work at night : অফিসের নাইট ডিউটি ! অফিসের রোস্টার কি নাইট শিডিউল দিয়েছে আপনাকে? দিনের পর দিন রাত জেগে কাজ করলে সুস্থ থাকবেন কী করে ?
যত সময় যাচ্ছে তত আমরা আধুনিক হচ্ছি। এর ফলে কাজের পরিধি বাড়ছে, সঙ্গে টেনশন। এই অবস্থায় নিজেকে মেন্টালি এবং ফিজিক্যালি ফিট রাখা বড়ই চাপের। আর দিনের পর দিন যদি রাত্রে কাজ করার প্রবণতা বাড়ে তাহলে তো আপনার জন্য ভয়ঙ্কর বিপদ সামনে অপেক্ষা করছে।
শিফট ওয়ার্ক স্লিপ ডিস অর্ডার – শব্দটার সঙ্গে আপনার পরিচিতি আছে কি? অনেকেই হয়তো এই রোগের শিকার কিন্তু ঠিক কী কারণে এই রোগ হয় বা এই রোগের নাম সঠিক ভাবে জানেন না। আমরা বেশ কিছু ঘটনার কথা বলছি দেখুন তো এর মধ্যে একটাও আপনার সঙ্গে মিলে যাচ্ছে কিনা।
বারবার রাত্রে কাজ করার জন্য ঘুম নষ্ট:
যেমন ধরুন ঘুম কমে যাওয়া, হঠাৎ হঠাৎ বিরক্তি তৈরি হওয়া, চুল পড়া, মনোযোগ না দিতে পারা – এই সব কিছুই কিন্তু উল্লেখিত রোগের লক্ষণ। আপনি হয়তো এর শিকার কিন্তু গভীরভাবে বিষয়টা জানেন না। যদি বারবার ‘রাত্রে কাজ করার জন্য ঘুম নষ্ট’ (Loss of sleep to work at night) করতে হয় তাহলে কিন্তু একটা নির্দিষ্ট রুটিন বানিয়ে ফেলতে হবে আপনাকে যাতে শরীর ঠিক রাখা যায়।
মাথায় রাখুন প্রকৃতির নিয়ম সকালে জেগে থাকা আর রাতে ঘুমোনো। কিন্তু আপনার যদি ‘নাইট শিফট’ করেন তাহলে কিন্তু আপনি একদম উল্টো কাজটা করছেন আর সেটাও দিনের পর দিন করে চলেছেন। এক্ষেত্রে নির্দিষ্ট রুটিন করে ঘুমের একটা সময় আপনাকে বের করে নিতেই হবে।
মনে করে দিনের বেলায় একটানা অন্তত ৬ ঘন্টা ঘুমানোর অভ্যাস করে নিন। ঘুমোনোর সময় ঘর অন্ধকার করবেন আর যেন সেখানে কোন আওয়াজ না হয় সেদিকে খেয়াল রাখবেন। অর্থাৎ একটানা নিশ্চিন্ত ঘুম দরকার কোন রকমের বিঘ্ন ছাড়া।
রাত জেগে কাজ করতে করতে খিদে পেয়ে গেলে?
রাতে যেদিন কাজ থাকবে সেদিন তাড়াতাড়ি ডিনার করুন আর অল্প কিছু খাবার সঙ্গে রাখুন। যাতে রাত জেগে কাজ করতে করতে খিদে পেয়ে গেলে কোনও সমস্যা না হয়। অত্যাধিক স্ট্রেস নেবেন না নিজেকে চাপমুক্ত রাখতে গান শুনুন বা বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে গল্প করুন।
আরো পড়ুন – Dust allergy : রাস্তায় বেরোলে মাস্ক পড়তে হয়? ডাস্ট এলার্জির সমস্যা না তো? কী ভাবে মিলবে মুক্তি?
যদি সেরকম অবকাশ হয় তাহলে কাজের ফাঁকে হালকা মিউজিক চালিয়ে নিতে পারেন। এতে আপনি অনেক তরতাজা এবং ফুরফুরে থাকতে পারবেন। মাঝে মাঝে ব্রেক নেওয়া দরকার একটানা কাজ করবেন না। মাথায় রাখবেন ব্রেক নিতে গিয়ে যদি হালকা একটু ঘুমোবার চিন্তা করেন তাহলে কিন্তু সেটা আবার কাজের ক্ষেত্রে বিপদ হতে পারে।
আরো পড়ুন – work pressure : কাজের চাপ আর টেনশন নিয়ে জেরবার? মুশকিল আসান এক মুহূর্তেই!
কারণ রাত্রিবেলা দেহ যদি একটুখানিও অলসতা পায়, তাহলে সে অবশ্যই প্রকৃতির নিয়ম মেনে ঘুমিয়ে পড়বে। সেটা আশা করি আপনার কাজের জন্য বাঞ্ছনীয় হবে না। তাই মাঝে মাঝে ব্রেক নিন গান শুনুন বা হাঁটাচলা করুন তারপর আবার কাজে বসুন।
যদি রাতের পর রাত কাজ করতে হয় (Night duty):
দিনের পর দিন কাজ করা এক জিনিস আর দিনের পর দিন যদি ‘রাতের পর রাত কাজ’ করতে হয়, তাহলে সমস্যা মারাত্মক বেড়ে যায়। যখন বিরতি নেবেন তখন চোখ হালকা বন্ধ রাখতেও পারেন ল্যাপটপের স্ক্রিন টা অফ করে দিন।
মনে রাখবেন স্নায়ুতন্ত্রকে বিশ্রাম দেওয়া প্রয়োজন আর সেটা না করতে পারলে শুধু যে শারীরিক ক্ষতি তা নয় মানসিকভাবেও আপনি দুর্বল হয়ে যাবেন।
আরো পড়ুন – জন্ম দাগ নিয়ে চিন্তায় আছেন? শরীরের অযাচিত জায়গায় তিল? এবার হাতেই রয়েছে সমাধান
সবশেষে একটা কথা বলি এত যে কাজকর্ম করবেন সেই সবকিছুর উদ্দেশ্য তো একটাই যাতে পরিবার পরিজন সকলে ভালো থাকতে পারেন। কিন্তু এটা করতে গিয়ে আপনি যদি খারাপ থাকেন তাহলে সবটাই বিগড়ে যাবে।
আরো পড়ুন – Mosquitoes : বাড়ির চারপাশে মশাদের উৎপাত? ‘মশার উপদ্রব’ থেকে বাঁচতে অবশ্যই এই ব্যবস্থা নিন
একটু চেষ্টা করুন নিজের মতো করে রুটিন সাজিয়ে নিতে আর সেটা প্রতিদিন নিয়ম করে মেনে চলতে। একটু এদিক থেকে ওদিক হলে কিন্তু আবার সবটা গন্ডগোল হয়ে যাবে। কাজ করুন কিন্তু আনন্দে, বিরক্তিতে নয়।