌনতার স্পর্শ থেকেই যায়।
বিয়ে অত্যন্ত পবিত্র একটা সম্পর্ক। বলা হয় ঈশ্বর এই সম্পর্ক নিজে হাতে রচনা করে থাকেন। কিন্তু তারপরও বর্তমান পৃথিবীতে এই সম্পর্কে ভাঙ্গনের সংখ্যাটা অনেকটা বেশি। উকিলরা তো বলেন যত না বিয়ে হয় তার থেকে বেশি ডিভোর্স হয় প্রতিটি মরশুমে।
পুরুষ এবং নারীর সম্পর্কের অন্যতম বন্ধন যৌনতা:
অর্থাৎ বিয়ে মানে যে পবিত্র সম্পর্কের কথা ধরা হয় সেটা যে এখন নিজের চরিত্র বদলাচ্ছে তা নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। বেশিরভাগ দম্পতি বিয়ের পর একে অন্যের সঙ্গে জীবন কাটাতে খুশি নয়। তারা একে অন্যের মধ্যে তৃপ্ততা খুঁজে পান না। হতে পারে মানসিক বা শারীরিক, হতে পারে অর্থনৈতিক।
পুরুষ এবং নারীর সম্পর্কের অন্যতম বন্ধন যৌনতা, এটা অস্বীকার করার কোন উপায় নেই। দুজন মানুষ একে অন্যের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন বাকি জীবনটা একসাথে কাটাবেন বলে। কিন্তু না, কোন কারনে কেমিস্ট্রি টা ঠিকঠাক কাজ করছে না। ফলে দূরত্ব তৈরি হচ্ছে এক ছাদের তলায় থেকেই।
এইবার সেই দূরত্ব দূর করার চেষ্টার বদলে অন্য জায়গায় নিজের ভালো লাগাকে খুঁজে নেওয়ার চেষ্টা, মানুষের অনেক বেশি সহজ বলে মনে হয়। আর ঠিক এই কারণের জন্যই সম্পর্কের তৃতীয় ব্যক্তি চলে আসেন।
আরো পড়ুন – বাংলাদেশে বসবাস রোহিঙ্গাদের! এই রোহিঙ্গা সমস্যা কতটা প্রভাব ফেলবে বাংলাদেশে?
বিবাহিত মহিলা বা পুরুষ তাদের জীবনী অন্য লিঙ্গের মানুষ যদি আসেন তাহলে বিয়েটা নষ্ট হয় এটাও যেমন ঠিক ঠিক তেমনই তাদের নিজেদের মধ্যেও ধ্যান ধারণা মূল্যবোধ এগুলো একটু একটু করে নষ্ট হতে থাকে। এখন আপনি হয়তো বলতে পারেন যে একজন মানুষ কী করে সুখী থাকবেন সেটা সম্পূর্ণ তার ব্যক্তিগত ব্যাপার।
এই কথা কেউই অস্বীকার করছেন না তবে সমাজতাত্ত্বিকরা মনে করেন একজনের সঙ্গে সম্পর্কে থেকে অন্য জনের সঙ্গে যৌনতায় লিপ্ত হওয়া একটা ভঙ্গুর সমাজের উদাহরণ তৈরি করে। আপনিও কি ঠিক এমনটাই ভাবেন? কিছু প্রশ্নের কোন সঠিক উত্তর কথায় বা কাব্যে দেওয়া সম্ভব হয় না।
আরো পড়ুন – কেন আজ নরেন্দ্র মোদি সাগরের ওপারে? তাহলে কি প্রতিবেশী রাষ্ট্রকে জবাব দিতেই ভারতের এই সিদ্ধান্ত?
এগুলো বাস্তব জীবন দিয়ে, নিজের অভিজ্ঞতা আর উপলব্ধি দিয়ে বুঝতে জানতে হয়। আমাদের সমাজের একটা ধারণা আছে স্বামী স্ত্রী হলে অর্থাৎ বিবাহিত হলেই শরীরের সম্পর্কের অধিকার পাওয়া যায়। যদিও ইদানিং কালে তরুণ প্রজন্ম ঠিক এই ধারণায় বিশ্বাসী নয়।
তবুও বিয়ে মানে একটা বন্ধন বা কমিটমেন্ট অর্থাৎ প্রতিশ্রুতি তো বটেই। সঙ্গে অনেকটা দায়িত্ব। এই সবকিছুর মাঝে হতেই পারে ভালোবাসা বা শরীরের উষ্ণতা এগুলো হারিয়ে যাচ্ছে। তাই বলে অন্য একজন নারী বা অন্য একজন পুরুষের সঙ্গে যিনি হয়তো বিবাহিত বা হয়তো অবিবাহিত তার সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কে লিপ্ত হওয়া এবং পরবর্তীতে যৌনতার চিন্তাভাবনা করাটা কি বাঞ্ছনীয়? কী ভাবছে আজকে সমাজ?
আরো পড়ুন – The Kerala Story: কী প্রমাণ করল ‘দ্য কেরালা স্টোরি’? চর্চিত সিনেমা মানেই কি সবথেকে বড় হিট?
আগেকার দিনের মা ঠাকুমাদের সময় হলে তারা বিষয়টিকে মোটেই ভালো চোখে দেখতেন না। এখন যুগ পাল্টেছে একথা সত্যি। কিন্তু বলুন তো দিনের শেষে এইরকম কোন ঘটনার সঙ্গে নিজেকে যুক্ত দেখলে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে কী প্রশ্ন করেন আপনার আত্মাকে? আর কী উত্তরইবা মেলে তা জানার আগ্রহ আমাদের রইল।
সম্পর্ক টিকে থাকে বিশ্বাসের ওপর তাই কোনোভাবেই বিশ্বাস ভাঙবেন না। ভালোবাসা শব্দটার অনেকগুলো অর্থ হয় সেটার মানে শুধুই ঠোঁটে ঠোঁট রেখে আজীবন একে অন্যকে দেহে দেহে জড়িয়ে থাকা নয়। ভালোবাসা কখনো বন্ধুত্ব কখনো কর্তব্য , কখনো ত্যাগ কখনো দায়িত্ব।
আরো পড়ুন – বাড়ির বউ করার জন্য মেয়ে খুঁজছেন? অথচ বিজ্ঞাপন দিয়েও পাত্রী পাচ্ছেন না?
কখনোবা ভালবাসাটাই জীবন যাপনের অভ্যাস হয়ে দাঁড়ায়। পরকী আইনগতভাবে সিদ্ধ হোক বা না হোক একজন মানুষের ভালো থাকার অধিকার অবশ্যই আছে। পাশাপাশি গঠনমূলক সমাজ গড়তে গিয়ে কতটা ভঙ্গুর মানসিকতা আমরা নিজেদের মধ্যে তৈরি করছি সে বিষয়টা ভাবার দায়িত্ব আপনার আমার নয় কি?
এবার ভেবে দেখুন পরকীয়া সম্পর্ক আর সেখানে যৌনতার ছোঁয়া কতটা জরুরী ? উত্তর দেবে আপনার বিবেক।