Breaking Bharat: এখানে কোন নারীদের প্রবেশ নেই! এই পৃথিবীতে নারী পুরুষের বাস, কিন্তু নারী নিষিদ্ধ কোনও স্থান আছে কি? এখানে কোন নারীদের প্রবেশ নেই। পাশাপাশি এখানে পুরুষ উলঙ্গ ভাবে থাকে। অবাক লাগছে বটে। কিন্তু এটাই সত্যি।
প্রশ্ন শুনে ভাবছেন নিশ্চয়ই এইটা কেমন কথা। ঠিক এই কারণেই জন্যই আমরা আজ এই টপিক বেছে নিয়েছি। কারণ প্রশ্ন থেকেই যায় নারী ছাড়া, জগৎ চলে কি? অথচ এমন কাণ্ড ঘটে বটে। তবে ভারতবর্ষে এরকম কোন জায়গার খোঁজ আপনি পাবেন না। এর জন্য একটু বিদেশ সফর করতে হবে বৈকি। চলুন তাহলে এবার জাপানে যাওয়া যাক।
এখানে নারীকে প্রবেশাধিকার দেয়া হয় না:
বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে নানা জাতির মানুষের বসবাস। তাদের জীবনধারণ সম্পর্কে আমাদের খুব একটা বেশি আইডিয়া নেই। এরকম অনেক তথ্য আছে যে সম্পর্কে আমরা খুব একটা বেশি জানি না। আমরা এমন এক জায়গার খোঁজ পেয়েছি যা সচরাচর আলোচনায় উঠে আসে না। জাপানের ছোট্ট দ্বীপ ওকিনোশিমা, এই জায়গার বৈশিষ্ট্যটা বড়ই অদ্ভুত।
এখানে কোন নারীদের প্রবেশ নেই। পাশাপাশি এখানে পুরুষ উলঙ্গ ভাবে থাকে। অবাক লাগছে বটে। কিন্তু এটাই সত্যি। ওকিনোশিমায় মুনাকাতা তাইশা নামের একটি মন্দির রয়েছে। আপনি কি জানেনএই দ্বীপকে বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে ঘোষণার সুপারিশ করেছে ইউনেস্কো?
এই দ্বীপটিকে এতটাই পবিত্র বলে মনে করা হয় যে এখানে নারীকে প্রবেশাধিকার দেয়া হয় না। আমরা কোন প্রচলিত ধর্ম বিশ্বাসে আঘাত করতে চাই না। শুধু সেখানকার নিয়ম গুলো আপনাদের সামনে তুলে ধরছি। আমরা সবাই জানি বহির্বিশ্বে জাপানের নিয়মিত যোগাযোগ।
ব্যবসা-বাণিজ্য থেকে শুরু করে শিল্প সবেতেই পাল্লা দিয়ে এগিয়ে চলেছে জাপান। আজকের আলোচনায় উল্লিখিত দ্বীপ দুই ভূখণ্ডের মাঝে সংযোগকারী হিসেবেও বেশ গুরুত্বপূর্ণ। জাহাজের নিরাপদ যাত্রার জন্য এখানে পূজো করা হতো আজও চলছে নিয়ম। ওকিনোশিমায় থাকেন দেবীর মন্দিরের পুরোহিত থাকেন।
পুরুষরা এই মন্দিরের প্রবেশ করতে গেলে তাদের উলঙ্গভাবে সমুদ্রে স্নান করে মন্দিরে যেতে হয়। তবে দুর্ভাগ্যের বিষয় হলো ২০১৯ সাল থেকে আর জাপানের ওকিনোশিমা দ্বীপে দর্শনার্থীদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অবশ্য আগেও যে সারা বছর যখন তখন পুরুষরা মন্দিরে প্রবেশ করতে পারতেন এমনটা নয়।
আরো পড়ুন – রেলের চালকরা সফরকালে কি কি সুবিধা পান? তাছাড়া চালকরা এমার্জেন্সি মুহূর্তে কি করেন?
জাপানের দক্ষিণ-পূর্বের চারটি বড় দ্বীপের অন্যতম কিয়ুসুর উত্তর-পশ্চিম উপকূলে অবস্থিত এই দ্বীপ। এখানকার মন্দিরের কর্তৃপক্ষ মনে করেন যত বেশি মানুষের সমাগম হবে তত বেশি দ্বীপ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায় চলতি বছরে এক উৎসবের সময় মাত্র দু’ঘণ্টার জন্য মাত্র ২০০ জন পুরুষ সেখানে প্রবেশ করতে সক্ষম হয়েছেন।
আরো পড়ুন – Language of Birds: পাখিদের ভাষা অবিকল মানুষের মতো হতে পারে! কিন্তু কিভাবে সেটা সম্ভব?
তবে আপনি যদি গবেষণা করতে চান তাহলে বিশেষ অনুমতি নিয়ে আপনাকে এই দ্বীপে প্রবেশ করতে হবে। কিছুটা ধ্যান-ধারণা প্রাচীনপন্থী হতে পারে তবে মূলত গর্ভবতী মহিলাদের কথা ভেবেই এখানে নারীদের ক্ষেত্রে নানা বিধি নিষেধ আরোপ করা আছে।
সমুদ্রের স্নান ছাড়া মন্দিরে প্রবেশ করা যাবে না আর মহিলারা নানা রকমের শারীরিক অবস্থার মধ্যে থাকেন এমনকি তারা অন্তঃসত্ত্বাও হতে পারেন সে ক্ষেত্রে সমুদ্র যাওয়াটা ঝুঁকিপূর্ণ। সেই সবকিছু মাথায় রেখে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এই দিক থেকে আপনি কোন কিছুই নিয়ে যেতে পারবেন না এমনকি ঘাসের একটা টুকরোও নয়।
একমাত্র শিন্টো পুরোহিতরা মন্দিরের দেখাশোনা এবং এই দ্বীপের দেখাশোনা করতে পারবেন। মন্দির ছাড়াও এখানে নানাবিধ হিরে জহরত রয়েছে বলে জানা যায়। মে মাসের ২৭ তারিখ নিয়ম মেনে মাত্র ২০০ জন পুরুষ এখানে প্রবেশ করতে পারেন।