Breaking Bharat: চাঁদের কুমেরুতে চন্দ্রযান ৩-এর যেতে কত খরচ হয়েছে? কিভাবে অসম্ভবকে সম্ভব করল ভারত? চাঁদের বাড়ি যেতে হলিউড সিনেমার অর্ধেক বাজেট? তাহলে এই গোটা মিশনে খরচ হয়েছে কত কোটি টাকা? কিভাবে অসম্ভবকে সম্ভব করল ভারত?
চাঁদের দক্ষিণ ভারতের সফল অবতরণ মোটেই সম্ভব ছিল না। কিন্তু ভারত পিছিয়ে থাকার দেশ নয়। রাজনীতি হিংসা দলাদলি মতের অমিল যাই থাকুক না কেন, এই সাফল্যের দিকেই তাকিয়ে ছিল ১৪০ কোটি ভারতীয়। ২৩ অগাষ্ট সেই ইতিহাস তৈরী হল।
তবে চমকে যেতে হয় এই সাফল্যের নেপথ্য কাহিনী জানলে। মনে হয় এটাও সম্ভব? কারণ এই যান পাঠাতে যে বাজেট রেখেছিল ভারত, তার থেকে ডবল বাজেটে একটা আস্ত হলিউড সিনেমা তৈরি হয়ে যায়। তাহলে ভাবুন কোন অসাধ্য সাধন করল টিম ইসরো।
চাঁদের কুমেরুতে চন্দ্রযান ৩-এর যেতে কত খরচ?
এক কথায় বলা কঠিন তবে ২০২৩ সালে এক নতুন অধ্যায় রচিত হলো। আগেরবার চাঁদের দুয়ারে পৌঁছে ব্যর্থ হতে হয়েছিল । সেই ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে এইবার সতর্ক ছিল ইসরো। এখানে বিশ্ব যেতে পারিনি সেখানে পৌঁছেছে ভারত। রাশিয়া ব্যর্থ হল কিন্তু ভারতের এই অভিযানের শুরু থেকেই নিখুঁত অঙ্ক সাফল্য এনে দিয়েছে। এর সঙ্গে জুড়েছে ১২ জন বাঙালির নাম।
চাঁদের কুমেরুতে সফল ভাবে ল্যান্ডিং করে ফেলল চন্দ্রযান ৩-এর ল্যান্ডার। তারপর সূর্য থেকে শক্তি নিয়ে পেট থেকে বেরিয়ে এল রোভার প্রজ্ঞান। এখন জোর কদমে কাজ করছে সে আর তার সঙ্গে চাঁদের মাটি পরীক্ষা করে পাঠাতে থাকবে রিপোর্ট।
চাঁদের গায়ে ইতিমধ্যেই ভারতের নাম, খোদাই করা হয়েছে, লেখা হয়েছে সাফল্য গাঁথা। চার বছরের গবেষণা, হাজার হাজার বিজ্ঞানী, ইঞ্জিনিয়ারের রক্ত জল করা দিন রাতের পরিশ্রম, এবং তার পাশাপাশি সীমিত বাজেট – নেপথ্যের গল্পটা আর জানেন কজন?
আরো পড়ুন – এবার চাঁদে মহিলা মহাকাশচারী? কে এই ক্রিস্টিনা হামোক কচ জানেন?
গত ১৪ জুলাই ২০২৩ তারিখে দুপুর ২.৩৫ মিনিটে শ্রীহরিকোটার উৎক্ষেপণ কেন্দ্র থেকে রওনা হয়েছিল চন্দ্রযান ৩, এবং হয় ৫ অগস্ট পৌঁছয় চাঁদের কক্ষপথে। নানা উদ্বেগ, জল্পনার , উত্তেজনার মধ্যে শেষপর্যন্ত নির্ধারিত দিনেই চাঁদে অবতরণ করেছে চন্দ্রযান।
আরো পড়ুন – খাদের ধারে ঝুলন্ত দোকান দেখে চমকে গেলেন? প্রায় ৩৯৩ ফুট উপরে দোকানটির অবস্থান
জানেন এই গোটা মিশনে খরচ হয়েছে মাত্র ৬১৫ কোটি টাকা? হ্যাঁ টাকার পরিমাণ টা জেনে আপনি প্রশ্ন করতেই পারেন যে কেন আমরা মাত্র বলছি। আসলে যে দেশে নেতাদের দুর্নীতিতে এর থেকে কয়েক কোটি বেশি টাকা উদ্ধার হয়, হিন্দি সিনেমায় এর দ্বিগুন টাকা বক্স অফিসে সাফল্য হিসেবে উঠে আসে, এর ডবল বাজেটে হলিউড সিনেমা হয়- তাই এত বড় একটা কাজের জন্য এটা সত্যিই সামান্য টাকা।
আরো পড়ুন – বিস্ফোরক মন্তব্য বর্ষিয়ান অভিনেতা ধর্মেন্দ্রর? বলিউডের দিকে কেন আঙুল তুললেন তিনি?
২০২০ সালে এই মিশনের জন্য বরাদ্দ হয়েছিল ওই বাজেট। সেই টাকার মধ্যেই মিশন শেষও করে চাঁদে পৌঁছে গিয়েছে ভারত। মহাকাশ গবেষণার কাজ সার্বিক ভাবেই ব্যয়বহুল। যন্ত্রপাতি থেকে শুরু করে মহাকাশযানের প্রায় প্রতিটি অংশ তৈরি করতেই খরচ হতে থাকে প্রচুর খরচ। কিন্তু সবটাই তো মানুষের কল্যাণ করতে। বিজ্ঞান সাধনা বন্ধ হয়ে যাওয়া কখনোই কাম্য নয়।
আরো পড়ুন – কাশ্মীরে সাদা সোনা ! ভূস্বর্গে ৫.৯ মিলিয়ন টন লিথিয়াম ভাণ্ডারের খোঁজ জানেন?
ধনকুবের এলন মাস্ক এই বিষয়টি সম্প্রতি উত্থাপন করেছেন। এবং এই কাজের জন্য ভারতের বিজ্ঞানীদের কুর্নিশ জানিয়েছেন তিনি। India is on Moon now.