Breaking Bharat: বিছানায় খাবার! প্রবাদ আছে ” খেতে পেলে শুতে চায়” , কিন্তু তাই বলে শোবার জায়গা খাওয়া কি যায়?
মানুষের দৈনন্দিন জীবনের প্রতিটা পর্বের জন্য একটা করে অধ্যায় আছে। মানে এই সময় এটা বা ওই সময় ওটা। যেমনটা কাব্যে বা মহাকাব্যে দেখা যায় আর কী! কিন্তু কখনো ভেবে দেখেছেন নিয়মের অনিয়মে ঠিক কী ঘটতে পারে! (Why we should not sit on bed and eat?)
বিছানায় বসে খেতে কেন নিষেধ করা হয়?
মানে সময়ের কাজ সময় মেনে না করলে, জায়গার জিনিস জায়গায় না রাখলে কী সাংঘাতিক পরিণাম যে হতে পারে তার সম্পর্কে আমাদের সেরকম কোনও ধারণাও হয়তো নেই। তাহলে আজ বলি শোবার জায়গা যদি খাবার জায়গা হয়ে যায় তাহলে কী হতে পারে।
কিছু অভ্যাস মানুষকে ভাল রাখে। কিন্তু কিছু অভ্যাস একেবারেই বিগড়ে দেয় জীবনযাত্রা কে। সেইরকম এক ঝলক দেখা যায় আপনার বাড়ির বেডরুমে। দেখবেন ছোট থেকে বড় অনেকেরই অভ্যাস থাকে বিছানায় বসে টিভি দেখা বা কাজ করা বা খাওয়া দাওয়া করা ইত্যাদি।
বাড়ির গুরুজনেরা বারণ করলেও অনেক ক্ষেত্রে সেইসব কুসংস্কার নাম দিয়ে উড়িয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু আপনি কি জানেন এই বিষয়ের উল্লেখ শাস্ত্রেও রয়েছে? বিছানায় বসে খাওয়ার ভয়ঙ্কর পরিণতি সম্পর্কে হিন্দু শাস্ত্রে ও বাস্তু শাস্ত্রে উল্লেখ করা রয়েছে। আসলে এইসব শাস্ত্র জ্ঞ্যান জীবনকে সম্পূর্ণ করতে অনেকটাই উপযোগী, তাই না?
আর সেখানেই সুখী দাম্পত্য আর সমৃদ্ধ জীবনযাপনের নানা পন্থার কথা বলা হয়েছে। আমরা এর সত্যতা যাচাই করিনি। তবে বেশ কিছু প্রচলিত বিশ্বাস রয়েছে যে , তা কিন্তু কোনমতেই অবহেলা করা যায় না।
যারা বিছানায় খাবার খান:
মনে রাখতে হবে বেঁচে থাকতে গেলে খাবারের দিকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া দরকার। পর্যাপ্ত এবং সুষম আহার আমাদের শরীর স্বাস্থ্য সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। হিন্দু ধর্ম মতে খাবার খাওয়ার বেশ কিছু নিয়ম আছে যা মেনে চলতে পারলে অর্থাভাব, অনটন, পারিবারিক সমস্যা, রোগ ইত্যাদি দূর হবে বলে মনে করা হয়।
আরো পড়ুন – চাণক্য নীতির কথা শুনেছেন নিশ্চয়? কিন্তু মানুষটাকে কতটা চেনেন? কেন তাকেই ‘ গুরু’ ধরা হয়?
উদাহরণ হিসেবে বলা যায় আমাদের শাস্ত্রে খাওয়ার সঠিক দিক কোনটা বা কোন বাসনে খাবার খাওয়া উচিত, কোথায় বসে খাওয়া শুভ – এই সব বিষয় নিয়ে বিস্তারিত বিবরণ রয়েছে। আর সঙ্গে আছে কিছু বিশেষ নিষেধ যার মধ্যে প্রথম হল ‘বিছানায় খাবার না খাওয়া‘।
বিছানায় বসে খাবার খেলে কি হয়?
যুক্তিবাদী মন অবশ্যই এর কারণ খুঁজবেন? হিন্দু শাস্ত্র বলছে অনুযায়ী বিছানায় বসে খাবার খেলে অন্নের অপমান হয় এবং এতে স্বয়ং মা লক্ষ্মী রুষ্ট হন । এর ফলে পরিবারের সমৃদ্ধিতে বাধা সৃষ্টি হয়। নিয়ম হল খাবার খাওয়ার আগে দেহের পঞ্চাঙ্গ অর্থাৎ দুই হাত, পা মুখ ভাল করে পরিষ্কার করে দেবতাকে প্রণতি জানিয়ে আহার গ্রহণ করা উচিত।
আরো পড়ুন – মহিলাদের স্বাবলম্বী হওয়ার প্রবণতা কি কমছে? পরবর্তী সময় কি আমাদের আরও পিছিয়ে দিল?
এমনকি আপনি জানেন সনাতন ধর্মে সকাল ও সন্ধ্যাবেলা খাবার খাওয়ার বিধান রয়েছে? কিন্তু প্রায় কেউই এসব মানেন না। হাতে থালা ধরে বা দাঁড়িয়ে খাবার খাওয়া যায় না। কিন্তু এটা আজকাল আর কেউই মানেন না প্রায়।
এখানেই শেষ নয় ঠিক কোন দিকে খাবার খাওয়া উচিত সেটাও বুঝতে হবে আপনাকে কারণ শাস্ত্র এর ব্যাখ্যা আগেই দিয়ে রেখেছে। হিন্দু শাস্ত্র মতে পূর্ব ও উত্তর দিকে মুখ করে খাবার খাওয়া ভাল আর পশ্চিম বা দক্ষিণে কখনোই নয়।
আরো পড়ুন – আবর্জনা! পৃথিবী বিপন্ন জানেন কেন? এবার আপনার কাঁধেই বড় দায়িত্ব !
এখন ডিজিটাল যুগে এই সবের অনেকটাই অযৌক্তিক বলে মনে হতে পারে আপনার কিন্তু একেবারে হেলায় উড়িয়ে দেওয়ার মতো কি, একবার ভেবে দেখতেই পারেন।