Breaking Bharat: অস্থির বাংলাদেশের দুর্গাপূজা হবে কি? কী হতে চলেছে পদ্মাপাড়ে বাঙালি শ্রেষ্ঠ উৎসবের ভবিষ্যৎ?
দুর্গা পূজা মানে বাঙালির কাছে একটা আলাদা উন্মাদনা। যে মানুষ যেখানেই থাকুক না কেন দূর্গা পূজার কয়েকটা দিন পুজোর আনন্দে উল্লেখ করতে ভালোবাসেন সকলেই। কিন্তু বর্তমান সময়ে পশ্চিমবঙ্গ এবং পূর্ববঙ্গের যে অস্থির অবস্থা তাতেই দুর্গাপূজা নিয়ে অনেক প্রশ্ন তৈরি হয়েছে (Durga Puja 2024 in Bangladesh)।
বাংলায় ২০২৪ সালের পুজোতে আর জি কর কান্ডের উৎসবের জোয়ারে কিছুটা ভাটা এনেছে শুরুতেই। আর অন্যদিকে প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশে নতুন সরকারের কী পদক্ষেপ হবে পুজো নিয়ে? এই প্রশ্ন যখন মাথাচাড়া দিচ্ছিল তখন অবশেষে উত্তর পাওয়া গেছে।
হাসিনা সরকারের পতন, বাংলাদেশের মহিলা প্রধানমন্ত্রী দেশছাড়া থেকে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন হওয়ার মধ্যে বেশ কিছুটা সময় হিংসাত্মক এক রাষ্ট্রকে খবরের শিরোনামে থাকতে হয়েছে। তারপর থেকে প্রশ্ন ছিল আদৌ বাংলাদেশে এতদিন ধরে চলতে থাকার নিয়মগুলো আগামীতে বজায় থাকবে কিনা।
এবার জানা গেল যে সরকারের পতন বা নতুন সরকার গঠন যাই হোক না কেন বাংলাদেশ দুর্গাপুজো নিয়ে কোন পরিবর্তিত সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেয়া হবে না। অর্থাৎ যেভাবে দুর্গাপূজা হত অন্যান্য বছরের মতো এবারও ঠিক সেভাবেই পূর্ববঙ্গে দেবী আরাধনা চলবে।সম্প্রতিই বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের অধীনে ঢাকায় কর্মরত হিন্দু ধর্মাবলম্বী যুগ্মসচিব ও কর্মকর্তাদের নামের তালিকা চাওয়া হয়েছিল।
সেখানে কিন্তু বঙ্গভবনে শুভেচ্ছা বিনিময়ের অনুষ্ঠানের বিষয়টি বাদ পড়েছিল। এরপর থেকেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে যে আদৌ কি চেনা ছন্দে এবার ইলিশের দেশে দুর্গার পুজো হবে? বিশেষ করে বঙ্গ ভবনে বিজয়া দশমীর অনুষ্ঠান হবে কি না, তা ঘিরে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে নাগরিক সমাজের মনে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে।
আরো পড়ুন – খাবার খেতে খেতেও ফোন ঘাঁটতে হয় বুঝি? এই অভ্যাস না বদলাকে বড় বিপদ !
কিন্তু পরিস্থিতি যাই হোক না কেন দূর্গা পুজোয় কোনো কোপ পরছে না। এমনকি বাংলাদেশের যতটা সাড়ম্বরে দূর্গা পূজা হতো এই বছরেও ঠিক সেভাবেই উদযাপন হবে।
আরো পড়ুন – কখনো গাড়ির চেন টেনে ট্রেন থামিয়েছেন? জরিমানা হয়েছে নিশ্চয়ই? কেন চেন টানলে গাড়ি থামে বলুন তো?
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ আধিকারিক আসিফ আহমেদ জানিয়েছেন শুধু যে পুজো হবে তা নয় পুজোর পর বিজয়াতেও ধুমধাম এবং আড়ম্বর লক্ষ্য করা যাবে বঙ্গভবনে। কিন্তু আগের লেখা চিঠিতে যে এই সংক্রান্ত কোনো উল্লেখ নেই? সরকারি সূত্রে খবর পুরো বিষয়ের সংশয় মুছে ফেলার জন্য আগের চিঠির কথা উল্লেখ করে ক্ষমা চাওয়া হয়েছে।
আরো পড়ুন – ইলেকট্রিক স্কুটার বা বাইক কেনার আগে কোন কোন বিষয়ে মাথায় রাখা দরকার জানেন?
এর পাশাপাশি বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের তরফে জানানো হয় যে শারদীয় দুর্গোৎসব ও বিজয়া দশমীর অনুষ্ঠানের জন্য চিঠি পাঠানো হয়েছে। এই মুহূর্তে পশ্চিমবঙ্গে মহিলাদের সম্মান রক্ষার দাবিতে এভাবে আন্দোলন চলছে তাতে অনেকেই দুর্গাপুজো বন্ধ করার পক্ষে সওয়াল করেন। সেটা না হলেও প্রত্যেক বছরের চেনা ছবিটা এবারের পূজোয় কলকাতা সহ বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে দেখা যাবে কিনা সেটা নিয়ে অনেকের মনেই ধোঁয়াশা রয়েছে।