Breaking Bharat: বিশ্বের অন্যতম জনবহুল দেশ হল চিন। সে দেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার একদা এতটাই ছিল যে ১৯৮০ সালে সে দেশের সরকার একপ্রকার বাধ্য হয়ে চালু করে এক সন্তান নীতি। চিনের এক সন্তান নীতির ফলে লিঙ্গ অনুপাতের পরিবর্তন হয়েছে। জনসংখ্যা বৈষম্যের মুখে পড়েছে। এক সন্তান নীতির ফলে গর্ভপাতের সংখ্যাও বেড়ে গিয়েছিল সেখানে। অন্যদিকে বয়স্ক জনসংখ্যার অনুপাত বৃদ্ধি পেয়েছে।
একসন্তান নীতি থেকে এক্কেবারে উলটপুরান? তৃতীয় সন্তানের জন্ম দিলেই দুর্দান্ত অফার! আবার সাড়ে ১১ লক্ষ টাকা বোনাসও! মিলবে ১ বছরের ছুটি? শুধু তিনসন্তান নীতিই নয়।। কিন্তু কেন এই পদক্ষেপ?
চিনের এক সন্তান নীতির সমাপ্তি হয় ২০১৬ সালে। এরপর ৪০ বছরের বেশি সময় পরে ২০২১-এর মে মাসে তিন সন্তান নীতি ঘোষণা করে চিন সরকার (the Chinese government announced a three-child policy)। ২০২০ সালের আদমশুমারির পরেই নাগরিকদের জন্য তিন সন্তানের নীতির অনুমতি দেওয়া হয়।
২০১৯ সালে সেখানে ১.৪৬৫ কোটি শিশুর জন্ম হলেও ২০২০ সালে চিনে ১.২ কোটি শিশুর জন্ম হয়েছিল। গত বছর মে মাসে চিনে তিন সন্তান নীতিতে অনুমোদন দিয়েছে সেখানকার কমিউনিস্ট সরকার। এবার নাগরিকদের আরও সন্তান নিতে উৎসাহিত করতে বেসরকারিভাবে নানান উদ্যোগ শুরু হয়েছে সে দেশে। (Great offer when you give birth to your third child)
জানা যাচ্ছে বেইজিং-এর ডাবেইনং টেকনোলজি গ্রুপ তৃতীয় সন্তান (birth your third child) নেওয়ার জন্য ৯০ হাজার ইয়ান দেওয়ার ঘোষণা করেছে। যা ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ১১.৫০ লক্ষ টাকা। নগদ টাকা ছাড়াও এই সংস্থা মহিলা কর্মীদের ১ বছরের ছুটি এবং পুরুষ কর্মীদের নয় মাসের ছুটি দিচ্ছে।
দীঘায় ঘুরতে গিয়ে নিয়ম না মানলে,পাওয়া যাবেনা হোটেল! কেন এই নিয়ম জারি হয়েছে দিঘায়?
অন্যদিকে যেসব কর্মীরা প্রথম সন্তান নিচ্ছেন তাঁদের জন্য ৩০ হাজার ইয়ান(যা ভারতীয় মুদ্রায় ৩.৫০ লক্ষ টাকা) এবং দ্বিতীয় সন্তানের জন্য ৬০ হাজার ইউয়ান অর্থাৎ প্রায় ৭ লক্ষ টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে এই সংস্থা। এ ছাড়াও সরকারের পক্ষ থেকে দম্পতিদের শিশু ঋণ দেওয়ার কাজও শুরু হয়েছে। বিবাহিত দম্পতিদের ২০০০০০ ইউয়ান যা ভারতীয় মুদ্রায় ২৩.৫ লক্ষ টাকা ঋণ দেওয়ার প্রকল্প চালু রয়েছে চিনে।