Breaking Bharat: রোগ ভোগ নিয়ে চিন্তায়? সতর্ক থাকুন টাইফয়েড নিয়ে! শরীরে যখন তখন রোগ দানা বাঁধে। আচমকা এমন কিছু সংক্রমনের খবর পান আপনি যার যেতে চিন্তা করাটা স্বাভাবিক। বিশেষ করে ব্যাকটেরিয়া ঘটিত সংক্রমণ যখন তখন মারাত্মক আকার ধারণ করে।
সেক্ষেত্রে এই সংক্রমণ থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় জানা দরকার। আজকে আমরা কথা বলতে চলেছি এরকমই এক ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ নিয়ে। রোগের নামটা ভীষণ চেনা টাইফয়েড।
আজকালকার দিনে জ্বর যেন ঘরে ঘরে লেগেই আছে। কী থেকে সংক্রমণ হচ্ছে সেটা আপনি আগে থেকে বুঝতে পারবেন না। ডাক্তারের কাছে গেলে তিনি কিছু পরীক্ষা করতে বলবেন আপনাকে আর সেখানেই ধরা পড়বে রোগ। আপনি হয়তো জানেন যে সালমোনেলা টাইফি ব্যাকটেরিয়ার কারণে এই টাইফয়েড রোগ হয়।
টাইফয়েড জ্বরের লক্ষণ ও উপসর্গ:
যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসেস বলছে খাবারের বিষক্রিয়াজনিত সমস্যা তৈরি করে এই ব্যাকটেরিয়া। একবার শরীরে এই ব্যাকটেরিয়া প্রবেশ করলে সংক্রমণ সারা দেহে ছড়িয়ে যেতে পারে। এবং সবথেকে বড় কথা হচ্ছে দ্রুত যদি সংক্রমণ কে নির্ণয় করে চিকিৎসা না শুরু করা যায় সে ক্ষেত্রে অবস্থা গুরুতর হতে পারে।
এমনকি অনেক ক্ষেত্রে মৃত্যু অবধারিত। চিন্তার বিষয় এটি এক দেহ থেকে অন্য দেহে খুব সহজেই ছড়িয়ে পড়তে পারে। গবেষণা বলছে সংক্রমিত ব্যক্তির মলের মাধ্যমে ছড়াতে পারে এই রোগ। গবেষণা বলছে সংক্রমিত ব্যক্তি যদি মলত্যাগের পর সঠিকভাবে হাত পরিষ্কার না করেন এবং এই হাত অন্যান্য জায়গায় স্পর্শ করেন তাহলে তার থেকে ওই ব্যাকটেরিয়া খাবারসহ বিভিন্ন স্থানে ছড়াতে পারার আশঙ্কা করা হয়।
টাইফয়েডের প্রাথমিক লক্ষণ হল জ্বর:
চিকিৎসকেরা বলেন টাইফয়েড জ্বরের লক্ষণ ও উপসর্গ প্রথমেই বোঝা সম্ভব হয় না। পরে ধীরে ধীরে লক্ষণ বিকশিত হতে শুরু করে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সমীক্ষায় দেখা গেছে এই রোগের সংস্পর্শে আসার এক থেকে তিন সপ্তাহ পরে রোগের লক্ষণ সম্পূর্ণভাবে প্রকাশ পেতে শুরু করে।
শুধুমাত্র মলের মাধ্যমেই নয় প্রস্রাবের মাধ্যমেও এই রোগ সংক্রমিত হয়। এইজন্যেই কোন পাবলিক টয়লেট ব্যবহার করলে ভালো করে হাত পরিষ্কার না করে কখনোই মুখে হাত দেওয়া উচিত নয়।
আরো পড়ুন – শাক খাওয়ার উপযুক্ত সময় আছে কি? রাত্রে শাক খাওয়ার ক্ষেত্রে কি নিষেধাজ্ঞা জারি করা আছে?
এগুলো অনেকাংশে জল বাহিত রোগও বটে, তাই আপনি যে জল পান করছেন তা পরিশ্রুত কিনা সেটা বুঝে নেওয়া দরকার। টাইফয়েডের প্রাথমিক লক্ষণ হল জ্বর আস্তে আস্তে বাড়তে থাকা সঙ্গে অসম্ভব মাথার যন্ত্রনা। এর সঙ্গে যুক্ত হবে পেটের সমস্যা। বমি ভাব লক্ষ্য করা যায় অনেকের ক্ষেত্রেই। পেটে ব্যথা শুরু হয়, খিদের তাগিদ চলে যায়। অনেক সময় পেট ফুলতে থাকে।
আরো পড়ুন – সি-২৯৫ বিমান কি সামরিক ক্ষেত্রে ভারতকে বেশি শক্তিশালী করে দিল? কী বৈশিষ্ট্য রয়েছে এই যুদ্ধবিমানের?
যদি আপনি টাইফয়েড আক্রান্ত হন তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। অবশ্যই টাইফয়েডের টিকা গ্রহণ করা বাঞ্ছনীয়। তবে সাধারণ জীবন যাত্রার মান কিছুটা পরিবর্তন করেও এই রোগের সংক্রমনের হাত থেকে আগাম রেহাই পাওয়া সম্ভব। যেমন ধরুন কিছু অভ্যাস আপনাকে আপনার জীবন শৈলীর মধ্যে তৈরি করে নিতে হবে।
আরো পড়ুন – বিনোদন জগতের ‘কমল হাসান’ কে চেনেন? তিনি নাকি জীবন শেষ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন?
ঘন ঘন আপনার হাত ধোয়া বা কাঁচা ফল ও সবজি এড়িয়ে চলার মত সিদ্ধান্ত নিতে হবে আপনাকে। সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ হল দূষিত স্থান থেকে দূরে থাকা অবশ্যই বাসস্থানের চারপাশের স্যানিটেশন ব্যবস্থাকে উন্নত করা। একটু সজাগ থাকলে সচেতন থাকলে অনেক রোগের সংক্রমণ থেকে দূরে থাকতে পারবেন আপনি।