Breaking Bharat: আপনার কি ঝাল লেগেছে? অতিরিক্ত ঘাম হচ্ছে? খাবার ব্যাপারটি মানুষের নিজের পছন্দের । কেউ মিষ্টি পছন্দ করেন কেউ ঝাল। কিন্তু আপনি কি জানেন যে ঝাল খেলে অনেকের ঘাম ঝরে? এটা হতে হয়তো অনেকেই দেখেছেন কিন্তু সঠিক কারণ জানেন না তো? আজকের প্রতিবেদনে এরকম অদ্ভুত ঘটনা ঘটার সঠিক যুক্তি দেব আমরা।
প্রথমেই বলে রাখি ঝাল কিন্তু কোন স্বাদ নয় l ‘ক্যাপসাইসিন‘ নামক এক রাসায়নিক পদার্থের উপস্থিতির জন্য এই অনুভূতি হয় কারণ এর ফলে উত্তাপের সৃষ্টি হয়। আর যদি তাপ বেশি লাগে তাহলে তো নিশ্চয়ই গরম লাগতে বাধ্য। আসলে পুরো বিষয়টাই একটা রাসায়নিক বিক্রিয়ার ফলশ্রুতি।
জানেন যে ঝাল খেলে অনেকের ঘাম ঝরে?
আমাদের জিভ ক্যাপসাইসিনের সংস্পর্শে আসামাত্রই জিভে অবস্থিত দুটি কোষ TRPV1 এবং TRPA1 খুব দ্রুত উত্তেজিত হয়ে পড়ে। যে কোন উত্তেজনাই শরীরের জন্য ক্ষতিকর। এই উত্তেজনা স্নায়ুর মাধ্যমে মস্তিষ্কে পৌঁছে যায় আর এর থেকে সৃষ্ট অনুভূতির নাম ঝাল।
আসলেই এই রাসায়নিকের কারণে শরীরে বিক্রিয়া হলে আপনার স্নায়ু এমন এক অনুভূতি তৈরি করে যার ফলে মস্তিষ্ক শরীরের সঠিক তাপমাত্রা সম্পর্কে বুঝতে পারেনা। দেহের ভারসাম্য বজায় রাখতে গিয়ে মস্তিষ্কের মনে হয় তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে তাই ঠান্ডা করা দরকার।
এরপরই শরীর থেকে ঘাম বেরিয়ে যায়। ঘামগ্রন্থী ঘাম নির্গত করে এটা যেমন ঠিক পাশাপাশি চোখ বা নাক দিয়ে জল পড়তেও দেখা যায়। ঘাম হওয়ার শরীরের জন্য দরকার। এতে দূষিত পদার্থ বেরিয়ে যায়। কিন্তু বিষয়টি যদি মাত্রাতিরিক্ত হয় তাহলে বুঝতে হবে এর সঙ্গে মানসিক চাপের সম্পর্ক আছে।
আরো পড়ুন – হেসে খেলে জীবন! কিন্তু হাসি পায় কোথা থেকে সেটা জানা আছে কি?
শরীর দুর্বল থাকলে, অতিরিক্ত নুন জাতীয় খাবার খেলে, ধূমপান বা মদ্যপান বেশি হলে অতিরিক্ত ঘাম শরীর থেকে বের হতে পারে। অনেকে পাউডার ব্যবহার করেন কিন্তু এতে হিতে বিপরীত হয়। অর্থাৎ ঘাম কমার বদলে আরো বেড়ে যায়।
ঝাল জাতীয় খাবার খেলে যদি আপনার ঘাম হয় তাহলে অযথা চিন্তার কিছু নেই। শুধুমাত্র লঙ্কা নয়, গোলমরিচ খেলেও অনেক সময় ঘাম বেরোতে পারে। কারন সেই একটাই গোল মরিচের সাদা অংশের মধ্যে থাকা রাসায়নিক। তবে সাময়িকভাবে ঘাম হয়ে সেটা কমে গেলে উদ্বেগের কারণ থাকে না এটা যেমন ঠিক পাশাপাশি মনে রাখতে হবে প্রয়োজনের বেশি ঘাম হলে শরীর থেকে দরকারি নুন বেরিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা তীব্র হয়।
আরো পড়ুন – কন্যা সন্তানের জন্ম দেয়া ভাগ্যের ব্যাপারে সেটা জানেন? আপনার বাড়িতে কি কন্যা সন্তান আছে?
সেক্ষেত্রে স্যালাইন দেওয়ার প্রয়োজনও হতে পারে। মসলাযুক্ত বা তৈলাক্ত খাবার যদি খুব বেশি করে খান তাহলে আপনার ঘাম হওয়ার সম্ভাবনা বেশি আর সেটা হবে যখন আপনি সেই খাবারটি খাচ্ছেন তার মিনিট খানিক সময়ের মধ্যেই।
এসপ্যারাগাস, ব্রকোলি, পেঁয়াজ এগুলো অতিরিক্ত পরিমাণে খাবেন না তাতে শরীর গরম হয়ে যেতে পারে আর তা থেকে ঘাম হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে। নিয়মিত থাইরয়েড পরীক্ষা করেন আর ভিটামিন বি টুয়েলভ জাতীয় খাবার-দাবার নিজের খাদ্য তালিকায় যোগ করুন।
আরো পড়ুন – কথায় কথায় সুইস ব্যাংকের টাকা রাখার কথা শোনেন তো? সুইস ব্যাংক সম্পর্কে কতটা জানেন?
সবশেষে বলে রাখি যদি অকারনে ঘামতে থাকেন তাহলে কিন্তু সেটা হতে পারে হৃদরোগের লক্ষণ। তাই বিষয়টিকে হালকা ভাবে না নিয়ে তৎক্ষণাৎ ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া দরকার । হতে পারে আপনার স্ট্রোক হওয়ার পর্যায় সৃষ্টি হয়েছে। গাফিলতি করলে পরে আফসোস করতে হতে পারে।