Breaking Bharat: বলুন দেখি! আরে যে প্রশ্ন শুরুতেই করলাম জানা আছে উত্তর? অন্ধকার হলে সবার আগে যে বস্তুটিকে মনে পরে তাকে নিয়েই হচ্ছে কথা। ঠিক ধরেছেন,মোমবাতি। জ্বলে বটে কিন্তু কাউকে জ্বালাতন করে না। মানে যতক্ষণ জ্বলে কোনও ধোঁয়া হয় না। কিন্তু মোমবাতি নিভিয়ে দেওয়া হলে সঙ্গে সঙ্গে কিছু সময়ের জন্য প্রচুর ধোঁয়া দেখা যায়। এমনটা হয় কেন?
আপনাকে জানতে হবে মোমবাতি কীভাবে জ্বলে?
খুব বাচ্চা বাচ্চা প্রশ্ন মনে হল? আরে দিল তো বাচ্চা হ্যায় জি! ছোট বেলায় শেখা জিনিসগুলো একটু রিভিশন করে নেওয়া যাক তাহলে।জানেন তো, একটা মোমবাতির দু’টো অংশ- মোম আর সুতো। সুতোটা জ্বলে কারণ সেখানেই আগুন দেওয়া হয়, কিন্তু আসল কাজ মোমের।
মোমবাতির ক্ষেত্রে জ্বালানী হল মোম। আসলে যখন সলতেতে আগুন ধরানো হয়, তখন সেই আগুনের প্রভাবে চারপাশে তাপের সৃষ্টি হয়। সেই তাপের প্রভাবে ঠিক যেখানে আগুন জ্বলে তার নীচের অংশে মোম বাষ্পীভূত হয় এবং তার ভর অপেক্ষাকৃত অনেক হালকা হয়। তাই সহজেই তা উপরে উঠে আগুনের দিকে যায়।
এর ফলে আগুন ইন্ধন পায়।এইভাবেই মোমের জ্বালানীতে মোমবাতি জ্বলে।মনে রাখতে হবে তেলের প্রদীপ বা কেরোসিনে আগুন জ্বালানোর ক্ষেত্রে তরল পদার্থ আছে সাহায্য করার জন্য। কিন্তু মোমবাতিতে, কঠিন পদার্থ অর্থাৎ মোম প্রথমে বাষ্পে পরিণত হয়, তারপর তা জ্বলে।
এ না হয় গেল মোমবাতি জ্বলার কথা। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে নেভার পর ধোঁয়া কেন? ধুপ তো জ্বলার সময় ধোঁয়া নিঃসরণ করে। মোমবাতি পরে কেন? এবার সেই উত্তর দেওয়া যাক। আসলে, যতক্ষণ মোমবাতি জ্বলছিল, ততক্ষণ তাপের সরবরাহ ছিল, এবং আগুনের ঠিক নীচে থাকা মোম বাষ্পীভূত হচ্ছিল অনবরত।
আরো পড়ুন- মাত্র ৯০ টাকায় বাড়ি কিনতে চান? ১০০ টাকার কম দামে গোটা বাড়ির মালিকানা!
কিন্তু মোমবাতি হঠাৎ নিভিয়ে দেওয়া হলেও, উৎপন্ন তাপ দ্রুত রূপান্তরিত হতে পারেনা। কিছুটা সময় পর্যন্ত এই তাপ থেকে যায়। যেখানে আগুন জ্বলছিলো, সেই তাপের প্রভাবে, সেইখানের ঠিক নীচের মোম বাষ্পীভূত হয়ে উপরে উঠে যায়, কিন্তু যেহেতু কোনো আগুন জ্বলছে না, তাই এই মোমের বাষ্প জ্বলতে পারেনা,তখন ধোঁয়া দেখতে পাই আমরা। আসলে মোমবাতি নেভার পর বাষ্পকেই আমরা দেখতে পাই ধোঁয়ার আকারে।
আরো পড়ুন- বিশ্বের এই জায়গায় সবচেয়ে বেশি ‘সোনা’ পাওয়া যায়! জানেন তার পরিমাণ কত?
তাহলে এবার সবটা পরিষ্কার হয়ে গেল তো। দেখুন গল্পের ছলে পদার্থবিদ্যার সিলেবাস হালকা করে ঝালিয়ে নেওয়া গেল, তাই না?