Breaking Bharat : কথায় বলে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক (MBBS Degree Mortgage) সাত জন্মের। আর এই সম্পর্কে বাঁধা পড়ে তাদের মন যখন এক হয়ে যায় তখন জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান জিনিসঽও তাদের কাছে মূল্যহীন হয়ে ওঠে। একে অপরকে ভালো রাখতে, খুশি করতে দুজনেই প্রাণপণ চেষ্টা করে। তবে কোন সময় এমন এক বেদনাদায়ক ঘটনা ঘটে যা সচরাচর দেখা যায় না।
আজ এমনই একটা ভালোবাসার সম্পর্কের কথা বলব যেখানে ডাক্তার তাঁর নিজের মেডিকেল সার্টিফিকেট (Medical certificate) পর্যন্ত বন্ধক রেখেছে তাঁর স্ত্রীকে বাঁচানোর জন্য। রাজস্থানে একজন ডাক্তার সুরেশ চৌধুরী (Suresh Chowdhury) যিনি তার স্ত্রীকে মৃত্যুর মুখ থেকে বাঁচানোর জন্য ঋণ করে খরচ করলে ১.২৫ কোটি টাকা।
তবে এত টাকা সুরেশ এর কাছে ছিল না। তাঁর কাছে ১০ লাখ টাকার মতো সেভিংস ছিল এবং ৭০ লাখ টাকা তিনি ব্যাংক থেকে লোন নেন, তার এমবিবিএস এর ডিগ্রী বন্ধক রেখে (MBBS degree mortgage) । আর বাকি টাকা বন্ধু এবং আত্মীয়দের কাছ থেকে নেন। আর ১৫ লাখ টাকার মতো তিনি খাবরা গ্রামের জমি বিক্রি করেন।
আরো পড়ুন- Bank Account : সাবধান! একের বেশি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট? গ্যাঁটের কড়ি খসে যাচ্ছে অজান্তেই, কীভাবে জানেন?
২০১২ সালে ডাক্তার সুরেশ চৌধুরী ও অনিতা চৌধুরি (Suresh Chowdhury and Anita Chowdhury) বিয়ের বন্ধনে বাঁধেন এবং ২০১৬ সালের ৪ ঠা জুলাই তাদের একটি পুত্র সন্তান হয়। তার নাম রাখেন কুঞ্জ চৌধুরী। কিন্তু সব ঠিক থাকলে বিপদ ঘনিয়ে আসে ২০২১ এর ১৩ মে।
যখন সুরেশের স্ত্রী অনিতা করোনা পজিটিভ হয়। ফলে তাঁর শরীর দিন দিন খারাপ হতে থাকে। আর সুরেশ এরপর তাকে ১৪ ই মে যোধপুর এমস হাসপাতালে ভর্তি করান। কিন্তু তাতেও তাঁর স্বাস্থ্যের কোন উন্নতি হয়নি।
আরো পড়ুন- Allu Arjun : কোন হিন্দি ছবির প্রস্তাব পেয়েছিলেন আল্লু? কেনই বা প্রস্তাবে সম্মতি দেননি তিনি?
এরপর তিনি তাঁর স্ত্রী অনিতাকে ২০২১ সালের ১ লা জুন আমেদাবাদের একটি হাসপাতালে ভর্তি করান। সেখানে তাঁর ওজন ৫০ কিলো থেকে ৩০ কিলোতে পৌঁছে ছিল। ডাক্তাররা ইসিএমওতে মেশিনের মাধ্যমে হার্ট এবং লাংস এর বাইরে থেকে দেখাশুনা করতেন, যার জন্য প্রতিদিন খরচ হত এক লাখ টাকা। আর ফলে সুরেশের ঋণের বোঝাও ক্রমে বেড়েই চলছিল।
আরো পড়ুন- Unemployed life : টো টো করে ঘুরে বেড়ানো! বেকার জীবন, কোনও কাজ নেই, তাহলে লোকে কি বলবে?
এইভাবে ৮৭ দিন চলার পর অনিতা ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে ওঠে এবং কথা বলতে সক্ষম হন। কিছুদিন পরে তাকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। অনিতা বলেন, ‘আমার এই দ্বিতীয় জন্ম প্রাপ্তি ঘটেছে কেবল আমার স্বামীর কারণে।’