Breaking Bharat: অফিস মানে কাজ, বাড়ি মানে বিশ্রাম। কিন্তু বাড়ি থেকে কাজ? করোনার কারণে আবিষ্কৃত এই নয়া পদ্ধতির ভালো খারাপ দিক কী কী? (work from home jobs)
করোনার কারণে জীবনযাত্রা পাল্টেছে অনেকটাই। নর্মাল জীবন বলতে যা জানতাম আমরা নিউ নরমালে সে সবকিছু অনেক নতুন নতুন সমীকরণ তৈরি হয়েছে। জীবনে কিছু শব্দের অনুপ্রবেশ ঘটেছে। এই যেমন আইসোলেশন বা নিভৃতবাস, শব্দটা বইয়ের পাতায় ছিল হঠাৎ করে জীবনের খাতায় নিজের জায়গা করে নিল।
তেমনি কাজ সচল রাখতে বাড়িতে বসে কাজ করার একটা নতুন নাম তৈরি হলো – work from home যার বাংলা মানে করলে দাঁড়ায় বাড়ি থেকে কাজ। অনেকেই ভাবলেন এতো ভারি রঙ্গ! বাড়ি বসে কাজ মানে আরাম আর আরাম (working at home)। বাস্তব ছবিটা হলো ঠিক তার উল্টো। বাড়ি থেকে কাজ মানে চাপ আর চাপ। সমীক্ষা কী বলছে আজ তাই নিয়ে কথা (job can I do from home)।
যারা ফ্রিল্যান্সার বা পার্ট টাইম কাজ কর্ম করেন, তারা কিন্তু মাঝেমধ্যে বাড়ি থাকেন আবার মাঝেমধ্যে কাজে যান। কিন্তু যারা বছরের পর বছর বাইরের জগতের সঙ্গে মিশে কাজকর্ম করে অভ্যস্ত তাদের কাছে বাড়ি বসে কাজ করাটা একটু কঠিন মনে হতে পারে। আচ্ছা শুরুতে বরং ভালো দিকগুলো নিয়ে আলোচনা করা যাক।
বাড়িতে কাজ করলে অফিসিয়াল ডেকোরাম বজায় রাখতে হয় না আপনাকে। শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষা তড়িঘড়ি বাইরে বেরোনোর তাড়া নেই। কাজ করতে করতে যখন তখন খাওয়া-দাওয়া চলতে পারে প্রিয়জনের সঙ্গে সময় কাটানো হয় একই সাথে। ধরুন কোনো বন্ধু বা আত্মীয় এলেন তাদের সঙ্গে খোশমেজাজে গল্পের ফাঁকে ফাঁকে কাজ করার মেজাজ টাই আলাদা। ঘরের আবহাওয়া মানে তাপমাত্রা নিজের মতো করে কন্ট্রোল করা যায় । গরম লাগলে বেশি হাওয়া বা এসি, ঠান্ডা লাগলে সবটাই নিজের হাতে। (online jobs work from home)
আর সবথেকে ভালো ব্যাপারটা হল ফ্যামিলি লাইফ মেন্টেন করা যায়। মানে পরিবারকে সময় দেওয়া যায়, সন্তানদের পাশে থাকা যায়। চোখের সামনে প্রিয়জনদের দেখতে পেলে টেনশন কম হয়। এটা সত্যিই একটা বড় পাওয়া। হ্যাঁ গল্প কথার মাঝে কাজ করতে গেলে, কাজের গতি কিছুটা কমে, কিন্তু আহামরি সমস্যা হয় না। ওইটুকু এডজাস্ট করে নিতে পারলেই কেল্লাফতে। (work from home for students)
আরো পড়ুন- Love : প্রেম মানে কি শুধুই যন্ত্রণা? বুক ফেটে চোখ দিয়ে গড়িয়ে পড়া কান্নার নামই কি প্রেম?
তবে অফিসের কাজ বাড়িতে করতে হলে নির্দিষ্ট একটা সময় মেনটেন করা দরকার। সেটা করতে গেলে আবার বাড়িতে আলাদা হয়ে কাজে থাকতে হবে আপনাকে, মিশতে পারবেন না বাকিদের সাথে। দুটোর মধ্যে ব্যালেন্স করতে পারলে কোন সমস্যা নেই।
এবার খারাপ দিকটার কথা তুলে ধরা যাক। সবথেকে বড় খারাপ দিকটা হচ্ছে, অবসাদ। দীর্ঘদিন ধরে ঘরে বসে একটানা কাজ করতে থাকলে অবসাদ আসাটা খুবই স্বাভাবিক। এই অবসাদ চলে এলে কাজ করতে একদমই ভালো লাগে না, ক্রিয়েটিভিটি কমে যায় অনেক। যারা বাইরে কাজ করে অভ্যস্ত বাড়ির পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে তাদের বেশ সমস্যা হয়।
আরো পড়ুন- Tarkata : তারকাটা ! মানেটা কী বলুন তো? কেন একে অপরকে তারকাটা বলে?
বিরক্তি, একঘেয়েমি ,রাগ, মাথা গরম এইসব হওয়াটা খুব স্বাভাবিক। সবথেকে প্রয়োজনীয় ব্যাপারটা হলো নিজেকে ঠিক রাখা সে আপনি বাড়িতে থাকুন বা অফিসে । ঠান্ডা মাথায় কাজ করুন মনে হয় না সমস্যা হবে। নিজে কী করে মাথা ঠান্ডা করে কাজ করবেন সেটা আপনাকেই ভেবে বের করতে হবে।