Breaking Bharat : ফের সাবধানবার্তা (Flood is coming)! ভুলের মাশুল দিতে এবার প্রলয়ের সম্মুখীন হতে হবে পৃথিবীকে? এমনটাই শোনা গেল নাসার বিজ্ঞানীদের (NASA scientists) কথায়। আর এক্ষেত্রে নাসার দাবি, এই প্রলয়ের জন্য নাকি দায়ী মানুষই।
অতীতেও এই গবেষণা সংস্থা সতর্কতা ও নানান ভবিষ্যৎবাণী করেছে৷ তা অনেকক্ষেত্রে মিলেও গেছে। আবার অনেক ক্ষেত্রে মেলেনি। যদিও এবারের নাসার সতর্কবার্তায় যা জানানো হয়েছে, তা যথেষ্ট ভাবনার বস্তু, আসন্ন এই বিপদকে বিজ্ঞানীরা পৃথিবীতে গণহত্যার প্রস্তুতির সাথে তুলনা করেছেন। তাই আশঙ্কার সিঁদুরে মেঘ যে, মাথার ওপরেই, তা বলা বাহুল্য।
সম্প্রতি নাসা (NASA) এবং National Oceanic and Atmospheric Administration একটি প্রতিবেদনে জানিয়েছে এই প্রলয়ের কথা। তারা দাবি করেছে, আর মাত্র কয়েক বছরের মধ্যে পৃথিবীর একটি বড় অংশ তলিয়ে যাবে অতলে! অর্থাৎ জলস্তর বৃদ্ধি পাবে অনেকটাই। প্রতিবেদনের দাবি, ২০৫০ সাল নাগাদ সারা বিশ্বের জলস্তর ১ ফুট বেড়ে যাবে। বহু বছর ধরেই এই বিষয়ে গবেষণা করে সম্প্রতি এমন রিপোর্ট প্রকাশ করেছে নাসা এবং NOA।
নাসার বিজ্ঞানীরা আমেরিকা এবং সংলগ্ন অঞ্চলের বিগত ১০০ বছরের জলস্তর নিয়ে বিন্যাস ও গবেষণা করে এই রিপোর্ট প্রকাশ করেছেন। আর রিপোর্টে যা বলা হয়েছে, তা মানুষের ঘুম কাড়বে। কী রয়েছে রিপোর্টে?
সংস্থার তরফে দাবি করা হয়েছে, ২৮ বছর পর সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়তে শুরু করবে। যার ফলে পৃথিবীর যে প্রভূত ক্ষতি হবে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির ফলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে উচ্চতর প্লাবন এবং উপকূলীয় বন্যা হবে। তাদের প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ২০৫০ সাল নাগাদ লুইসিয়ানার কিছু অংশ-সহ মার্কিন উপকূলের বিপরীতে সমুদ্রের জলস্তর ১০ থেকে ১২ ইঞ্চি বেশি হবে। এবং টেক্সাসে জলের স্তর দেড় ফুট বা ১৮ ইঞ্চি পর্যন্ত বাড়তে পারে।
নাসা বলেছে, হিমবাহ এবং বরফের চাদর গলানোর পাশাপাশি মহাসাগর, ভূমি এবং বরফের মধ্যে জটিল মিথস্ক্রিয়া তৈরি করবে। তার ফলেও সমুদ্রের উচ্চতা প্রভাবিত হবে। NOA প্রশাসক রিক স্পিনরাড বলেন, ”এটি বিশ্বকে সতর্ক করার আহ্বান। আমেরিকাবাসীর ভবিষ্যৎ সুরক্ষার জন্য এখনই সচেতন হওয়া প্রয়োজন।’
আরো পড়ুন- Traveling : ছোট বাচ্চা নিয়ে ভ্রমণ করেন? তাহলে বাচ্চাদের এই বিষয়গুলো মাথায় রাখুন!
আর এই সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়ার জন্য অধিকাংশ ক্ষেত্রেউ যে দায়ি মানুষ, তা আর আলাদা করে বলার অপেক্ষা রাখে না। নাসা তাদের রিপোর্টে স্পষ্ট উল্লেখ করেছে, মানুষের ভুলেই নেমে আসবে এই প্রলয়। মনুষ্যসৃষ্ট দুষনের কারণেই বিশ্বে এই গভীর সংকট নেমে আসতে চলেছে৷ যা থেকে সম্পূর্ণ নিস্তারের উপায় জানা না থাকলেও যদি এই মুহূর্তে সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ না করা হয়, তাহলে হয়তো মানব জাতির অস্তিত্বই বিলুপ্ত হয়ে যাবে, এমনটাও আশঙ্কা করা যায়।
আরো পড়ুন- T Shape : বাড়ির ছাদে থাকা, জলের ট্যাংকের পাইপের মাথায় T শেপের পাইপ লাগানো হয় কেন?
আরো পড়ুন- Selling clothes : ব্যবহার করা পুরনো পোশাক বা জামা কাপড় থেকে রোজগার করতে চান? কিন্তু কীভাবে ?
প্রতিবেদনের প্রধান লেখক উইলিয়াম সুইট অবশ্য বলেন, অ্যান্টার্কটিকা এবং গ্রিনল্যান্ডে বরফের চাঁই গলে দীর্ঘমেয়াদী সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি ২১০০ সালের পর থেকে হবে না। তবে উষ্ণ জল প্রসারিত হয়ে বরফের চাদরকে গলিয়ে দেবে এবং হিমবাহ বিশ্বের মহাসাগরগুলিতে আরও জল যোগ করবে। সব মিলিয়ে শিয়রে আশঙ্কার মেঘ। প্রশ্ন একটাই, এই পরিস্থিতি মোকাবিলার ক্ষেত্রে শুধুমাত্র সচেতনতাই কি যথেষ্ঠ?