Breaking Bharat: আপনি কি জানেন যেকোনো মুহূর্তে আপনার ফোন চুরি হয়ে যেতে পারে? মানে এই শহরে প্রতি ৬ মিনিটে একটা করে ফোন চুরি হচ্ছে। বলতেই পারেন যে বিখ্যাত এই শহরে হইচই ফেলে দিয়েছে চোরেরা। নিশ্চয় জানতে ইচ্ছে করছে যে আমরা কোন শহরের কথা বলছি? তাহলে আপনাদের জানিয়ে দিতে চাই এই কাণ্ড হচ্ছে বড় শহর লন্ডনে।
এখনকার দিনে স্মার্ট ফোন ছাড়া মানুষ এক মুহূর্ত থাকতে পারেন না। কিন্তু সেই ফোন প্রতিমুহূর্তে চুরি হয়ে যাচ্ছে বলে রীতিমতো আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। আপনি হয়তো জানেন না কিন্তু চোরেদের নজর যে আপনার ফোনের দিকে রয়েছে। তাই আগে থেকে সতর্ক হতে গেলে সব ধরণের খবরে আপডেট থাকতে হবে আর জানতে হবে কোন শহরে এমন ঘটনা ঘটছে।
ফোন চুরি হওয়া মানে কতটা টেনশন!
ফোন শুধু বিলাসিতা এই কথা আজকের যুগে দাঁড়িয়ে কেউ বলবে বলে অন্তত আমাদের মনে হয় না। কারণ প্রত্যেকের জীবনের সঙ্গে মোবাইল, কাজের সঙ্গে মোবাইল, প্রেমের সঙ্গে মোবাইল সব একেবারে মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছে। দেখবেন এখন কেউ আর সস্তার মোবাইল কেনেন না। কারণ র্যাম ঠিক না হলে, স্পেস না থাকলে সেই ফোন কাজে আসে না।
তাই বহুমূল্য ফোন যদি চুরি হয়ে যায় তাহলে মন খারাপ হয় বটে। সঙ্গে লোকসান আর কাজের ক্ষতি দুটোই একসঙ্গে হয়। আর ভাবতে পারছেন ৬ মিনিটে একটি করে ফোন চুরি হওয়া মানে কতটা টেনশন ! তবে ঠিক এমনটাই হয়েছে লন্ডনবাসীদের সঙ্গে, সংবাদ সংস্থাগুলির প্রতিবেদন অনুযায়ী এটা সত্যি এক উদ্বেগজনক পরিসংখ্যান । এই তথ্য দিয়েছে শহরের মেট্রোপলিটন পুলিশ।
আরো পড়ুন – আজ থেকে প্রায় চার হাজার বছর পরে কেমন হবে এ বিশ্বের অবস্থা, জানেন?
গোটা শহরে ৯০৮৬৪টি ফোন চুরি হয়েছে বলে মামলা হয়েছে। মানে প্রতিদিন ২৫০টি করে স্মার্টফোন চুরি হয় লন্ডনে। মানে শহরে মোট যে চুরি হয় তার ৭০ % মোবাইল সংক্রান্ত। মেট্রোপলিটন পুলিশের চিফ মার্ক রাউলি বলেন, চুরি যাওয়া ফোনগুলি পুনরায় নতুন ইউজারের নামে নথিভুক্ত করা হচ্ছে। মানে বোঝাই যাচ্ছে যে এর পিছনে একটি বড় কালো বাজারি চক্র রয়েছে।
আরো পড়ুন – ১২ লক্ষ টাকা খরচ করে মানুষ থেকে কুকুর হয়েছিলেন, কিন্তু এখন পস্তাচ্ছেন কেন?
কারণ অপরাধীদের কাছে চুরি করা ফোনগুলি পুনরায় সেট করে বিক্রি করা বেশ সহজ এবং অবশ্যই লাভজনকও। চিন্তায় শহরবাসী। কড়া হচ্ছে প্রশাসন। সেই কারণেই কিছু স্মার্টফোন নির্মাতা যেমন স্যামসাং, অ্যাপেলের মতো সংস্থাগুলিকে অপরাধীদের বিরুদ্ধে সক্রিয়ভাবে লড়াই করার জন্য আহবান জানানো হয়েছে। যাদের বয়স ১৪ থেকে ২০-এর মধ্যে তাঁদের ফোন সবথেকে বেশি চুরি হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
আরো পড়ুন – কেন আতঙ্কের নাম র্যাগিং? ব়্যাগিংয়ের নামে আর কত নিচে নামবে রাজ্য কথা দেশ?
উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার আর মানুষের সচেতনতা ছাড়া এই চুরি আটকানো প্রায় অসম্ভব। বেশ কিছু স্মার্টফোন ফাইন্ড মাই ডিভাইস যেমন অ্যাপেল এয়ারট্যাগ থাকলেও তা মোটেই যথেষ্ট নয় বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এই ফোন চুরি রুখতে অতিরিক্ত ডিভাইস আনা বা নতুন সিস্টেম যোগ করা মানে ইউজারের কাছে জটিলতা বাড়বে। তাই আপাতত সতর্কতা অবলম্বন করতেই হবে বলছে প্রশাসন।