Breaking Bharat : সমাজের কাছে তিনি বনদেবী হিসেবেই পরিচিত (Tulsi Gowda) এক দাপুটে মহিলা,খালিপায়ে লাল কার্পেটের ওপর হাটতে হাটতে সটান পৌছেঁ গেলেন রাষ্ট্রপতির কাছে।হাতে তুলে নিলেন পদ্মশ্রী পুরস্কার।রবীন্দ্র নাথ ঠাকুরের একটি গানের লাইন মনে পড়ে আপনার ‘যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চলো রে’,সেই কথাই মনে করিয়ে দিলেন বনদেবী। ৬ দশকের বেশি সময় ধরে তার নীজের গ্রামে পরিবেশ অন্দলনে সামীল তিনি।পরিবেশ রক্ষার জন্য যুদ্ধে নেমেছিলেন তিনি একাই।
সাড়া বিশ্বজুড়ে যখন বিভিন্ন প্রান্তে গজিয়ে উঠছে কংক্রিটের জঞ্জাল,ঠিক সেই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে সয়ং এই বনদেবী ৩০ হাজারেরও বেশি বৃক্ষরোপন করেছেন।দীর্ঘদিন দেখাশোনা করেছেন বন দপ্তরের নার্সারিও।এই কথায় উদ্ভিদের সাথে ওতোপ্রোতো ভাবে জড়িয়ে আছে তার সম্পর্ক।আর এই মহান কাজের জন্য এবার বনদেবীর ঝুলিতে এলো পদ্মশ্রী সন্মান।
নাম তুলসী গৌড়া, জন্ম কর্ণাটকের হান্নালি গ্রামে,হাল্লিক নামক এক অদিবাসী পরিবারে জন্ম হয় তুলসী দেবীর।তার নামেই জেন রয়েছে উদ্ভিদের গন্ধ।আর এই তুলসী দেবীর আজ সমাজের জাছে বনদেবী হিসাবে পরিচিত।স্থানীয়দের জাছে তিনি বিশ্বকোষ হিসাবেও পরিচিত।
তবে সোমবার রষ্ট্রপতির হাত থেকে দেশের অন্যতম সন্মান নেওয়ার সময় নীজেকে একটুও বদলাননি তুলসী দেবী।রিতিমতো খালি পায়ে অদিবাসী পোষাকেই রাষ্ট্রপতির হাত থেকে পদ্মশ্রী পুরষ্কার তুলে নেন তিনি।আর সেই ছবিই ভাইরাল হয়েছে নেট দুনিয়ায়।
আরো পড়ুন- আপনি কি চা প্রেমী? দুধ দিয়ে চা খেতে ভালোবাসেন? এবার সাবধান !
আরো পড়ুন- কেন বাড়ছে পরকীয়া ?কেন ভাঙছে বিয়ে? কী করে অটুট থাকবে সংসারের বন্ধন?
প্রধানমন্ত্রী নিজেও তুলসী গৌড়ার সাথে তার আলাপরিচিতির ছবি পোষ্ট করেছেন স্যোসাল মিডিয়ায়।সরাষ্ট্র মন্ত্রি অমিত সাহও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তুলসী দেবীকে।অনেকেই আবার পদ্ম সন্মান অষ্ঠানে তুলসী গৌড়ার ছবি পোষ্ট করে বলেছেন এটি দিনের সেরা ছবি।
আরো পড়ুন- Drink Water: খেয়ে উঠেই জল খান? সাবধান! এতে বিপদ বাড়তে পারে
সব মিলিয়ে গোটা দেশ এখন চর্চিত এই বনদেবীকে নিয়ে।তবে গ্লোবালওর্য়ামিং এর এই পরিস্থিতিতে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যেন জন্ম নেয় তুলসী দেবী,তবেই হয়ত রক্ষা পাবে পৃথিবী।