Breaking Bharat: ডেঙ্গি নিয়ে কোন কোন সাবধানতা অবলম্বন করা দরকার? জ্বর কমে গেলেও ডেঙ্গির দাপট কমে কি? বর্ষাকাল মানেই মশা বাহিত রোগ জীবাণুর প্রকোপ বাড়বে। আর ঠিক সেই কারণেই চিকিৎসকরা বারবার সচেতন থাকার কথা বলেন।
সাম্প্রতিককালে বেশ মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে ডেঙ্গি এবং ম্যালেরিয়া। সমস্যা হচ্ছে দুটো ক্ষেত্রেই অনেক সময় প্রায় একই ধরনের লক্ষণ দেখতে পাওয়া এই চিকিৎসকরাও কিছুটা বিভ্রান্ত হয়ে পড়েন।
জ্বর কমে গেলেও ডেঙ্গির দাপট কমে কি?
তবে প্রাথমিকভাবে ডেঙ্গির ক্ষেত্রে যে মারাত্মক হারে জ্বর হতে দেখা যায় সে ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। আর এমনটা মনে করলে চলবে না যে জ্বর কমে গেছে মানে আপনার শরীরে আর ভাইরাস নেই। মনে রাখবেন জ্বর কমে গেলেও ডেঙ্গি আক্রান্ত রোগীর মৃত্যুর আশঙ্কা থেকে যায়। তাছাড়া একবার সুস্থ হয়ে উঠলে যে আরো একবার আপনি অসুস্থ হবেন না এরকম কোন গ্যারান্টি কিন্তু চিকিৎসা বিজ্ঞানে নেই।
অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় ঋতু পরিবর্তনের সময় যে ভাইরাল জ্বর হয় তার সঙ্গে ডেঙ্গিকে অনেকে গুলিয়ে ফেলেন। এই কারণে চিকিৎসা পদ্ধতি শুরু হতে অনেকটা দেরি হয়ে যায় যেটা পরবর্তীকালে গিয়ে মারাত্মক আকার ধারণ করে।
সাধারণভাবে জ্বর হলে লোকে বাড়িতেই ওষুধ খেয়ে সুস্থ হয়ে ওঠার চেষ্টা করেন এতে অবহেলা বাড়তে থাকে আর শিশু বা বয়স্কদের ক্ষেত্রে বিষয়টা বিপদজনক জায়গায় পৌঁছে যায়। পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে এবছর পরিস্থিতি অত্যন্ত মারাত্মক প্রায় হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে ডেঙ্গির পরিস্থিতি এমনটাই মনে করছেন চিকিৎসকরা।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশের ডেঙ্গি রোগের প্রকোপ নিয়ে। তাদের মতে এই ঋতুতে ডেঙ্গির প্রকোপে বাংলাদেশ কার্যত বিপর্যস্ত। পশ্চিমবঙ্গ হোক বা পূর্ববঙ্গ ডেঙ্গি আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এবং মৃতের সংখ্যা ক্রমশই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। যদিও সুস্থতার হার যে একেবারেই কম এমনটাও বলা যাচ্ছে না।
ডেঙ্গি রোগের অন্যতম লক্ষণ:
প্রাথমিকভাবে মাথায় রাখতে হবে যে জ্বর, বমি বমি ভাব ,গা-হাত পায়ে ব্যথা, মাথার যন্ত্রণা এগুলো ডেঙ্গি রোগের অন্যতম লক্ষণ। এর পাশাপাশি অবশ্য মলের সঙ্গে রক্তপাত, বা মুখে অরুচি ইত্যাদি দেখা যায় অনেকের। যদি এরকম লক্ষণ প্রকাশ পায় তাহলে দেরি না করে হাসপাতালে চিকিৎসা করানো দরকার। আবার জ্বর কমে গেছে মানে সুস্থ হয়ে গেছেন এটা ভাববেন না।
আরো পড়ুন – অভিনয় না করেও বলিউডের মালাইকা আরোরা কি করে কোটি কোটি টাকা রোজগার করে?
অনেক রোগীর ক্ষেত্রেই দেখা গেছে যে জ্বর কমে যাওয়ার পরে অতিরিক্ত দুর্বলতা, বমি, পাতলা পায়খানা, পেটে ব্যথা, শ্বাসকষ্ট, বুকে ব্যথা ইত্যাদি দেখা যাচ্ছে। সেক্ষেত্রে একটু অবহেলা করলে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে বলেই আশঙ্কা ডাক্তারদের। তাহলে কোন কোন দিকে আপনাকে নজর দিতে হবে?
প্রথমত জ্বর কমে যাওয়ার ৪৮-৭২ ঘণ্টার মধ্যে রোগীকে বাড়তি নজরে রাখতে হবে। কোন সমস্যা হলে দ্রুত ডাক্তারি পরামর্শ দরকার।
আরো পড়ুন – একবেলা খেয়ে সামান্থা রুথ প্রভু ১০০ কোটির মালিক কীভাবে হলেন এই অভিনেত্রী?
দ্বিতীয়ত ডেঙ্গি হলে শরীরে জলের ঘাটতি তৈরি হয়। তাই সেক্ষেত্রে জলের ঘাটতি কতটা কমেছে সেটা মাপার জন্য দিনে ‘পিসিভি’ পরীক্ষা করা জরুরি। এ ছাড়াও জ্বর চলে যাওয়ার ২-৩ দিন পরেও প্লেটলেট পরীক্ষা করানো প্রয়োজন।
তৃতীয়ত, ডেঙ্গি শরীর কে দুর্বল করে দেয়। তাই এই সময় পর্যাপ্ত পুষ্টি পেতে সঠিক ডায়েট মেনে চলা দরকার। খুব বেশি ঝাল তেল রান্না করা খাবার খাবেন না। কার্বোহাইড্রেট, ফাইবার, ভিটামিন সি, আয়রন, ভিটামিন ই-তে সমৃদ্ধ খাবার বেশি করে খেতে হবে। আর প্রচুর পরিমাণে জল খাওয়া আবশ্যক।