Breaking Bharat: ‘জীবনে কী পাব না, ভুলেছি সে ভাবনা’- এই ভাবনা নিয়ে চলতে চলতে হঠাৎ একদিন সে সামনে এসে দাঁড়ালো। ব্যাস আপনার মন তখন প্রশ্ন করবে, “কে তুমি নন্দিনী , আগে তো দেখিনি”। অনেকটা বাংলা সিনেমার মতো মনে হচ্ছে? আরে জীবন তো আসলে সিনেমাই আর সিনেমার মধ্যে লুকিয়ে থাকে জীবনের গল্প।
চুমুর কিছু হেল্থ বেনিফিট রয়েছে সেগুলো জেনে নিন:
তবে এই গল্প আজকের, সেখানে প্রেম ভালোবাসা যেমন আছে তেমনি আছে আদর আর চুম্বন। আর অনেকেই বলেন চুমুর কিছু হেল্থ বেনিফিট তো রয়েছে (Kissing has some health benefits)। তাহলে মিলিয়ে ফেলুন দুয়ে দুয়ে চার।
সিনেমায় যেটা দেখা যায় বাস্তবে সেটা আড়ালে করা যায়। কিন্তু এই চুম্বনের বিষয়টা (about kissing) আজ আর আড়াল দিয়ে ঢেকে রাখা যায় না। কি ভাবছেন এইসব কথাবার্তা কেন বলা হচ্ছে? চুমু যে কতটা উপকারী আর দরকারি তা ব্যাখ্যা না করলে বোঝা মুশকিল। এই যেমন ধরুন আজকাল সকলেই ক্যালোরি বার্ন করতে চায়। তার জন্য নানা এক্সারসাইজ।
কিন্তু চুমু খেলে এই কাজটি সহজ হয়। এক মিনিট চুমু খেলে ২ থেকে ৬ ক্যালোরি পর্যন্ত বার্ন হতে পারে বলে জানা যায়। তবে অবশ্য এই তথ্যের সত্যতা আমরা যাচাই করিনি। কিন্তু সূত্র মারফত জানা যায় এই চুমু হতে হবে গভীর। এটা হামি হলে হবে না তবে হ্যাঁ হাসমির মত হলে অবশ্যই কাজ দেবে। ইমরান হাসমির মতো প্যাশনেট চুমু আর কেই বা খেতে পারে। এখানেই শেষ নয় বরং শুরু মাত্র ।
চুমুর উপকারিতার একটা লম্বা তালিকা আছে (a long list of benefits to kissing)। চুমু খাওয়ার মতো মিষ্টি অনুভূতি কিন্তু খুব কমই হয়। ভালোবাসার প্রকাশ তো বটেই, তার সাথে দু’জন মানুষের পারস্পরিক ঘনিষ্ঠতার সর্বোচ্চ প্রকাশ হল চুম্বন। তবে আমরা বলছি ঠোঁটে চুমু খাওয়ার কথা।
আরো পড়ুন- জীবনের সবচেয়ে কাছের মানুষগুলো কেন দুঃখ দেয়? এমনটা হলে কি করা উচিত ?
সাম্প্রতিক গবেষণা জানাচ্ছে চুমু খেলে একাধিক জটিল রোগের প্রকোপও কমে। চুম্বনের আরেক উপকারিতা হলো এটা অক্সিটসিন, এনডরফিনস এবং ডোপামিন নিঃসরণ করে। এই হরমোনগুলো নিঃসরণের কারণে আপনি অনেক হালকা বোধ করবেন।
আরো পড়ুন- মানুষের মনে দুঃখ না দিয়ে সরাসরি মুখের উপর ‘না’ বলতে শিখুন, কিন্তু সেটা কিভাবে?
মুখের ব্যায়ামের জন্য চুমু আদর্শ বলে ধরা হয়:
বিজ্ঞানসম্মত কারণ হল চুমু খেলে মুখে রক্ত সঞ্চালন বাড়ে (Kissing increases blood circulation in the face), ফলে কোলাজেন উৎপাদনও বাড়ে। মুখের ত্বক টানটান ও সতেজ থাকে। এমনকি দাঁতের স্বাস্থ্যরক্ষায় চুম্বন ভীষণ উপকারী। পরস্পর পরস্পরকে চুমু খাওয়ার সময় তাদের লালা মিশে যায় এবং তাতেই দাঁত, মাড়ি আর মুখের সার্বিক স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়।
আরো পড়ুন- নারী পুরুষ সমান সমান, অথচ সংসার মানে সবটাই কি নারীর দায়িত্ব? পুরুষের কোন দায়িত্ব নেই?
আরো পড়ুন- দাম্পত্য জীবনে খুঁটিনাটি বিষয়ে ঝগড়া লেগেই থাকে, তা না হলে কি দাম্পত্য জমে?
আরো পড়ুন- Use of Mirrors: নিজের মুখ আর রূপ দেখার জন্যই কি আয়না? যদি আয়না না থাকতো, তাহলে?
গভীর চুম্বন করার সময় হৃদস্পন্দন বেড়ে যায়, শরীরের শিরা আর ধমনীগুলো প্রসারিত হয়, তাতে শরীরে রক্ত স্বচ্ছন্দে প্রবাহিত হতে পারে এবং রক্তচাপও নিয়ন্ত্রণে থাকে। এছাড়া প্রিয় মানুষকে পাশে পেলে, চুমু খেলে স্ট্রেস, প্রবল মানসিক অশান্তি দূর হয় বৈকি। আমরা তো এই তথ্য পরীক্ষা করে দেখিনি । তবে আপনি প্রয়োগ করে সুফল পেলে জানাতে ভুলবেন না । চুমু খান ভালো থাকুন।