Breaking Bharat: ভারতকে পিছনে ফিরে এগিয়ে গেল চীন? আন্তর্জাতিক বাজার দখলের পথে লাল ফৌজের দেশ! সবথেকে বড় কথা হল তিন মাসেই ভারতকে টপকে গেল চিন! তাহলে এবারের লক্ষ্য কী আর কী ভাবেই বা অসাধ্যসাধন করল চীন?
ভারত আর চীনের মধ্যে রেষারেষি আজ নতুন নয়। কিন্তু চীনের আগ্রাসনকে ভারত কোনোভাবেই বরদাস্ত করবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। চীনে প্রস্তুতকারক জিনিসের সবথেকে বেশি বিক্রি হয় ভারতের বাজারে। তাই ভারতের বাজার প্রতিবেশী দেশের কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ।
তিন মাসেই ভারতকে টপকে গেল চিন?
যদিও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দিয়েছেন যে চীন যদি সীমান্তে তার আক্রমণ না বন্ধ করে তাহলে সেদেশের সঙ্গে কোনো রকমের সমঝোতার পথে হাঁটবে না নয়া দিল্লি। এই পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক বাজার যতটা করায়ত্ব করা যায় ততই চীনের বিস্তারে এবং ব্যবসায় তা সহযোগী হবে। সেই পথেই এগিয়ে চলেছে চীন। এবং সবথেকে বড় কথা হল তিন মাসেই ভারতকে টপকে গেল চিন! তাহলে এবারের লক্ষ্য কী আর কীভাবেই বা অসাধ্যসাধন করল চীন?
দেখুন পরিসংখ্যানের তথ্য অনুযায়ী চীনের অন্তত ১০০টি সংস্থা বৈদ্যুতিক গাড়ি তৈরি এবং বিক্রি করে।এখানে ভারত চেষ্টা করছে কিন্তু এই মুহূর্তে ১০-১২টি সংস্থা যাত্রিবাহী বৈদ্যুতিক গাড়ি তৈরি করছে। এবং ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত মোট ৫৮ হাজার গা়ড়ি বিক্রি করেছে ভারত।
কিন্তু এইসময়ে, ভারতের পড়শী রাষ্ট্র পাঁচ গুণ বৈদ্যুতিক গাড়ি বিক্রি করেছে তাও প্রায় তিন গুণ কম সময়ে! এই গাড়ি বিক্রির বাজার যে রমরমিয়ে চীনের দিকে যাচ্ছে সেটা বুঝতে পারছেন নিশ্চয়ই। এবং এই যে উত্থান সেটা সত্যি অবাক করার মতো কারণ চীনের মাত্র একটি বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা সংস্থা থেকেই এই গাড়িগুলি বিক্রি হয়েছে।
বড় ব্যবসার দিকে পা বাড়াচ্ছে নয়াদিল্লি:
আসলে চীনের মানুষের বৈদ্যুতিক গাড়ির দিকে ঝোঁক ক্রমশ বাড়ছে। তাই চাহিদার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে যোগান বাড়ছে। এই ধরনের ইলেকট্রিক গাড়ির চাহিদা পূরণের দিক দিয়ে এখন ইউরোপের ঘাড়ে নিশ্বাস ফেলছে চীন। আসলে ইউরোপের দামি বৈদ্যুতিক গাড়ির থেকে তুলনামূলক সস্তা চীনা বৈদ্যুতিক গাড়ি দেদার বিকোচ্ছে। হলে এভাবেই বিশ্ববাজারের অনেকটা নিজের মুঠোর মধ্যে করে ফেলেছে এই দেশ । রাশিয়া, মেক্সিকো এবং বেলজিয়ামেও গাড়ি বিক্রি হচ্ছে।
আরো পড়ুন – সন্ন্যাসিনী হয়েও রকস্টার – ‘অনি চোয়িং ড্রলমা’ আরেক নাম হল ‘দ্য সিংগিং নান’ আপনি চেনেন এনাকে?
ভারত অবশ্য আস্তে আস্তে করে নিজেদের শাখা-প্রশাখা বিস্তার করতে শুরু করেছে। ইলেকট্রিক গাড়ি যা ভারতে তৈরি হচ্ছে সেগুলোর বেশিরভাগটাই প্রাথমিক স্তরে রয়েছে। কিন্তু চাহিদার কথা মাথায় রেখে এবার বড় ব্যবসার দিকে পা বাড়াচ্ছে নয়াদিল্লি।
বড় বড় সংস্থাগুলো ইতিমধ্যে বিনিয়োগ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। এ বিষয়ে বলা দরকার যে ‘ফেডারেশন অফ অটোমোবাইল ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশন’ এবং ‘কাউন্টারপয়েন্ট রিসার্চ’ নামে একটি গবেষণা সংস্থার রিপোর্ট বলছে, ভারত এই বছর জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৫৮ হাজার যাত্রিবাহী বৈদ্যুতিক গাড়ি বিক্রি করেছে৷
আরো পড়ুন – ‘বাঘের দুধ’ পাওয়া যায়? সব ছেড়ে কেন বাঘের দুধ নিয়ে এত কথা? কখনো ভেবে দেখেছেন?
FDA-র তথ্য অনুযায়ী, সেপ্টেম্বর মাসে ৪ হাজার ২১৭টি বৈদ্যুতিক গাড়ি বিক্রি করেছে টাটা গোষ্ঠী। এই মুহূর্তে ভারতের বৈদ্যুতিক গাড়ির বাজারের মধ্যে শীর্ষস্থানে রয়েছে। দ্বিতীয় স্থান নিয়েছে এমজি মোটর ইন্ডিয়া। নরেন্দ্র মোদি সরকার আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে দেশে বৈদ্যুতিক গাড়ির চলাচল ৩০ শতাংশ বৃদ্ধি করার কথা জানিয়েছে ।