Breaking Bharat: সফলতার গল্পে ‘জওয়ান’ (Jawan) সিনেমার উদাহরণ দিতে পারবেন কি? এ সাফল্য শাহরুখের শুধু নয় এ সাফল্য পরিচালক অ্যাটলির? এই প্রতিবেদন শাহরুখ খানকে নিয়ে নয় বরং জওয়ানের নেপথ্যের কারিগর পরিচালক অ্যাটলি নিয়ে।
কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী পর্যন্ত যে সিনেমাকে নিয়ে চরম উচ্ছ্বাস তার নাম জওয়ান। বলিউডের বাদশার এই ছবি ঘিরে উন্মাদনার পারদ ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী। সাত বছরের দোরগোড়ায় যে মানুষের বয়স তার ক্রেজ কী ভাবে ৮ থেকে ৮০ সকলকে মাপাতে পারে সেটা বোধহয় সিনেমা হলে না গেলে বোঝা যায় না।
বাঁধনছাড়া উচ্ছ্বাস সিনেমা মুক্তির প্রথম দিন থেকে ইতিমধ্যেই ৫০০ কোটির বেশি হল কালেকশনে প্রমাণ করে দিয়েছে সাফল্যের পরিপূর্ণতা। নিঃসন্দেহে এই ছবি শাহরুখ খানের কারণ তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন বাদশাহ হওয়া রাজা হওয়া সকলের সাজে না আর যে আসল তাকে কিছু প্রমাণ করার দরকার পড়ে না।
সফলতার গল্পে ‘জওয়ান’ সিনেমার উদাহরণ অ্যাটলি:
সবাই যেখানে ১০০ কোটি ২০০ কোটি ৩০০ কোটির ক্লাব তৈরি করছিলেন তখন তিনি পাঠান নিয়ে এসে হাজার কোটির নজির গড়েছিলেন। আর এখন নিজেই সেটা ভাঙার পথে। দক্ষিণের সিনেমা জগতে পাঠানের অনুপ্রবেশ ঘটেনি। কিন্তু জওয়ানের প্রবেশ ঘটলো হৈহই করে।
এই প্রতিবেদন শাহরুখ খানকে নিয়ে নয় বরং ‘জওয়ানে’র (jawan) নেপথ্যের কারিগর পরিচালক অ্যাটলি নিয়ে। তামিলনাড়ুর ছোট্ট একটা গলি থেকে উঠে আসা যুবক বিশ্বের দরবারে তার পরিচালিত সিনেমা দিয়ে ঝড় তুলেছেন। তাকে জানলে বুঝতে পারবেন সফলতার আসল গল্প কাকে বলে।

আজ থেকে ৫-৬ বছর আগে ছেলেটার গায়ের রং নিয়ে ফেসবুকে প্রচুর লেখালেখি হয়। আর তার সঙ্গে সুন্দরী এক রমণীর ছবি দেখে তাকে নিয়ে হাসাহাসি করে ইন্টারনেট দুনিয়ার লোকেরা। তখন ছেলেটা জনপ্রিয়তা অর্জন করতে পারিনি। তাই হয়তো তার ভালোলাগা ভালোবাসা বা ইমোশনের কোন দাম বিশ্ব দেয়নি। তামিল সিনেমা জগতের বাইরে খুব একটা কেউ তাকে চিনত না।
ছেলেটির বাইরের রূপ দিয়ে বিচার করে তাকে কুৎসিত যুবকের আখ্যা দেয়া হয়েছিল অথচ আজ তার পরিচালিত সিনেমা দেখতে গোটা ভারত বর্ষ ঘন্টার পর ঘন্টা লাইন দিয়ে টিকিট কাটছে। এর থেকে বড় জবাব বা সপাটে চড় মারা আর অন্য কিছু হতে পারে কি? তাই শুধু নিজেকে প্রমাণ নয় শাহরুখ খান অ্যাটলির যোগ্যতা প্রমাণ করিয়ে দিলেন বিনোদন জগতের কাছে।
অ্যাটলি কুমার জওয়ানের নেপথ্যের কারিগর:
আমরা যার কথা বলছি তার নাম আজ মুখে মুখে ঘুরছে কারণ তিনি অ্যাটলি কুমার (Atlee Kumar)। প্রাথমিকভাবে তামিল সিনেমাতে প্রথম স্ক্রিপ্ট রাইটারের কাজ করতেন। পরে অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে সঙ্গে তামিল সিনেমাতে নিজেকে কাজের মাধ্যমে নিজের নাম প্রথম সারিতে তুলে নিয়ে আসেন। শাহরুখ খানের সঙ্গে কাজ করাটা অনেক দিনের স্বপ্ন ছিল কিন্তু সেটা সহজে পূরণ হয়নি।
আরো পড়ুন – অভিনয় না করেও বলিউডের মালাইকা আরোরা কি করে কোটি কোটি টাকা রোজগার করে?
একদিন তিনি তামিলনাড়ু থেকে কাঁধে ব্যাগ নিয়ে মুম্বাই গেছিলেন শুধুমাত্র শাহরুখ খানের সাথে দেখা করতে, কিন্তু সেদিন দেখা হয়নি, তাই নিরাশ হয়ে ফিরেছিল ছেলেটা। মন্নতের সামনে ছবি তুলে ফিরে গেছিলেন। তবে ওই যে পরিস্থিতি সবসময় এক থাকে না, পরিস্থিতি বদলাবেই।
আরো পড়ুন – জোম্যাটো, সুইগির ডেলিভারি কর্মীদের শিক্ষাগত যোগ্যতা ঠিক কী? অবাক করা সমীক্ষার রিপোর্ট!
আর সে কারণেই আজ শাহরুখ খান তার জীবনের সবথেকে সুপার হিট সিনেমাটা করলেন সেই ছেলেটার সঙ্গে। আর গোটা দেশের কাছে মেসেজ গেল ইচ্ছে থাকলে লক্ষ্যে স্থির থাকলে এগোতে প্রাথমিক সমস্যা হলেও সফলতা শেষে বাধ্য হয়ে ধরা দেয়।
আরো পড়ুন – একবেলা খেয়ে সামান্থা রুথ প্রভু ১০০ কোটির মালিক কীভাবে হলেন এই অভিনেত্রী?
আজকের যাকে মূল্যহীন ভেবে দূরে সরিয়ে রাখছেন,সেই হয়তো আগামীতে আপনার তুরুপের তাস হবে। যোগ্যতা না থাকলে শ্রেষ্ঠ হওয়া যায় না। অন্যের কান ভাঙিয়ে, পা চেটে, লবি করে হয়তো কর্তৃপক্ষের কাছে আসা যায়, আর আপনার কলিগের বা বন্ধুর ক্ষতি করা যায়।
এমনকি সাময়িক প্রিয়জন হওয়া যায় ঠিকই কিন্তু সুপার স্টার হওয়া যায় কি? আপনার কাজ আপনার পরিচয় তাই নিজের উপর বিশ্বাস রাখুন, ফিরে আসার গল্প আপনি তৈরি করতে পারেন আর কেউ নয়।