wisdom tooth pain relief: দাঁত থাকতে দাঁতের মর্যাদা বুঝুন বা না বুঝুন, আক্কেল দাঁতের মর্যাদা আপনাকে বুঝতেই হবে, তাই না?
দাঁত যখন পড়ে যায় তখনও এত কষ্ট হয় না যতটা না ‘আক্কেল দাঁত‘ গজানোর সময় হয়। ব্যথা যন্ত্রণা যে কী পরিমান হতে পারে সেটা যে না এই সমস্যায় পড়েছে সে বুঝবে না। কিন্তু একবারও ভেবে দেখেছেন কেন এত সমস্যা হয় আক্কেল দাঁতের ক্ষেত্রে আর সত্যিই কি আক্কেল হয়?
মজার ছলে কথা বললেও এটা সত্যি যে বিষয়টা এতটা সহজ নয়। সত্যি বড় অদ্ভুত এই দাঁতের নাম। আর এমন এক জায়গায় যখন তখন গজিয়ে ওঠে যে অস্থির হওয়া ছাড়া আর কিছুই যেন করার থাকে না। একটা বয়স পর্যন্ত যখন দাঁত ওঠার এবং পড়ার সময় থাকে , সেই পর্যায়ে দাঁত এবং মাড়ির বিন্যাসের কারণে একটা লিমিট পর্যন্ত ব্যথা যন্ত্রণা অনুভূত হয়।
কিন্তু ‘আক্কেল দাঁতের যন্ত্রণা‘ মারাত্মক লেভেল পর্যন্ত পৌঁছয়। অনেকের মনের প্রশ্ন জাগে যে কেন এত তীব্র যন্ত্রণা হয়? আর তাছাড়া আক্কেল দাঁত কেন এত দেরিতে ওঠে সেই নিয়েও প্রশ্ন আছে। তাহলে এক এক করে গোটা বিষয়টা জানা যাক।
আক্কেল দাঁত ওঠার লক্ষণ:
আসলে আক্কেল দাঁতকে ইংরেজিতে বলা হয় WISDOM TEETH। প্রথমে জানা যাক এর অবস্থান কোথায়? মাড়ির সজ্জায় তিন নম্বর কশের দাঁত হল এই আক্কেল দাঁত। দেখুন মানুষের মুখের ওপরে ও নিচে এবং ডান ও বাম দিক মিলে মোট ৪টি অংশ থাকে। এক একটি অংশে মোট ৮টি করে দাঁত থাকায় হিসেব দাঁড়ায় ৪টি অংশে ৪ X ৮ অর্থাৎ ৩২টি দাঁত।
এবার যারা মনে করেন একটি দাঁত থাকে আক্কেল দাঁত হিসেবে তাদের বলি প্রতিটি অংশের একেবারে শেষ দাঁতঅর্থাৎ ৮ নং দাঁতটি হল আক্কেল দাঁত। তাহলে কী দাঁড়াল, আমাদের মোট ৪টি আক্কেল দাঁত থাকে, একটি নয়। এবার এই দাঁতের অদ্ভুত নাম নিয়ে কথা বলা যাক।
সাধারণ দাঁত ওঠার অনেকটা পরে এই দাঁত হয়। সম্ভবত সেই কারণেই এমন নাম বলে মনে করা হয়। ব্যাপারটা ওই বুড়ো বয়সে আক্কেল হওয়ার মতো। তবে অবাক করা বিষয় হলো আজকাল সবার আর ৩২ টি দাঁত হয় না। নিজে একবার গুনে দেখুন হয়তো আপনার ক্ষেত্রেও এরকম নিয়ম হয়েছে। এর জন্য আবার ইতিহাসের পাতায় চোখ রাখতে হবে আমাদের।
আরো পড়ুন – রান্নার তেল নিয়ে কতটা সচেতন আপনি? রিফাইন্ড তেল খাওয়া আজই বন্ধ করুন, না হলে বিপদ !
এইযে আজকালকার দিনে অনেকের ক্ষেত্রেই ৩২টা দাঁত দেখা যায় না বলে আমরা যে উল্লেখ করলাম, সেটা কিন্তু বিজ্ঞান বলছে। আর এর সঙ্গেই জড়িয়ে আছে মানুষের আদিম জীবনযাত্রা। প্রাগৈতিহাসিক যুগে মানুষ শিকার করত, খাদ্য সংগ্রহ করত। তথন কাঁচা খাবার যেমন মাংস ও গাছপালা চিবিয়ে খেতে বেশি দাঁতওয়ালা বড় চোয়ালের প্রয়োজন হত।
আরো পড়ুন – নতুন জায়গায় রাত্রিবাস? সাবধান! হোটেলের ঘরে-ট্রায়াল রুমে গোপন ক্যামেরা নেই তো?
কিন্তু এখন সময় বদলে গেছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ধীরে ধীরে মানুষের চোয়াল ছোট হয়ে গেছে। পাল্লা দিয়ে একই সঙ্গে দাঁতের সংখ্যাও কমেছে। মেডিকেল বিজ্ঞান বলে সাধারণত মানুষের ১৮ বছর বয়স নাগাদ আক্কেল দাঁত বেরতে শুরু করে। এবার ধরুন বেরোতে গিয়ে কোনও কারণে সেই দাঁত আটকে গেলেই ব্যাস আক্কেল দাঁতের সমস্যা শুরু।
আরো পড়ুন – ডেকান ওডিসি! রেলগাড়ি চড়তে কত খরচ হতে পারে? এক রাতের ভাড়া ১১ লক্ষ টাকা হতে পারে?
আসলে এখন চোয়াল ছোট হয়ে যাওয়ার কারণে গুতাগুতি করে দাঁত বেরোয় । আর এখান থেকেই তৈরি হয় যাবতীয় সমস্যা। শিকড়ের ওপরের ‘এনামেল’-এর ঢাকা অংশের চারপাশ ঘিরে থাকা মাংসে এর ফলে সংক্রমণ শুরু হয়ে যায়। যন্ত্রণা বাড়ে, জটিলতা সমস্যায় ফেলে। সেক্ষেত্রে অনেকেই ডাক্তারের কাছে গিয়ে চিকিৎসা করে নেওয়াই শ্রেয়।