Breaking Bharat: ১৯০ বছরের জন্মদিন সেলিব্রেশন ব্যাপারটা শুনেছেন? আহা, বয়স তো সংখ্যা মাত্র ! বাঁচতে বাঁচতে বয়স যখন ১৯০ তখন সেলিব্রেশন তো করতেই হয়।
শরীরের নাম মহাশয়, যদি সহ্য করানো যায় তাহলে সবই সহ্য হয় – এই প্রবাদ বাক্য মেনে জীবন কাটানোর কথা যারা ভাবেন তাদের উদ্দেশ্যে একটাই কথা আমাদের বলা, অনেক শুভেচ্ছা রইল ভালো থাকুন।
জীবন বাঁচতে হয় , সেই বাঁচার জন্য একাধিক কাজকর্মের মধ্য দিয়ে আমাদের যেতে হয়। মনকে সুস্থ রাখা শরীর ভালো রাখা এই সবটাই যেন জীবন বাঁচার এবং বাঁচিয়ে রাখার উদ্দেশ্য । প্রত্যেকটা মুহূর্তে প্রাণ ভরে বাঁচাটাই আসল কথা। বাঁচতে বাঁচতে বয়স যখন ১৯০ তখন সেলিব্রেশন তো করতেই হয়।
চোখে খুব একটা ভালো দেখার ক্ষমতা নেই গন্ধ শুঁকে কোন কিছু বুঝতেও পারেন না। কিন্তু কান খাঁড়া করে আজও শোনেন। নাম জোনাথান, জন্ম হয়েছিল ১৮৩২ সালে এবার ১৯০ বছরের জন্মদিন সেলিব্রেশন। না ইনি অবশ্য মানুষ নন, ইনি ‘কচ্ছপ‘।পৃথিবীর সবচেয়ে বয়স্ক কচ্ছপ হল এই ‘জোনাথান দ্য টরটয়েস‘।
জীবন সফর প্রায় দুই শতাব্দী, ভাবা যায়? আইফেল টাওয়ার তৈরি থেকে ঔপনিবেশিক শাসন সবটাই ঘটেছে তার চোখের সামনে। প্রথম পোস্টাল স্ট্যাম্প তৈরির ইতিহাসও হয়তো তারই সময়ের। অনেকেই বিরক্ত হয়ে গেছে অনেকেই মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেনি কিন্তু লড়াই করে আজও বেঁচে আছে ১৯০ বছরের কচ্ছপ। ১৮৮২ সালে তাকে ভারত মহাসাগর থেকে পাওয়া গিয়েছিল।
বর্তমানে আটলান্টিক মহাসাগরের ছোট্ট দ্বীপ সেন্ট হেলেনার গভর্নর হাউজের বাগানে তার বাসস্থান। বিশেষ ক্যাপ্টিভিটির মধ্যে কচ্ছপটিকে রাখা হয়েছে। সম্প্রতি সেখানেই ধুমধাম করে পালন করা হল জোনাথনের ১৯০ বছর জন্মদিন , চলল সেলিব্রেশন। আর সেই খবর মুহূর্তে ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়।
আরো পড়ুন – সব ভাল কি একসাথে পাওয়া যায়? কেনই বা শেষটুকু ভালো হওয়ার জন্য সারা জীবন লড়াই করতে হয়?
গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডেও জায়গা করে নিয়েছে এই কচ্ছপ। অস্ট্রেলিয়ার কাছে টোংগা রাজ্যের রাজপরিবারের এক কচ্ছপ এর আগে এই খেতাবের দাবিদার ছিল। টুই মালিয়া বলেই বিশ্ব জানে। ১৮৮ বছর বয়সে তার মৃত্যু হয়। কিন্তু এই কচ্ছপ সেই রেকর্ড ব্রেক করেছে।
আরো পড়ুন – লোকনাথ বাবার জন্মস্থান নিয়ে দ্বিমত আছে, আপনিও কি এই বিষয়ে একমত?
আটলান্টিক মহাসাগরের দক্ষিণে ব্রিটিশ দ্বীপ সেন্ট হেলেনার প্রধান আকর্ষণই হল এই কচ্ছপটি। মানুষের গলার অস্পষ্ট শুনতে পায় আর ফল খেতে খুব ভালোবাসে। তরমুজ, আপেল, ন্যাসপাতি, কলা আর লেটুস পাতা জোনাথন এর বিশেষ পছন্দের। যদিও ডাক্তারদের পরামর্শ এই মুহূর্তে বন্ধ কলা।
আরো পড়ুন – কী করে একটা গোটা গ্রাম রাতের অন্ধকারে গায়েব হয়ে যেতে পারে?
বয়সের ভারে কিছুটা লুক যে হয়েছে এই কচ্ছপ কিন্তু তার আকর্ষণ এতটুকু কমেনি। তার অনুরাগীদের ভালোবাসা আর কর্তৃপক্ষের আদর যত্নে সে দিব্য আছে। এভাবেই সে সুস্থ শরীরে বেঁচে থাক ভাল থাক এইটুকুই কামনা রইল আমাদের তরফ থেকেও। জন্মদিনের শুভেচ্ছায় জোনাথন।