Breaking Bharat: সুমো পালোয়ানদের চেনেন নিশ্চয়ই? কী খায় বলুন তো তারা যে এভাবেই শরীর বজায় রাখতে পারেন? সেই সুমো কুস্তিগীরদের নিশ্চয়ই দেখেছেন, কিন্তু এদের ওজন মোটামুটি কত হতে পারে?
প্রথমেই বলে রাখা দরকার খাওয়া-দাওয়া টা যে যার ব্যক্তিগত এবং নিজস্ব ব্যাপার। এই ব্যাপারে কারোর হস্তক্ষেপ কখনোই কাঙ্খিত নয়। আপনি কি জানেন বহু মানুষ পৃথিবীতে আছেন যারা খাওয়ার জন্য বাঁচেন। অনেকে আবার বাঁচার জন্য খান। কিন্তু সেটা বড় কথা নয় আসল ব্যাপারটা হলেও আমরা যাদের কথা বলছি তারা কী খান এটা গোটা বিশ্ব জানতে চায়। নাম হলো ‘সুমো পালোয়ান‘ (Sumo palawan philippines)।
জাপানের জাতীয় খেলা হচ্ছে সুমো কুস্তি। আজ নয় প্রায় দু তিন হাজার বছর ধরেই এই খেলার প্রচলন রয়েছে। এই খেলায় যারা লড়াই করেন সেই সুমো কুস্তিগীরদের নিশ্চয়ই দেখেছেন, কিন্তু এদের ওজন মোটামুটি কত হতে পারে বলে আপনার মনে হয়?
সুমো পালোয়ানদের ওজন কত?
যেখানে এক থেকে দেড় কেজি ওজন বাড়লে আজকালকার ছেলেরা জিমে গিয়ে নিজেকে ফিট আর ফাইন করতে এক্সট্রা টাইম আর টাকা খরচ করে, সেখানে এই পালোয়ানদের একেকজনের ওজন গড়ে ২৫০ কিলোগ্রাম থেকে ৪০০ কিলোগ্রামের কাছাকাছি (Wrestling sumo palawan)।
লড়াই করে বাঁচতে হয় আসলে এটাই তাদের পেশা তাই খাওয়া দাওয়ার ক্ষেত্রে সঠিক নিয়ম মানাটা দরকার। সুমো পালোয়ান হতে গেলে কিন্তু শৃঙ্খলা বদ্ধ হতেই হবে আপনাকে। সাধারণ মানুষের থেকে প্রায় ১০ গুন বেশি খাবার খান এই পালোয়ানরা। তবে রুটিন মাফিক। যেমন ধরুন ব্রেকফাস্ট বা প্রাতরাশ বলতে যা বোঝায় সেটা কখনোই সুমো পালোয়ানরা করেন না।
আরো পড়ুন – লেখাপড়া করা আর জ্ঞানী হওয়া দুটোই কি এক? জ্ঞানী হওয়া বোধহয় সকলের দ্বারা সম্ভব হয় না।
তারা সকালে উঠেই প্র্যাকটিস করতে শুরু করেন যার জেরে হজম শক্তি বেড়ে যায়। দুপুরের খাবারটা কিন্তু সেরা হতে হবে আর তার জন্য শুভ পালোয়ানদের বিশেষ পছন্দ হলো চাঙ্কো নাবে। প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরেই এই খাবারই পছন্দ করে চলেছেন তারা। এটা আসলে একটা বিশেষ ধরনের স্টু, যার মধ্যে মাছ ,সবজি, কেক, মাংস, টোফু সবটাই থাকে। নাবে শব্দের অর্থ পাত্র ।
২০ হাজার ক্যালরি প্রয়োজন হয় সুমো পালোয়নদের?
চাঙ্কো নাবে-তে যে মোচি ব্যবহার করা হয় তাতে মোটামুটি এক বাটি ভাতের ক্যালরি থাকে। জানা যায় সুমো কুস্তিগীররা মোটামুটি ৬-৭ টি মোচি এক বাটি চাঙ্কো নাবে-তে দিয়েই থাকেন। আপনি হয়তো জানেন না যে প্রত্যেকদিন মোটামুটি ২০ হাজার ক্যালরি প্রয়োজন হয় সুমো পালোয়নদের। ভাবতে পারছেন?
আরো পড়ুন – কারো সামনে ভনভন করছে? মশার কামড়ে অতিষ্ঠ? সঙ্গে মশা আপনার সব রক্ত খেয়ে নিতে পারে?
আর একজন সাধারণ পুরুষের মাত্র দু হাজার ক্যালোরি দরকার হয়। দুপুরের খাবারের পর পাছা বোতল বিয়ারও খান এই পালোয়ানরা তারপর টেনে ঘুম। মোটামুটি চার-পাঁচ ঘণ্টা ঘুম তো বটেই। ট্রেনিং পিরিয়ডে কিন্তু নিজেদের খাবার নিজেদেরই বানাতে হয় তাতে কোন খাবারে কতটা ক্যালরি কোন উপাদান দিলে সমস্যা হতে পারে এই বিষয়ে একটা বেসিক আইডিয়া তৈরি হয়ে যায়।
আরো পড়ুন – সম্পর্ক নষ্ট করার ক্ষেত্রে একটা ইগো যথেষ্ট, তাই নয় কি? ইগো আসলে একটা অহংকার বোধ!
সাধারণ মানুষ এত কিছু না বুঝলেও জাপানের কিছু নির্দিষ্ট রেস্তরাঁয় পর্যটকদের জন্যও এই খাবারের ব্যবস্থা রয়েছে। রাতের দিকে ই বরফ চিকেন বা বিফ তো থাকছে ভারি খাবারই ডিনারের মেনুতে রাখা হয়।
এতটা খাবার বা এই ধরনের খাবার হজম করার জন্য গাইড পরিশ্রমের প্রয়োজন হয় আর সেটা অবশ্যই তাদের অনুশীলনের মাধ্যমে হয়ে যায়। ১৫-১৬ বছর বয়স থেকেই প্রশিক্ষণ নিতে শুরু করতে হয় সুমো পালোয়ান হওয়ার জন্য। ভেবে দেখছেন নাকি একবার এই রুটিন ফলো করা যায় কিনা? ডিসিশন আপনার!