Breaking Bharat: বিবাহিত স্বামী-স্ত্রীর জীবনে ঝগড়া কি আবশ্যিক? কারনে অকারনে ঠোকাঠুকি লাগলেই কি ঝগড়া শুরু হয়? তবে যাই হোক না কেন মোদ্দা কথা হচ্ছে যেটা, সেটা হল যেকোনো সম্পর্কে ঝগড়া কতটা গুরুত্বপূর্ণ বা কেন হয়?
কথায় বলে যে কোনও সম্পর্কে হাসি, আনন্দ যতটা প্রয়োজন, কান্না আর দুঃখ ততটাই গুরুত্বপূর্ণ। মানে যে কোন রান্নায় যেমন নুন মিষ্টি দুটোই সমান ভূমিকা রাখে জীবনেও ঠিক একই কাণ্ড ঘটে।
আর এই কারণের জন্যই বা বলা যেতে পারে জীবনের একঘেয়েমি কাটাতেই, ঝগড়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটা দায়িত্ব নেয় প্রতি পরিবারে, প্রতি দাম্পত্য জীবনে। কিন্তু ঝগড়া কেন হয় বলুন তো আর আপনি কি মনে করেন ঝগড়া হওয়াটা বাধ্যতামূলক?
বিবাহিত স্বামী-স্ত্রীর জীবনে ঝগড়া কি আবশ্যিক?
মানুষের সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক নিয়ে যেকোনো প্রতিবেদন লেখা বেশ কঠিন। কারণ এগুলো ব্যক্তিবিশেষে আলাদা আলাদা হয়ে থাকে। একজন মানুষের পছন্দ-অপছন্দ তার জীবনের নানা ঘটনার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে থাকে। সুতরাং সার্বিকভাবে কোন সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়াটা একটু সমস্যার।
কোন দম্পতি বন্ধুত্বের মধ্যে দিয়েই নিজেদের সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যেতে চান। কেউ আবার আদর্শ স্বামী স্ত্রী হওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যান আজীবন। তবে যাই হোক না কেন মোদ্দা কথা হচ্ছে যেটা সেটা হল যেকোনো সম্পর্কে ঝগড়া কতটা গুরুত্বপূর্ণ বা কেন হয়? প্রথমে বরং দ্বিতীয় প্রশ্নটার উত্তর দেওয়া যাক।
স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হওয়া মনোমালিন্যের লক্ষণ:
অনেকেই মনে করেন স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হওয়া মনোমালিন্যের লক্ষণ। অর্থাৎ দুজনই যদি কোন একটা বিষয় নিয়ে সহমত পোষণ করতে না পারেন তবেই ঝগড়া। আর এই ক্ষেত্রে বড় ফ্যাক্টর হয়ে যায় চারপাশের চরিত্ররা। যদি দুটো মানুষের মধ্যে কর্মজগতের অনেকটা ফারাক থাকে তাহলে সুবিধা এবং অসুবিধার দুই হতে পারে। ধরুন একই সেক্টরে দুজন কাজ করছেন ।
সে ক্ষেত্রে একে অন্যকে ছাপিয়ে যাওয়ার প্রতিযোগিতা থেকে বাড়িতে অশান্তি হতেই পারে। আবার দুজনে দুটো আলাদা জগতের মানুষ তাই একে অন্যকে না বুঝতে পারার জন্য ঝগড়া অশান্তি সৃষ্টি হয়। তাহলে বুঝে দেখুন বিষয়টা কতটা জটিল। এখানেই শেষ নয় এর সঙ্গে আছে প্রাক্তন শব্দটার যোগাযোগ।
কারনে অকারনে ঠোকাঠুকি লাগলেই ঝগড়া শুরু:
যদি কোন কারনে স্বামী বা স্ত্রী তার অতীতের সম্পর্কের কথা জানতে পারেন তাহলে শুরু হয় সমস্যা। কারনে অকারনে ঠোকাঠুকি লাগলেই ঝগড়া শুরু। এই ক্ষেত্রে আবার ইন্ধন যোগাতে পারে শ্বশুর বাড়ির লোকজন। সেটা ছেলে এবং মেয়ে উভয়ের ক্ষেত্রেই হতে পারে।
কখনো কখনো দাম্পত্য ঝগড়া মেটাতে বন্ধু আত্মীয়রা এগিয়ে আসেন। আবার কখনো তাদের কারণেই ঝগড়া শুরু হয়। স্বামী এবং স্ত্রী অর্থাৎ পুরুষ এবং নারী দুজনের বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার অর্থ দুটো পরিবারের মধ্যে একটা বন্ধন তৈরি হওয়া। সেক্ষেত্রে দুটো পরিবারকে সম্মান করাটা দরকার।
আরো পড়ুন – Married: বিয়ে মানে কি? ঠিক কী কারনে বিয়ে করে নারী পুরুষ?
মেয়ের বাপের বাড়ির লোককে যদি তার স্বামী বা শ্বশুরবাড়ি সম্মান না করে তাহলে সেক্ষেত্রে ঝগড়া হতে বাধ্য। আবার উল্টোটাও হয়, যদি ছেলের বাপের বাড়ির লোককে মেয়ে বা তার বাড়ির লোক যোগ্য সম্মান না দেয়। এই সব থেকেই প্রাথমিকভাবে তৈরি হওয়া মনোমালিন্য কথা কাটাকাটি বড় ঝগড়া হয়ে দাঁড়ায়।
আরো পড়ুন – বিবাহিত দম্পতিরা প্রথম সন্তান নিয়ে এত ভাবেন কেন? সন্তান নিতে সমস্যা কোথায়?
এইবার প্রথম প্রশ্নটার দিকে তাকানো যাক যে এই ঝগড়া কতটা দরকারি? দেখুন এটা নির্ভর করে সম্পর্ক কতটা গভীর তার ওপর। ভালোবাসা, আনন্দ, দামি দামি জামা কাপড়, গয়নাগাটি, খাওয়া দাওয়া এগুলো একটা সময় পর একঘেয়ে হয়েই যায়। গল্পে কিছু টুইস্টের প্রয়োজন হয়।
আরো পড়ুন – পোকামাকড় রেঁধে খান কারা? কীটপতঙ্গ বা পোকামাকড় খাদ্য হিসাবে ব্যবহার করা হয় জানেন?
আসলে অন্ধকার না এলে আলো কতটা প্রয়োজনীয় সেটা যেমন বোঝা যায় না, তেমনি খারাপ স্মৃতি জীবনের সঙ্গে যুক্ত না হলে ভালো স্মৃতিদের গুরুত্ব বাড়ে না। তবে সেটা যদি বাড়াবাড়ির পর্যায়ে চলে যায় তাহলে অবশ্যই চিন্তা ভাবনা করার প্রয়োজন আছে।
আরো পড়ুন – আমির খান কেন বলিউডের পুরস্কার মঞ্চে থাকেন না? পুরস্কার গ্রহণে তার এত অনীহা কেন?
ওই যে কথায় বলে না বিয়ের ব্যাপারটাই নিম ফুলের মধুর মত। তিক্ততার স্বাদ হজম করতে পারলে, তবেই না জীবন আর সম্পর্কগুলো মিষ্টি হয়ে উঠবে। অবশ্য আপনার মতামত একান্তই ব্যক্তিগত,জানার আগ্রহর বটে।