Breaking Bharat: আপনার স্ত্রী কি পরকীয়া সম্পর্কে লিপ্ত? বুঝতে পারছেন না এই সময় আপনার কী করা উচিত? চোখ রাখুন এই প্রতিবেদনে
প্রিয় মানুষকে জীবনসঙ্গী হিসেবে পেয়ে গেলে জীবনটা সত্যি স্বর্গীয় অনুভূতির স্বাদ পায়।। কিন্তু এবার ভেবে দেখুন যদি আপনার জীবনসঙ্গী আপনার প্রতি স্বচ্ছ আর সৎ না হয় তাহলে? খুব স্বাভাবিকভাবেই মন ভেঙে যাওয়া একটা পরিস্থিতি তৈরি হয়। সেটা নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে আপনি কী করে সামাল দেবেন নিজেকে বা পরিস্থিতির সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নেবেন, এটাই বড় প্রশ্ন।
স্ত্রীর পরকীয়ার লক্ষণ:
হিন্দি সিনেমার পোকা যারা তাদের কাছে এরকম ঘটনা খুব চেনা জানা। অক্ষয় কুমার অভিনীত “ধরকন ” বা অজয় দেবগন অভিনীত ” হাম দিল দে চুকে সানাম” এই ধরনের গল্পের কথাই বলেছে। আসলে এই পরিস্থিতির জন্য কোন মানুষই তৈরি থাকেন না কারণ এটা কখনোই কাঙ্খিত নয়।
কিন্তু দুজন মানুষ একে অন্যের সঙ্গে থাকার অঙ্গীকারবদ্ধ হওয়ার পরেও কেন একজনকে অন্য কথা ভাবতে হচ্ছে সেটা ভেবে দেখেছেন কখনো? স্বামী হিসেবে আপনাকে পেয়ে আপনার স্ত্রী নিশ্চয়ই সুখী বা খুশি নন যে কারণে অন্যজনের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছেন তিনি।
এটা একটা প্রাথমিক অনুমান করে নেওয়া যায় কিন্তু তাই বলে এখান থেকেই স্থির সিদ্ধান্তে আসতে হবে এমন কোন কথা নেই। ভারতীয় ধর্ম মতে স্বামী স্ত্রীর বন্ধন সাত জন্মের জন্য শক্ত হয়ে থাকে। এটা এমন একটা গাঁটছড়া যেটা চাইলেই ছিঁড়ে ফেলা যায় না। তাহলে সম্পর্কের মাঝে দূরত্ব কেন তৈরি হল সেই দিকটা আগে বিচার করা দরকার।
দুজনই দুজনের প্রতি যদি যত্নশীল থাকেন তাহলে সমস্যা তৈরি হলেও সেটা নিজেদের মধ্যে কথা বলে সমাধান করে নেয়া সম্ভব। অথচ সেই রাস্তার ধারে কাছে না গিয়ে আপনার স্ত্রী অন্য একজন মানুষের কাছে তার জীবনের সুখ-স্বাচ্ছন্দ খুঁজতে চাইছেন এটা ভালো লক্ষণ নয়।
প্রতিটা মানুষই এখন নানা কারণে নিজের জীবন নিয়ে ব্যস্ত আর এটা করতে গিয়ে উল্টোদিকে থাকা মানুষগুলোর ভাবনা-চিন্তাকে বুঝতে শেখার ইচ্ছেটুকু অজান্তেই হারিয়ে যাচ্ছে। কোনও পরিবারে যদি স্বামী স্ত্রী দুজনেই কর্মরত হন তাহলে তো কোন কথাই নেই, পুরো যান্ত্রিক জীবনের ঘেরাটোপে আটকে পড়বেন। আবার অনেক সময় একঘেয়ে আমি তুমি সম্পর্কের মধ্যেও একটা বিরক্ত ভাব তৈরি হয়।
তখন মন স্পেস বা কিছুটা দূরত্ব চায় আর সেই ফাঁকে অন্য কেউ এসে পড়লে পরকীয়া সম্পর্কের জন্ম হয়। এবার যদি আপনি জানতে পারেন যে আপনার স্ত্রীর সঙ্গে অন্য কোন মানুষের সম্পর্ক তৈরি হয়েছে তাহলে সেক্ষেত্রে প্রথমে চিৎকার চেঁচামেচি না করে খোলাখুলি বিষয়টা নিয়ে আলোচনা করা দরকার।
আরো পড়ুন – ফুটবল না ক্রিকেট? জনপ্রিয়তার নিরিখে ফুটবলকে এগিয়ে গেল?
যেকোনো সম্পর্কের প্রধান ভিত্তি হল বন্ধুত্ব , তাই সুস্থ স্বাভাবিক দাম্পত্যে সেই বন্ধুত্বকে পূর্ণ মর্যাদা দিন। আপনার স্ত্রীর সঙ্গে যদি দূরত্ব তৈরি হয়ে গিয়ে থাকে তাহলে সেটা কিন্তু আপনার দায়িত্ব মুছিয়ে ফেলার। পরোক্ষভাবে কিছু পদ্ধতি আপন করে নিতেই পারেন।
আরো পড়ুন – বিবাহিত মহিলার প্রতি আকর্ষণ কতটা সঠিক? ছেলেরা কেন বিবাহিত মহিলাদের প্রতি আকৃষ্ট হয়?
যেমন ধরুন গল্প করা, সিনেমা দেখতে যাওয়া, বাইরে খেতে যাওয়া – এইভাবে মজার ছলে আপনার স্ত্রীর আরো কাছাকাছি পৌঁছে তার মনের কথাগুলো জেনে নেওয়ার চেষ্টা করা। স্বামী স্ত্রীর সম্পর্কে কিছু ন্যূনতম চাহিদা থাকে কোথাও কি আপনি সেই চাহিদা পূরণে ব্যর্থ, যার কারণে এমন ঘটনা ঘটছে বলে মনে হচ্ছে?
আরো পড়ুন – ডাক্তারের ব্যবহার কি রোগীর সুস্থতার কারণ হতে পারে? ডাক্তার আমাদের কিভাবে সাহায্য করে?
এইগুলো আগে নিজে বিশ্লেষণ করে দেখুন তারপর সম্পর্কের ভিত মজবুত করার দিকে জোর দিন। মাথায় রাখবেন জোর করে কিছু হয় না এটা যেমন সত্যি কথা ঠিক তেমনি ভালবাসার একটা আলাদা জোর আছে এটাও ততটাই বাস্তব। এবার আপনাকে বুঝতে হবে কোনটা কে আপনার জীবনে কার্যকরী করে তুলতে পারবেন আপনি। আমরা শুধু চাই একটা ভালো দাম্পত্য আপনার জীবনকে ভরিয়ে রাখুক।