Breaking Bharat: হাতের কাছে ওষুধপত্র পৌঁছে দেবে ড্রোন (Drone Delivery)? অনলাইন ডেলিভারির দুনিয়ায় অত্যাধুনিক যন্ত্র! জানেন কি? কারণ সেই সাইকেল বা টু হুইলারে চেপে ডেলিভারি ম্যানেরা মানুষের দুয়ারে পৌঁছে যান। তবে এবার আসতে চলেছে দারুণ বদল! মানুষ নয় দুয়ারে ডেলিভারি পৌঁছে দিতে হাজির অত্যাধুনিক যন্ত্র! এবার আসছে ড্রোন।
যত দিন যাচ্ছে তত মানুষের কাজের ব্যস্ততা বাড়ছে। আজকালকার দিনে অনলাইন দুনিয়াতেই আস্থা রাখেন সবাই। হাতের কাছেই খাবার পেতে কেউ আর অন্যত্র হেঁটে যেতে আগ্রহী হন না। কারণ একটাই, আপনার বাড়িতেই পৌঁছে যাবেন ডেলিভারি ম্যান। তাহলে আর খাটবেন কেন? (Drones will deliver medicine from food)
ড্রোনে্র মাধ্যমে খাবার ডেলিভারি দেওয়ার উদ্যোগ:
শুধু খাওয়া নয়, পরনের পোশাক হোক বা ধরুন শাক সবজি। এবং সবথেকে প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র। কিন্তু সবক্ষেত্রেই এই সব ডেলিভারি সংস্থার কাজ পেতে হলে বাইক বা সাইকেল থাকা বাধ্যতামূলক।
বিদেশে এটা নতুন কিছু নয় কারণ তাঁরা এক্সপেরিমেন্ট করতে ভালবাসেন । কিন্তু ভারতে এমন পদক্ষেপ নিঃসন্দেহে এক যুগান্তকারী ঘটনা বটে। জানা যাচ্ছে দেশের মাটিতে এই প্রথম ড্রোনে্র মাধ্যমে প্রয়োজনীয় খাবার ডেলিভারি দেওয়ার উদ্যোগ (Essential food delivery through drones) নিয়েছে সুইগি, ফ্লিপকার্ট , জোম্যাটোর মত সংস্থাগুলি।
এবার অনলাইনে অর্ডার ডেলিভারি দেবে ড্রোন!
তবে আপাতত খাবার দিয়ে শুরু হলে পরবর্তীতে এর মাধ্যমে জামা কাপড় এমনকি ওষুধ সরবরাহ করা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। কিন্তু এত সুবিধা পাবেন কোথায়? প্রাথমিক ভাবে মেট্রো সিটিতে এই যেমন ধরুন বেঙ্গালুরু এবং দিল্লি এবং পার্শ্ববর্তী এলাকায় ড্রোন সার্ভিস শুরু করা হবে।
সেক্ষেত্রে কার হাতে ড্রোন ডেলিভারির দায়িত্ব (Drone delivery responsibility) থাকছে তা নিয়ে নানা স্তরে আলোচনা হয়।তার পর সিদ্ধান্ত হয়েছে যে দুটি পরজায়ে এই পদক্ষেপ করা হবে। প্রথম পর্যায়ের ট্রায়াল হবে বেঙ্গালুরুতে। সেখানে এই দায়িত্বে থাকবে গারুদা অ্যারোস্পেস প্রাইভেট লিমিটেড , পাশাপাশি নয়াদিল্লিতে এর দায়িত্ব সামলাতে চলেছেন স্কাইএয়ার মবিলিটি প্রাইভেট লিমিটেড।
আর পরবর্তীতে অর্থাৎ কিনা দ্বিতীয় পর্যায়ের ক্ষেত্রে এই পরীক্ষা চালাবে এ এন আর এ, টেকইগল এবং মারুত ড্রোনটেক প্রাইভেট লিমিটেড। আসলে গত বছরেই এই বিষয়ে আইন পাশ করেছিল বিজেপি সরকার। জানা যাচ্ছে লাস্ট মাইল ডেলিভারি ফার্মের জিপ ইলেকট্রিকও ভারতের বাজারে এসে গেছে।
কোম্পানির ক্ষেত্রে ড্রোন ডেলিভারির অনুমতি :
এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় সরকার এখনও পর্যন্ত সুইগি সহ আরও ২০ টি ই কমার্স কোম্পানির ক্ষেত্রে ড্রোন ডেলিভারির অনুমতি দিয়েছে। তাই এগিয়ে এসেছে ফ্লিপকার্ট। তারা বলছেন বাংলার সবথেকে বড় লজিস্টিক হাব থেকেই কলকাতা শহর ও শহরতলিতে ওষুধ ডেলিভারি করা হবে।
আরো পড়ুন- child in womb : গর্ভে সন্তান এলে অনেকেরই যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হতে ইচ্ছে হয় কিন্তু সেটা কি সম্ভব?
আরেক শাখা ফ্লিপকার্ট হেলথ স্কাই এয়ার মবিলিটি কোম্পানির সঙ্গে পার্টনারশিপে ওষুধ ডেলিভারির পরিকল্পনা করেছে বলে জানা যাচ্ছে। অতএব জীবন এখন আরও সহজ হচ্ছে। পরিসংখ্যান বলছে ২০২১ সাল থেকে ২০২২ সালের মধ্যে দেশে বিভিন্ন ক্ষেত্রে ড্রোনের ব্যবহার বেড়েছে প্রায় ৩৪ শতাংশ এর বেশি (use of drones has increased)।
আরো পড়ুন- Sleeping late : সারাদিন গা ম্যাজম্যাজ, শরীরে ক্লান্তি? সাবধান! সকালবেলা কখন ঘুম থেকে উঠছেন?
যুগের সঙ্গে আর প্রয়োজনীয়তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে এবার প্রযুক্তি সংক্রান্ত বেশ কিছু নিষেধাজ্ঞা শিথিল করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু এতে বেকারত্ব বাড়বে না তো? অর্থাৎ মানুষের কাজ যদি যন্ত্র করে নেয় তাহলে তো ডেলিভারি বয়দের চাকরি থেকে ছাঁটাইয়ের পথে হাঁটবে বেসরকারি সংস্থাগুলো। ফলে একসঙ্গে সবার জন্য সুখবর বোধহয় হল না।