Breaking Bharat: জীবন মানেই মহা শূন্যতা, শূন্যতেই সব শেষ? জীবনটা একটা অঙ্কের মত, যার যোগফল শূন্য (Use Zero)। মানে যাই হোক না কেন, সারা জীবন ছটফট করে সাফল্যের শিখরে পৌঁছে গিয়েও জীবনের হিসেব কিছুতেই মেলে না। আর না মিললেই সব শূন্য।
কিন্তু এই সংখ্যাটার মধ্যে কি শুধুই হতাশা? সত্যি কি শূন্য কিছুই নয়? আসলে শূন্য ঠিক শূন্য নয়। বলা ভালো অস্তিত্বহীন নয়। কারণ জীবনের সব কিছুই এই শূন্য থেকে শুরু আর শূন্যে গিয়ে শেষ। এই যে আমরা কম্পিউটার বা স্মার্টফোন ব্যবহার করি সেটি সম্ভব হয়েছে শূন্য (০) এবং এক(১) এর জন্য অর্থাৎ বাইনারি নাম্বার সিস্টেমের সূত্র অনুযায়ী।
শূন্য যদি সত্যিই অস্তিত্বহীন হতো তাহলে বাইনারি নাম্বার সিস্টেম থাকতো না। বলা ভালো, আধুনিক ইলেক্ট্রনিক্সের অস্তিত্বই থাকতো না। কোনো কিছুর অনুপস্থিতি বোঝাতে আমরা শূন্য ব্যবহার করি (We use zero)। কিন্তু এই অনুপস্থিতি বা অবর্তমান নিজেই এমন একটি ব্যাপার যেটির অস্তিত্ব আছে।
আরো পড়ুন- People: মানুষ সোজা পথে চলতে চায় না, আর বাকা পথে সবারই আগ্রহ বেশি! কারণ কি জানেন?
সংখ্যাতত্ত্বে শূন্য এখনও একটি বিশাল রহস্য। এটিকে নিয়ে আবিষ্কারের জন্য নানা চিন্তা ভাবনা চলছে। আপাতদৃষ্টিতে অস্তিত্বহীন এই সংখ্যাটি নিজসত্ত্বায় যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ও প্রভাবশালী। কিন্তু কতটা প্রভাব তা জানতে দরকার আরও অঙ্ক কষা।
আরো পড়ুন- Titanic : টাইটানিককে বাঁচানো যেত কি? কাছের তিন জাহাজ কেন বাঁচালো না টাইটানিককে?
এই যে সুবিশাল মহাশূন্য মহাকাশ (empty space), সে কি সত্যি শূন্য নাকি , না তো। সত্যিই কি সেটি অস্তিত্বহীন? না তাও নয়। বরং বলা যেতে পারে মহাকাশের মধ্যে রয়েছে অসংখ্য মহাজগৎ। অস্তিত্বহীনতা হল শূন্যের একটি কল্পিত প্রতিরূপ মাত্র। এই শূন্য হল এমন একটি অঙ্ক যেটির অস্তিত্ব সংখ্যাতত্ত্বে অসম্ভব গুরুত্বপূর্ণ।
আরো পড়ুন- বাড়ছে গ্লোবাল ওয়ার্মিং! গাছ আটকাবে পরিবেশ দূষণ? কিন্তু কোন গাছ আটকাবে পরিবেশ দূষণ?
এটি এককভাবে মানের অস্তিত্বহীনতা, অন্যান্য সংখ্যার পিছনে বসে তাদের মানগত পরিচয় প্রদান, দশমিকের ডানপাশে বসে বিভিন্ন সংখ্যার দশমাংশ প্রকাশ করে। তাহলে শূন্য কি সত্যিই শূন্য? একটু ভেবে দেখুন না , রহস্য ভেদ করা যায় কিনা? মনে রাখবেন অবশ্যরূপেই শূন্য আসলে শূন্য নয় (Zero is not actually zero)।