Breaking Bharat: বিয়ে করতে গেলে কি উপার্জন করাটা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়? বিয়ের বাজেট কত হওয়া উচিত? বিয়েতে কত টাকা খরচ করা উচিত?
শিরোনামটা শুনে আবার ভাববেন না বোকা বোকা প্রতিবেদন কারণ অত্যন্ত বাস্তব একটা অবস্থাকে তুলে ধরতেই আমরা এই লেখা আপনাদের সামনে উপস্থাপিত করার চেষ্টা করছি। এমনিতেই বিয়ের সিজনে প্রত্যেকটা মুহূর্তে একটা বিয়ে বিয়ে রব ওঠে।
বিষয়টা এমন যেন যারা বিয়ে করবেন তার থেকে যারা বিয়েতে খাবেন তাদের আগ্রহ বেশি। আর এটা কিন্তু আজকের নয় যুগ যুগ ধরেই চলে আসছে। সুতরাং শীতকালে বিয়ের মরশুমে বিয়ের প্রসঙ্গ আনতেই হয়। আর সেখানেই সব থেকে বড় হয়ে দাঁড়ায় খরচ।
আজকালকার বিয়ের বাজেট এত বেশি হয় যে একটা গোটা টলিউড সিনেমা বানিয়ে ফেলা বা নিদেন পক্ষে ওয়েব সিরিজ তাতে করে ফেলা যাবে। আরি সব কিছুর সঙ্গে সম্পর্ক কার বেশি বলুনতো? উত্তরটা হলো বরের উপার্জনের। অর্থাৎ বর যদি মোটা মাইনে উপার্জন করে তবেই সেই বিয়ে নাকি সার্থক হয়ে ওঠে। পুরুষতান্ত্রিক সমাজে এমনই মানসিকতা। তাহলে বেচারা বেকার যারা তারা কি বিয়ের স্বপ্ন দেখবে না?
বি এমন একটা জিনিস যাতে শুধু একজন মানুষ নয় বা দুজন মানুষ নয়, দুটো পরিবার এবং তার সঙ্গে জড়িয়ে থাকা আরও অনেকগুলো ঘটনা সংঘবদ্ধ ভাবে থাকে। একটার গায়ে আলতো টোকা লাগলে আর একটার ওপর অনেক বড় আঘাত নেমে আসতে পারে।
তাই খুব সাবধানে বিষয়গুলোকে হ্যান্ডেল করা দরকার। মনে রাখতে হবে, বিয়ে মানে এখন আর একজন আরেকজনের দায়িত্ব নেবেন এমনটা নয়। দুজন মানুষ দুজনের দায়িত্ব নেবেন এবং একসঙ্গে থাকবেন এটাই হচ্ছে মোদ্দা কথা। এখন বিষয়টা দাঁড়াবে যে কী করে এই দায়িত্বগুলো একে অন্যের সঙ্গে ভাগাভাগি করে নেয়া সম্ভব।
এক্ষেত্রে টাকার একটা প্রাধান্য রয়েছে। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয়টা হলো বিয়ের সময় কনে কত রোজগার করে তার থেকেও বেশি ইম্পরট্যান্ট হয়ে দাঁড়ায় বর কত টাকা মাইনে পায়। এটাই হচ্ছে সেই ভাবনা যা, পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতাকে আজও আঙ্গুল তুলে নির্দেশ করে। অর্থাৎ মেয়েটার কোন গুরুত্বই নেই উপার্জনের ভার যেন একা ছেলের উপর।
তাই কার হাতে মেয়েকে তুলে দিচ্ছি এই একটা ভাবনা মেয়ের বাড়ির লোকেদের মনে কাজ করে। আচ্ছা সেই কারণের জন্য একটা ভালো ছেলে যদি রোজগার না করতে পারে তাহলে কিন্তু সহজে সে বিয়ের প্রস্তাব দিতে পারেনা। কারণ এটা জেনেই তাকে এগোতে হয় যে মেয়ের বাড়ির তরফ থেকে তাকে প্রথমেই নাকচ করে দেয়া হবে কারণ যোগ্যতা হিসেবে তার মাপকাঠি হলো তার ব্যাংক ব্যালেন্স এবং নিজের রোজগার।
আরো পড়ুন – মেয়েদের বয়স শুধুমাত্র বিয়ের নিরিখেই বিচার হওয়া উচিত?
সম্পর্ক হয় দুটো মনের মধ্যে দুটো আত্মা একে অন্যের সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতায়। এরপর তারা কাছে এসে ভালোবেসে ফেলে। এই গোটা ব্যাপারটার মধ্যে কোথাও কিন্তু উপার্জন কত বা বেকার নাকি সাকার এই শব্দগুলোর অস্তিত্ব থাকে না। গোলমালটা বাধে যখন সম্পর্কটাকে বিয়ে পর্যন্ত এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ভাবনা-চিন্তা শুরু হয়। বউয়ের পয়সায় খাওয়া বরকে এ সমাজ তাচ্ছিল্যের চোখে দেখে।
আরো পড়ুন – ঠান্ডা গরমে সর্দি জ্বর? অনবরত নাক দিয়ে জল ঝরছে? ঘরোয়া উপায় মেনে সমস্যার সমাধান করুন আজই !
উল্টো ঘটনাটা কারোর চোখে পড়ে না কারণ যুগ যুগ ধরে সেটাই নাকি স্বাভাবিক। একটা ভেবে বলুন তো, দুজন মানুষ কি করে ভালো থাকবে সেটা কি তৃতীয় কোন মানুষ ঠিক করে দিতে পারেন? তাহলে সমাজ বা বাকিদের এত মাথা ব্যথা কেন? বড় চাকরি বা ব্যবসা মোটা মাইনের একটা ছেলে যদি ভালো না হয় তার সঙ্গে কি কোন মেয়ে সুখে থাকতে পারে?
আরো পড়ুন – আপনার স্ত্রী কি পরকীয়া সম্পর্কে লিপ্ত? বুঝতে পারছেন না এই সময় আপনার কী করা উচিত?
আরেকটা ভালো ছেলে শুধুমাত্র চাকরি করে না বলে বা রোজগার করে না বলে তাকে পছন্দ বা ভাবনা চিন্তার জায়গাতেই আনে না মেয়ের পরিবারের লোকেরা। এটা তো অন্যায় কারণ আগে মানুষ পরে তার বহিরঙ্গতা। ভালোভাবে থাকার স্বপ্ন দেখার অধিকার কিন্তু প্রত্যেকের আছে আর সেটা কেড়ে নেয়ার ক্ষমতা সমাজের নেই। কে কিভাবে বাঁচবেন সেটা তাদের ব্যক্তিগত ব্যাপার তাই স্বপ্ন দেখতে কোন বাধা নেই।