Breaking Bharat: আপনার কি খুব রাগ হয় ? অল্পেতে ভীষণ রেগে যান? এতে কিন্তু অচিরেই অসুস্থ হতে পারেন আপনি,সে খেয়াল আছে? তাই প্রথমেই বলব যাই হয়ে যাক না কেন রাগ করবেন না. রাগ করলে লাভ কিছুই হয়না আখেরে ক্ষতিই হয়। তবে অনেক সময় এমন হয় যে পরিস্থিতির জেরে মাথা গরম না করে উপায় থাকে না। সে ক্ষেত্রে কি করবেন আপনি? আজ সেই উত্তরই দেব আপনাকে।
কান্না হাসি এগুলোর মতোই রাগ মানুষের এক স্বাভাবিক প্রবৃত্তি (Anger is a natural human instinct)। সময় ও বিষয় বিশেষে একেক জনের একেক রকম হয়। এক্ষেত্রে এই অনুভূতির সঙ্গে অ্যাড্রিনালিন হরমোন জড়িয়ে আছে। অনেকে চট করে রেগে যান (Many people get angry quickly), এই ধরনের রাগ খুব বেশিক্ষণ থাকে না। অনেকের সহ্যশক্তি একটু বেশি, তাদের ক্ষেত্রে রাগ হতে সময় নেয় বটে। কিন্তু একবার কারও উপর রাগ করলে চট করে তা কমেনা। এটা কিন্তু বেশ বিপদজনক।
গরম ওয়েদারে দয়া করে মাথা গরম করবেন না
তাই আজ বলব এমন কিছু উপায় এর কথা যা জানলে হয়তো আপনার রাগ করার সময় কিছুটা হলেও লাভ হবে ।
আরো পড়ুন- এই দেশে কোনদিন সাপ দেখা যায়নি,আজ নেই! কিন্তু এটা কী করে সম্ভব?
আরো পড়ুন- Surrogacy: সারোগেসি কী? এই পদ্ধতিতে কীভাবে সন্তান ধারণ সম্ভব?
আরো পড়ুন- Smart Phone: মোবাইল ফোন কোথায় বেশি নিরাপদ ও স্বাস্থ্য ঝুঁকি কম হয়? পকেটে নাকি হাতে?
- যখন খুব রাগ হয়, তখন শরীরের কোন একটি অংশকে জোরে চেপে ধরে থাকুন। মানে ধরুন কোনো মাংসপেশিকে এতটাই জোরে দিয়ে চেপে রইলেন যতক্ষণ না পর্যন্ত তাতে ব্যথা হয়ে যায়। খুব ব্যথা লাগছে’ কি এবার আস্তে আস্তে ছেড়ে দিন। দেখবেন ব্যথার দিকে মন চলে গেছে, অ্যাড্রিনালিন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে, কমেছে রাগ।
- অনেকে আবার খুব রেগে গেলে জোরে জোরে শ্বাস নিতে থাকেন (start breathing loudly)। এটা ভালো ব্যাপার। শ্বাস নিঃশ্বাস নেওয়া ছাড়ার মধ্যে রাগ অনেকটা প্রশমিত হয়। পাশাপাশি টেনশন বা নার্ভাসনেস থাকলে সেটাও অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আসে এই প্রক্রিয়া অনুসরণ করলে।
- আরও মজার উপায় অবশ্য আছে রাগ কমানোর। যেমন ধরুন যার উপর রাগ হয়েছে, সেই বিষয়টা কাছের মানুষকে গড়গড় করে বলে দিন। এতে নিজেকে অনেকটা হালকা লাগবে আপনার। আর যে মানুষটিকে এই কথাগুলি বলছেন তিনি যদি হন রসিক প্রকৃতির তাহলে তো তার রিঅ্যাকশন দেখে আপনি নিজেই হেসে উঠবেন। মনে হবে, হায়রে! কি বোকা আমি।
- আসলে কি বলুন তো রাগ ব্যাপারটা খুব সাময়িক (Anger is very temporary)। এই অনুভূতি কখনোই বেশিক্ষণ থাকতে পারেনা। সে ক্ষেত্রে অভিমানটা থেকে যায় তারও বেশি সময়। তাই রাগ করে লাভ নেই যদি সত্যিই কিছু বোঝাতে হয় প্রিয় মানুষকে, অভিমান করতে পারেন। কারণ মান ভঞ্জন বড়ই রোমান্টিক