Breaking Bharat News Desk: দিনকে দিন হু-হু করে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ (Corona infections)। পরিস্থিতি ক্রমেই জটিল হচ্ছে। এরই মধ্যে বছরশেষে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (World Health Organization) তরফে আশঙ্কা করা হয়েছিল ওমিক্রনের ভয়াবহতার কথা। দেশে আক্রান্তের গ্র্যাফও যে হারে ঊর্ধ্বমুখী, তাতে ওমিক্রন আতঙ্কে (Omicron panicked) ফুঁসছিলেন নেটিজেনরা। ওমিক্রন নিয়ে সতর্কতা জারি হলেও তবে সম্প্রতি হু-প্রধান আশার আলো দেখিয়েছেন। নতুন বছরেই অতিমারীর কবল থেকে মুক্তি মিলতে পারে বলেই আশাবাদী বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ডিরেক্টর জেনারেল টেড্রোস আধানম ঘেব্রিয়াসুস।
২০২১ সালের শেষের দিক পর্যন্তও সিঁদুরে মেঘের আশঙ্কা করা হয়েছিল। তবে বছরের প্রথমদিনেই যে সম্ভাবনার কথা বলতে চেয়েছেন হু-এর প্রধান, সেক্ষেত্রে তিনি শর্তও দিয়েছেন। এবছরই মুক্তি পেতে গেলে গোটা বিশ্বকে একযোগে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করত হবে। নইলে ওমিক্রন মোকাবিলা সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় বাধা হল টিকার অসমবণ্টন। বিবিসি সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান শনিবার যে বিবৃতি দিয়েছেন, তাতে তিনি টিকার অসমবণ্টনের কথা সরাসরি বলেছেন। এবারই নতুন নয়, এর আগেও এই বিষয়ে তিনি সরব হয়েছিলেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা তাদের অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছে, করোনার টিকা সারা পৃথিবীতে সমান ভাবে বণ্টনের ক্ষেত্রে বেশিকিছু সমস্যা দেখা যায়। আর সেই সমস্যা যদি এবারও জারি থাকে, তাহলে অতিমারীকে হারানো আরও কঠিন হয়ে উঠবে।
Diabetes : ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হলে বুঝবেন কিভাবে? জেনে নিন
ভারত-সহ একাধিক দেশে জাতীয়তাবাদ বা সংকীর্ণ চিন্তাভাবনার জেরে টিকার অসম বন্টনের ঘটনা দেখা যায় বলে অনেকে অভিযোগ করেন। সম্প্রতি তালিবান-শাসিত আফগানিস্তানে টিকা পাঠানো নিয়েও নেটিজেনদের একাংশের মধ্যে শোনা গেছে নানা কুকথা। টিকা বন্টনের ক্ষেত্রে এই সমস্যাগুলো অতিক্রম কর দরকার বলেই মনে করেন টেড্রোস আধানম ঘেব্রিয়াসুস। তিনি বলেছেন, ‘সংকীর্ণ জাতীয়তাবাদ ও কোনও কোনও দেশের টিকা জমিয়ে রাখার প্রবণতার ফলেই সমবণ্টন হচ্ছে না। এর ফলেই ওমিক্রন মাথাচাড়া দিয়েছে। এই অসাম্য যদি চলতে থাকে তাহলে ভাইরাসের আরও নানা প্রজাতির প্রাদুর্ভাব হতে পারে, যা আমাদের কল্পনা কিংবা প্রতিরোধ ক্ষমতার বাইরে। কিন্তু আমরা যদি এই অসাম্যকে শেষ করতে পারি, অতিমারীও শেষ হবে।’
Amla Health Benefits : আমলকি কেন খাবেন ? খেলে কি কি উপকার হয় ?
২০২১ সালের শেষের দিকে কিন্তু আশঙ্কার কথাই বলেছিলেন বিশ স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান। তিনি বলেছিলেন, ‘ওমিক্রনের সংক্রমণের (Omicron infection) হার যথেষ্ট উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। যে হারে সংক্রমণ বাড়ছে তাতে কোভিডের সুনামি আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’ এদিন তিনি আরও বলেন, ‘যদি এমন হয় তা হলে স্বাস্থ্যকর্মী এবং স্বাস্থ্যব্যবস্থার উপর বিপুল চাপ তৈরি হবে। এমনকী, স্বাস্থ্যব্যবস্থা ভেঙে পড়ার মতো পরিস্থিতিও তৈরি হতে পারে।’
Lips : শীতকাল এলেই ঠোঁট ফাটতে শুরু করে এর কারণ কি ? কি ভাবে ঠোঁট ফাটা থেকে সহজেই মুক্তি পাবেন?
হু-র তরফে সতর্ক করে বলা হয়েছিল, করোনার ডেল্টা ও ওমিক্রন প্রজাতির সংক্রমণ পৃথিবীর উপর সুনামির মতো আছড়ে পড়বে। যার ফলে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এমনিতেই ওমিক্রনের দাপটে ক্রমেই সারা বিশ্বে বাড়ছে উদ্বেগ। এদিক থেকে ভারতের অবস্থাও বেশ করুণ। তবে ২০২২ সালেই যে করোনা অতিমারীর বিপর্যয় থেকে মুক্তি পেতে চলেছে গোটা বিশ্ব, তা এই দুর্দিনেও অক্সিজেন জোগাচ্ছে মানুষের মনে।