Breaking Bharat: তিল-আঁচিল নিয়ে সমস্যায়! তাহলে ‘তিল বা আঁচিল দূর করার উপায়’ বলছি আমরা। মানুষ যখন জন্ম নেয়, তখন নিজের রূপ রং ত্বক এইসব নিয়ে কিছুই বুঝে উঠতে পারে না। আর এটাই ভীষণ রকম স্বাভাবিক,তাই না? কারোর নিজের চেহারা নিয়ে সমস্যা তো কারোর নিজের গায়ের রং নিয়ে।বিস্তারিত জানতে দেখুন এই প্রতিবেদন (how to remove moles naturally)।
- আঁচিল দূর করার হোমিও ঔষধ
- মুখের বাদামী তিল দূর করার উপায়
- মুখের কালো তিল দূর করার ক্রিমের নাম
- মুখে ছোট ছোট কালো তিল দূর করার উপায়
- বড় কালো তিল দূর করার উপায়
- মুখে তিল হওয়ার কারণ
- নাকের উপর তিল দূর করার উপায়
তিল-আঁচিল নিয়ে কারোর সমস্যা , কেউ আবার ব্রণ নিয়ে চিন্তায় ভোগেন। কারণ যাই হোক মোদ্দা কথা হল কেউ আর নিজেকে নিয়ে সুখী নয়। আর এটাই আমরা চাই না। পৃথিবী সব মানুষকে নিয়ে ভালো থাকবে , এটাই কাম্য। সব সমস্যার একেবারে সমাধান করা সম্ভব নয়।
তিল-আঁচিল সংক্রান্ত যাবতীয় সমস্যা:
একটা একটা করে সমস্যার মূল জায়গা শনাক্ত করে তার সমাধানের ব্যবস্থা করতে হবে। আজকে আমরা কথা বলবো ‘তিল-আঁচিল সংক্রান্ত যাবতীয় সমস্যা‘ থেকে কী করে ঘরোয়া পদ্ধতিতে টোটকা ব্যবহার করে মুক্তি পেতে পারেন সেই নিয়ে। তবে এই প্রতিবেদন নির্দ্বিধায় শেষ পর্যন্ত পড়ে তারপর বিচার করুন আপনি।
আজকে আমরা কথা বলতে চলেছি তিল-আঁচিল থেকে কোনরকম কেমিক্যাল পদ্ধতি ব্যবহার ছাড়া কী ভাবে আমরা মুক্তি পেতে পারি সেই বিষয়টা নিয়ে। যদি ত্বকের কোন সমস্যা হয় তবে চোখ বন্ধ করে আপনি অ্যালোভেরার ওপর ভরসা রাখতে পারেন।
আরো পড়ুন – Electricity bill: ইলেকট্রিক বিলের জ্বালায় রাতে ঘুম হচ্ছে না? কী করে বিদ্যুৎ খরচ কমাবেন?
কোন বিজ্ঞাপনী প্রচার সেই ঘটনাকে প্রশ্রয় দেওয়া আমাদের লক্ষ্য নয়। আমরা সকলেই এই কথা ভালোভাবে জানি যে অ্যালোভেরা ত্বকের ক্ষেত্রে ভারতীয় আয়ূর্বেদ চিকিৎসায় অনেকদিন আগে থেকেই ব্যবহার হয়ে আসছে। যে কারণেই এই গাছ এখন প্রত্যেক মধ্যবিত্ত বাড়িতেও দেখা যায়। এবার তাহলে পদ্ধতির দিকে চোখ দেওয়া যাক।
আরো পড়ুন – সোশ্যাল মিডিয়ার শিরোনামে শ্যামনগর? ভাইরাল ঘটনা নয়, জানেন কি আসল সত্যিটা কী?
আরো পড়ুন – Toothbrush: ব্যবহার করা টুথব্রাশ ফেলে দিচ্ছেন? পুরনো টুথব্রাশ ব্যবহার করুন নানা কাজে
তিল বা আঁচিল দূর করার উপায়:
- আপনি প্রথমে আঁচিল হওয়া অংশটিকে ভালো করে জল দিয়ে পরিষ্কার করে নিন । এরপর সেই অংশটি তে ফ্রেশ অ্যালোভেরা জেল লাগিয়ে ফেলুন। এটা সম্পূর্ণভাবে ঘরোয়া পদ্ধতিতে বাড়িতে তৈরি করতে পারেন।
- এরপর জায়গাটিতে ওই জেল লাগাবার পর লাগিয়ে একটি সুতির কাপড় দিয়ে মুড়ে ওইভাবে রেখে দিন বেশ কিছুক্ষণ। এই পদ্ধতি ব্যবহার করে আপনি খুব সহজেই আপনি এর সাহায্যে ‘তিল বা আঁচিলেরও সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন’।
- কারণ এর মধ্যে থাকে পলিস্যাকারাইড,এনজাইম, ভিটামিন ও মিনারেলের এই মৌল গুলির রাসায়নিক সমন্বয়। ফলে বুঝতেই পারছেন আপনার সমস্যা সমাধানে এগুলো দারুন ভূমিকা নিতে পারে। অনেকে ওষুধপত্র কিনে খেতে পছন্দ করেন। সেক্ষেত্রে কোন বিজ্ঞাপনী চমকে মজে ভুল সিদ্ধান্ত নেবেন না।
- যদি কিছু করার হয় ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া টা দরকার। যদি অমরাই প্রতিবেদনে আপনাকে ঘরোয়া কিছু উপায়ের কথা বলছি। হিউম্যানপ্যাপিলোমাভাইরাস নামের ভাইরাসের সংক্রমণের কারণে শরীরে আঁচিল হতে থাকে। ছোট বড় নানা আকারের হয়ে থাকে। এটা যে শরীরের জন্য ক্ষতিকর সেটা নয় তবে অস্বস্তির কারণ বটে।
- অ্যাসপিরিন ওষুধের কথা নিশ্চয়ই জানেন? এই ওষুধ গুঁড়ো করে আপনি আঁচিলের উপর লাগিয়ে নিন। তারপর কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখুন। সুফল মিলবে সহজেই। যারা সাজগোজ করতে ভালোবাসেন তারা নিশ্চয়ই নেলপালিশ ব্যবহার করেন।
- এবার সেটা কি আঁচিলের বিরুদ্ধে লড়াই করতে ব্যবহার করুন। স্বচ্ছ্ব নেলপলিশ আঁচিলের উপরে লাগিয়ে দিতে পারলে কমবে আঁচিল। তবে এটা অনেকে একাধিকবার ব্যবহার করেও দ্রুততার সঙ্গে ফল লাভের আশা করে। রসুনের একাধিক গুণ রয়েছে কারণ এটাই রয়েছে অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল উপাদান অ্যালিসিন।
- এই অনেকেই বলেন রসুন থেঁতো করে আঁচিলের জায়গা লাগালে উপকার পাবেন। এবার তিলের কথা বলি এখানে ওখানে তিল অনেকেরই পছন্দ নয়। সে ক্ষেত্রে কেউ কেউ অপারেশন করার কথা ভাবেন। আমরা বলছি আলুর কথা। আলু খেতে নিশ্চয়ই ভালোবাসেন? আলুর গুণ কাজে লাগান।
- আলুর একটি ছোট টুকরো নিয়ে কিছুটা সময় ধরে তিলের উপর ঘষতে থাকুন বা আলু ছোট করে কেটে তিলের উপর চেপে রাখুন। উপকার পাবেন সহজেই। এবার আপনার বিরক্তির কারণ যে তিল, তাকে ত্বকের মধ্যে সম্পূর্ণ মিলিয়ে দিতে দিনে অন্তত দু থেকে তিনবার এটা করতে থাকুন।
- যারা কলা খেতে ভালোবাসে তাদের বলি কলার খোসা নিয়ে তার ভেতরের দিকটি আঁচিলের উপর বোলাতে থাকুন। প্রাকৃতিক এনজাইম, অক্সালিক ও অ্যাসকরবিক অ্যাসিড থাকায় এটি আঁচিল তুলতে কাজ দেয়। এরপর সুতির কাপড়ের ব্যান্ডেজ দিয়ে ঘন্টা ৫-৬ রেখে দিন।
এটা রাত্রে ঘুমোনোর সময় হলেই ভালো। শুধু আঁচিল কেন, মুখের দাগকেও দূর করবে এটি। তাহলে একটু চেষ্টা করে দেখুন ঘরোয়া পদ্ধতি ব্যবহার করে ভাল থাকা যায় কিনা