Breaking Bharat: চাঁদে সত্যিই মানুষ গেলে সেখানে টয়লেট মানে বাথরুম থাকবে কি? চন্দ্রযান চাঁদের পা রাখার সঙ্গে সঙ্গেই চাঁদের বেড়াতে যাওয়ার প্রস্তুতি শুরু? কিন্তু ঘুরতে বেড়াতে গেলেও চাঁদে টয়লেট পাবেন কি?
চাঁদ মামার দূরের নয় বরং চাঁদমামা এখন ট্যুরের জন্য বিখ্যাত হবেন। ২৩ আগস্ট চন্দ্রযান তিন এর সাফল্য গোটা বিশ্বের কাছে ভারত বর্ষকে আবার শ্রেষ্ঠ বলে প্রমাণ করেছে। ল্যান্ডার বিক্রম চাঁদের মাটিতে পা রাখার পর থেকেই উচ্ছ্বাসে ভেসেছে আপা মোর দেশবাসী।
চাঁদে বেড়াতে গেলে টয়লেট পাবেন কি?
প্রধানমন্ত্রী ভার্চুয়ালি বক্তব্য রেখে জানিয়েছেন যে এবার থেকে চাঁদে মানুষ যাওয়ার পরিকল্পনা করা শুরু করতে পারেন কারণ ভারতের গগন যান প্রকল্প খুব শীঘ্রই সামনে আসবে। পাশাপাশি তিনি বলেছেন ছোটদের কাছে চাঁদ মামা আর দূরের কেউ নয় এবার ট্যুরের ফেভারিট ডেস্টিনেশন হবে।
ব্যাস এখান থেকেই হিসেব-নিকেশ ভাবনাচিন্তা শুরু হয়ে গেছে। চাঁদে সত্যিই মানুষ গেলে সেখানে টয়লেট মানে বাথরুম থাকবে কি? মানে ইমারজেন্সি চিন্তা ভাবনাটাই তো আগে করতে হয় তাই না! অবশ্য এই চিন্তাভাবনা নাসার বিজ্ঞানীরা অনেক আগে থেকেই শুরু করেছেন।
মানে চাঁদে কী ভাবে আপনি মলমূত্র ত্যাগ করবেন সেই কথা ভেবে সমস্যা সমাধানের এক প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হলো। মানে যিনি এই সমস্যার সমাধান করতে পারবেন তাকে প্রায় ২৯ লক্ষ টাকার আর্থিক পুরস্কার দেয়া হবে। ভাবতে পারছেন এবার ভাবনার বিকাশ কত দ্রুত ছড়িয়ে পড়া প্রয়োজন?
চাঁদে মানুষ বাসস্থান করবে বলে জমি খোঁজার চেষ্টা করছে। চাঁদে মানুষের পা পড়েছিল সেই বছর ৫০ আগে। তারপর থেকে এখনো পর্যন্ত প্রায় ১২ জন অভিযাত্রী চাঁদে গেছেন। চাঁদবাসযোগ্য কিনা তা গবেষণার বিষয় কিন্তু মানুষ ইতিমধ্যেই চাঁদে জমি কেনার চিন্তাভাবনা শুরু করে অনেকে অগ্রিম বুকিং করে রেখেছেন। আমেরিকার এক সংস্থা চাঁদে জমি বিক্রিও করছে।
সেখানে দাঁড়িয়ে যাদে থাকতে গেলে মলমূত্র ত্যাগ কী ভাবে হবে সেটা একটা বাস্তব সমস্যা তাই এই নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ চিন্তাভাবনা করছে নাসা, বলেই জানান ইসরো প্রধান। বিগত বেশ কিছুদিন ধরে চাঁদ নিয়ে অনেক বেশি করে পড়াশোনা আলোচনা এইসব চলছে। ছোট বাচ্চারা এখন বলে দিতে পারবে যে চাঁদের মাধ্যাকর্ষণ শক্তি পৃথিবীর ছ’ভাগের এক ভাগ।
আরো পড়ুন – কী ভাবে কাজ করছে ইসরোর পাঠানো রোভার প্রজ্ঞান? রোভার প্রজ্ঞান এখন কোন পর্যায়ে রয়েছে?
যার পাতি হিসাব করলে দাঁড়ায়, চাঁদের মাটিতে যে কোনও বস্তুর ওজনও পৃথিবীতে মাপা ওজনের ছ’ভাগের এক ভাগ। সুতরাং কম ভরের বস্তু অনেক সময়েই সেখানে বাতাসে ভেসে থাকতেও পারে। যেমন ধরুন মহাকাশ স্টেশন বা মহাকাশযানে মাধ্যাকর্ষণ শক্তি না থাকায় সেখানে ভেসে বেড়াতে থাকেন মহাকাশচারীরা।
প্রযুক্তি আর বিজ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে যেভাবে দ্রুত সাফল্য হাতের মুঠোয় নিয়ে আসছে বিজ্ঞানীরা তাতে অদূর ভবিষ্যতে চাঁদে যদি শেষ পর্যন্ত মানুষ পৌঁছেই যায় এবং থাকতে শুরু করে, তবে তাদের শরীরের বর্জ্য যাতে দূষণ না তৈরি করে সেই ব্যবস্থাও করা দরকার। এটা একটা সমস্যা বটে আর তাই সমাধানের খোঁজে তাই বিশ্ববাসীর দ্বারস্থ হয়েছে নাসা।
আরো পড়ুন – ChatGPT সম্পর্কে আইডিয়া আছে? মোটা বেতনে কাজের সুযোগ আনল OpenAI?
‘লুনার লু কন্টেস্ট’ আমি এক প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। অংশগ্রহণে কোন যোগ্যতার মাপকাঠি নেই তবে যারা বাস্তবসম্মত এক সমাধান দিতে পারবে তাদের মোটা পুরস্কার দেবে আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। প্রতিযোগিতায় যিনি প্রথম হবেন তিনি পাবেন, ১৬.৬ লক্ষ টাকা (২০ হাজার ডলার)-র সমমূল্যের আর্থিক পুরস্কার পাবেন।
দ্বিতীয় স্থানাধিকারীর জন্য ৮.৩ লক্ষ টাকা (১০ হাজার ডলার) এবং তৃতীয় স্থানাধিকারীর ৪.১ লক্ষ টাকা (৫ হাজার ডলার )-র সমান আর্থিক পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে।
নাসার তরফে কী কী শর্ত দেওয়া হয়েছে?
চাঁদে বা মহাকাশযানে ব্যবহারের জন্য যে বর্জ্যপাত্রটি তৈরি করতে হবে , সেটির আয়তন কোনও ভাবেই ০.১২ ঘনমিটারের বেশি হবে না। মাথায় রাখতে হবে যে মল এবং মূত্র ত্যাগ, দু’ধরনের কাজেই এর ব্যবহার করা যাবে। যেন এটি প্রতি বারের ব্যবহারে এক লিটারের সমান তরল বর্জ্য এবং ৫০০ গ্রামের সমান কঠিন বর্জ্যধরে রাখতে সক্ষম হয়।
আরো পড়ুন – এবার চাঁদে মহিলা মহাকাশচারী? কে এই ক্রিস্টিনা হামোক কচ জানেন?
মহিলাদের কথা মাথায় রেখে অন্তত ১১৪ গ্রামের সমান ওজনের ঋতুকালীন রক্তপাতের হিসাবও রাখতে হবে প্রতি দিনের বর্জ্যের হিসাবে। তাহলে আর দেরি না করে আপনিও ভাবনা চিন্তা শুরু করে দিন।