Breaking Bharat: আপনি কি কলা খেতে ভালোবাসেন? ভেবে দেখেছেন ব্রেকফাস্টে কলা খাবারের উপর এত জোর কেন দেওয়া হয়?
ফল খাওয়া মানুষের শরীরের জন্য উপকারী। তাই পর্যাপ্ত পরিমাণে জল এবং ফল দুটোই খেতে হবে। প্রতিটি ফলের একেক রকমের স্পেশালিটি থাকে। সাধারণত ফল খাওয়া যে কোন বয়সের মানুষের জন্য খুব প্রয়োজনীয়। আজকে আমরা কলার কথা বলব আপনাকে। কারণ আম ফলের রাজা হতে পারে কিন্তু কলা খুব উপকারী। চলুন কখন কলা খাবেন সেটা জানিয়ে দিই কারণ ভুল সময় কলা খেলে মারাত্মক বিপদ নেমে আসবে।
কলা তার দুটো ভাগ পাকা কলা এবং কাঁচা কলা:
কলা মানে তার দুটো ভাগ পাকা কলা এবং কাঁচা কলা। প্রথম যে নাম করলাম অর্থাৎ পাকা কলা সেটা ফল হিসেবে খাওয়া হলেও, কাঁচা কলা কে পথ্য হিসেবে রান্নার কাজে বেশি ব্যবহার করা হয়। অনেকেই হয়তো জানেন না যে পাকা কলা স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী এবং প্রয়োজনীয় তা মানেন চিকিৎসকেরাই।
প্রথমে সবুজ দেখতে কলা আস্তে আস্তে পাকতে শুরু করলে হলুদ হয়ে যায়। এই হলুদ কলা কেই পাকা কলা হিসেবে ধরা হয়। তবে কেনার সময় মাথায় রাখতে হবে এই কলা তাজা কিনা। কলার সবথেকে বড় গুণ তার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান এবং পুষ্টিগুণ যা অত্যন্ত পরিমাণে ফাইবার যুক্ত হয়ে থাকে।
কলার মধ্যে কি চর্বি আছে?
ভাবতে একটু অবাক লাগলেও এতে প্রায় প্রচুর পরিমাণে জল এবং কার্বোহাইড্রেট থাকে। অনেকেই মনে করতে পারেন কলার মধ্যে চর্বি আছে কিনা? সেক্ষেত্রে আপনাকে জানিয়ে দিই যে কলায় চর্বি নেই তাই চিন্তার কোন কারণ নেই। রক্তের শর্করার মাত্রা কমে গেলে শরীরে নানা ধরনের সমস্যা হতে পারে।
আরো পড়ুন – সূর্যগ্রহণ বা চন্দ্রগ্রহণ নিয়ে কি আপনার মনেও কুসংস্কার আছে?
সেক্ষেত্রে ডাক্তারে আপনাকে বলবেন কলা খেতে। মনে রাখতে হবে এই ধরনের সমস্যার ক্ষেত্রে কিন্তু পাকা কলাই আপনাকে খেতে হবে কলা সবুজ থাকলে সেটা ক্ষতিকর। আসলে সবুজ, অপরিষ্কার কলার কার্বোহাইড্রেটগুলি বেশিরভাগই স্টার্চ এবং প্রতিরোধী স্টার্চের আকারে থাকে ।
এটা আসলে এক ধরনের অপাচ্য ফাইবার। কলা পাকলে স্বাদ মিষ্টি হয়ে যায় এবং এর ফাইবারের উপাদান কমে যায়। তখন সেটা খাওয়ার জন্য উপযোগী এবং প্রয়োজনীয় হয়ে ওঠে। হজম শক্তি বাড়াতে কলার ভূমিকা বেশ উল্লেখযোগ্য। একটি মাঝারি আকারের কলা প্রায় ৩ গ্রাম ফাইবার সরবরাহ করে থাকে।
আরো পড়ুন – ফুলন দেবী কে চেনেন? ডাকাত হিসেবে নাকি লোকসভার সদস্য হিসেবে? একই অঙ্গে এত রূপ!
কলায় ক্যালোরি কম থাকায় ওজন বাড়ার সম্ভাবনা কম। হার্ট ভাল রাখতে রক্তে পটাশিয়াম ঠিক থাকা দরকার। কিন্তু সঠিক পরিমাণে পটাশিয়াম বেশির ভাগ মানুষেরই থাকে না। আর পটাশিয়াম কমে গেলে কথা বার্তায় অসংলগ্নতা দেখা যায়। পটাসিয়াম সুস্থ কিডনি ফাংশন এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের জন্য অত্যাবশ্যক বলে মানা হয়।
আরো পড়ুন – ‘বাঘের দুধ’ পাওয়া যায়? সব ছেড়ে কেন বাঘের দুধ নিয়ে এত কথা? কখনো ভেবে দেখেছেন?
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুণের কথা তো বলা হয়েছে আগেই। তবে জানিয়ে রাখি কলাতে ম্যাগনেসিয়ামের মতো উপাদান রয়েছে যা আপনার ঘুম বাড়ায়। তাই সকালে খালি পেটে কলা খেলে ঘুম আসতে পারে। সেক্ষেত্রে অনেকে সকালে ব্রেকফাস্টে কলা খেতে না করা হয়। অন্ত্রের সমস্যা দেখা যায় অনেকেরই। তবে উপকারী গুণ এতটাই যে বাকি কিছু মনেই লাগবে না আপনার।